রায়পুরে বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে আসা লোকজন বাড়িঘর নিয়ে আশংকিত

দেশসেবা দেশসেবা

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ৩:০৪ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২৮, ২০২৪

মো:শরীফ হোসেন।চলমান ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতিতে বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রিত লোকজনকে সঠিকভাবে দেখভাল করাটা এক বিশাল চ্যালেঞ্জ।সে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে দিন যাপন করে চলছে হাজারো পরিবার।জীবন সমুদ্রের উচ্চতায় আজ সবাই সমান,বেঁচে আছে একই সীমানায়।বাংলাদেশের এই ভয়াবহ বন্যায় যে পাঁচটি জেলা সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত তার মধ্যে একটি হচ্ছে লক্ষীপুর।লক্ষীপুর জেলার পাঁচটি উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে ক্ষতির সম্মুখীন উপজেলার একটি রায়পুর। এই উপজেলায় ১০ টি ইউনিয়ন এবং একটা পৌরসভা রয়েছে।উপজেলার সব ইউনিয়ন কমবেশি আক্রান্ত হলেও ক্ষয়ক্ষতি এবং জলাবদ্ধতার কারনে ৩,৪,৫,৬ এবং ৭ নং ইউনিয়ন সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত।

এই ইউনিয়নগুলোতে সরকারি বেসরকারি উদ্যোগে স্থাপন করা হয়েছে আশ্রয়কেন্দ্র।রায়পুর উপজেলার এই ৫ টি ইউনিয়নে আশ্রয়কেন্দ্র রয়েছে ৪০ টির মতো। এই আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে প্রায় ১৫০০ পরিবার এবং ৭০০০ মানুষ আশ্রয় গ্রহণ করেছেন।এই বৃহত্তর লোকজনকে নিয়মিত দেখাশোনা করছে প্রায় ৫০০ স্বেচ্ছাসেবক। এসকল আশ্রিত লোকজনকে খাওয়া দাওয়াসহ সার্বিক তদারকি করতে প্রতিদিন খরচ হচ্ছে ব্যাপকভাবে। সরকারি সহায়তা, রাজনৈতিক দলের সহায়তা, দেশি এবং প্রবাসী লোকদের সহায়তায় দিন পার হচ্ছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, বেশিরভাগ প্রাথমিক অথবা মাধ্যমিক স্কুল ব্যবহৃত হচ্ছে এসব আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে। উপজেলার ৭ নং বামনী ইউনিয়নের কাফিলাতলী সাগরদী পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থানকারী মানুষজন জানায়,ঘরবাড়ি আসবাবপত্র রেখে তারা এখানে আশ্রয় নিয়েছেন। তবে বাড়িঘরের চিন্তায় তারা চিন্তিত, কবে ফিরবেন না ফিরবেন এ নিয়েও আছে উদ্বেগ।এ দিকে ভলান্টিয়াররা জানায়,খাবার বা পরিবেশ নিয়ে তাদের কোন সমস্যা নাই।তার বিষয়গুলো সুন্দরভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে।পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার আগ পর্যন্ত তারা আশ্রিত লোকজনকে সেবা দিয়ে যাবে।