ফরিদগঞ্জে পানিতে ডুবে স্কুল ছাত্রীর মৃত্যু

দেশসেবা দেশসেবা

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১২:০৭ অপরাহ্ণ, জুলাই ১৮, ২০২৪

মোঃ পারভেজ হোসেন।চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার ১৪ নং ফরিদগঞ্জ দক্ষিণ ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের পশ্চিম হর্নি দুর্গাপুর বেপারী বাড়ির প্রবাসী আলমগীর হোসেন ব্যাপারীর একমাত্র কন্যা সুমাইয়া আক্তার চতুর্থ শ্রেণীর স্কুল পড়ুয়া ছাত্রী আজ বুধবার (১৭ই জুলাই) সকাল ১০টা, ৩০মিনিটে বাড়ির পুকুরে গোসল করতে গিয়ে পানিতে ডুবে মৃত্যুবরণ করে। তার আনুমানিক বয়স হয়েছিল প্রায় ৯থেকে -১০ বছর।

সে পশ্চিম হর্নি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রী ছিল। সুমাইয়ার চাচা প্রবাসী মানিক জানান সকালে পুকুরে জাল ফেলে মাছ ধরেছিল, সবাই মাছ নিয়ে ব্যস্ত ছিল, সুমাইয়া আক্তার কোচিং করার জন্য স্কুলে গিয়েছিল। কোচিং শেষ করে বাড়ি এসে প্রতিদিনের ন্যায় গোসল করতে পুকুরের গিয়েছিল বাটি নিয়ে। ঘরের সামনে আমাদের পাঁকা পুকুরের ঘাটলা।

কিছুক্ষণ পর আমরা সুমাইয়া কে দেখতে না পেয়ে সবাই ছুটা-ছুটি করি যে সুমাইয়া কই আছে, তাকে তো পুকুরে যেতে দেখলাম। পুকুরের ঘাটলায় আমি গিয়ে দেখতে পাই যে বাটি পানিতে ভাসতেছে তখন আমার সন্দেহ হওয়াতে আমি ডাক চিৎকার করে পুকুরে পানিতে নামার পর এই দিক সেই সেদিক দেখে পরে সুমাইয়াকে পানির নিচে দেখতে পাই। সুমাইয়াকে মৃত দেখতে পেয়ে তার মা- জাহানারা বেগম ও বাবা আলমগীর হোসেন দুজনই অজ্ঞান হয়ে পড়ে যায়।

পানির থেকে উদ্ধার করে তাকে দ্রুত ফরিদগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ জরুরী বিভাগের নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। সুমাইয়াকে বাড়ির আনার পর ২ঘন্টা পর,আত্মীয়-স্বজন ও পারিবারিকভাবে সিদ্ধান্ত করে আবার সুমাইয়াকে দ্রুত চাঁদপুর সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হলে ডাক্তার সেখানেও সুমাইয়াকে মৃত ঘোষণা করে।

আজ থেকে প্রায় দশ বছর আগে সুমাইয়ার বড় এক ভাই ও এক বোন অগ্নিদগ্ধ হয়ে একই সাথে মৃত্যুবরণ করে। সেই দিনও ছিল বুধবার একই দিন, একই টাইম। সুমাইয়ার মৃত্যুতে হৃদয় বিধায়ক ও রাহাজানি সৃষ্টি হয়। তার অকাল মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। চাচা জাহাঙ্গীর ও মানিক বলেন তার ওরশে আর কোন কন্যা, সন্তান নেই। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের দরবারে লাখো শুকরিয়া,সবই আল্লাহ তায়ালার ইচ্ছা। আজ বাদ আছর সুমায়াকে তার পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।