নিকলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সাইনবোর্ডে ৫০ শয্যা, কাগজে কলমে ৩১ শয্যা

দেশসেবা দেশসেবা

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ৩:৪১ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২৬, ২০২৪
রাখী গোপাল দেবনাথ।।কিশোরগঞ্জের  নিকলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সাইনবোর্ডে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হলেও কাগজে কলমে ৩১ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল।৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের অবকাঠামোগত সকল সুযোগ সুবিধা থাকলেও আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে জনগণ চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। ইউনিয়ন সাব সেন্টারে সহকারী সার্জন দ্বারা চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হচ্ছে। কিশোরগঞ্জের ১৩টি  উপজেলার মধ্যে একমাত্র ৩১ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল নিকলী।  চিকিৎসক ও জনবল সংকটে সেবা দিতে হিমসিম খাচ্ছে চিকিৎসক ও নার্সরা । প্রয়োজনীয় চিকিৎসক ও জনবল না থাকায় প্রতিদিন হাসপাতালে সেবা নিতে এসে অনেকেই সেবা বঞ্চিত হয়ে ফিরে যেতে হচ্ছে। রোগী ও স্বজনদের দাবী সরকার যেন দ্রুত চিকিৎসক ও জনবল নিয়োগ দিয়ে সেবা কার্যক্রম অব্যাহত রাখে । তবে শূন্যপদে চিকিৎসক ও জনবল সংকটের কথা স্বীকার করে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিতভাবে জানিয়েছেন বলে জানান উপজেলা  স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সজীব ঘোষ। তিনি  আশা করেন শীঘ্রই কর্তৃপক্ষ শূণ্যপদে দ্রুত চিকিৎসক ও জনবল নিয়োগ দিয়ে সেবা কার্যক্রম অব্যাহত রাখবেন ।২০২৩  সালে জুন মাসে সর্বশেষ নিকলী উপজেলা  স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের হাসপাতালটিকে  ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যার হাসপাতাল হিসেবে উন্নয়নের জন্য লোকবল নিয়োগের জন্য পত্র প্রেরন করা হলেও ৩১ শয্যা হাসপাতালের জনবল দিয়েই খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলছে সেবা কার্যক্রম । হাসপাতালের পরিসংখ্যানবিদ শফিউর রহমানের তথ্য মতে  ৩১ শয্যার হাসপাতালের জনবল ও হাসপাতালটিতে এখন নেই । হাসপাতালটিতে  ০৩ জন কনসালটেন্ট  চিকিৎসক ও ৩ জন মেডিকেল অফিসার  ও ইউনিয়ন সাব সেন্টারে ০৭ জন সহকারী সার্জন ও ০১ জন হারবাল এ্যাসিটেন্ট  ও ২৪  জন সিনিয়র ষ্টাফ নার্স (সেবিকা) থাকার কথা থাকলেও কনসাল্টেন্ট চিকিৎসক বর্তমানে ১ জনও নেই। ০২ জন কনসালটেন্ট বর্তমানে ঢাকার সংযুক্ত আছে। ০১ জন মেডিকেল  অফিসার  ও ০৩ জন সহকারী সার্জন ইউনিয়ন সাব সেন্টারের , ০১ জন হারবাল এ্যাসিটেন্ট  ও  ১ জন নার্সের শূন্য পদ রয়েছেন । দীর্ঘদিন ধরে  ০৩ জন সহকারি সার্জনের পদ খালি রয়েছে। ০৫ জন ক্লিনারের মধ্যে ০২জন  এবং ০৩ জন ওয়ার্ড বয়ের মধ্যে ০১ জন বিদ্যমান।নিকলী উপজেলা  ০৭ টি ইউনিয়নে প্রায় ১ লক্ষ  মানুষের চিকিৎসা সেবার জন্য সরকারি এ হাসপাতালটি অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ ।শুধু নিকলীই  নয় গুরুত্বপূর্ণ এ হাসপাতালটিতে প্রতিদিন  পার্শ্ববর্তী কটিয়াদী  উপজেলার করগাঁও,মামুদপুর,লাওনদ ও করিমগঞ্জের ক্ষয়রত মরিচকালী   এলাকার রোগীরা এ হাসপাতালটিতে চিকিৎসা সেবা নিয়ে থাকেন ।প্রতিদিন বহিঃবিভাগে গড়ে ১শ/২শ রোগী চিকিৎসা সেবা নিয়ে থাকেন  ।এ বিষয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা আলমগীর হোসেন বলেন, তিনি গত কয়েকদিন ধরে শিশু বিশেষজ্ঞ  ডাক্তার দেখাতে তার বাচ্চাকে নিয়ে এসেছেন । কিন্ত বিশেষজ্ঞ ডাক্তার না থাকায় মেডিকেল অফিসার দিয়ে চিকিৎসা করাতে হচ্ছে  । বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন রোগীর আত্নীয় স্বজন ।তাছাড়া নাক,কান গলা  ও শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ও ডেন্টাল সার্জন   না থাকায় সাধারণ জনগন শহরমুখী হতে হয়। গরীব রোগীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, হাসপাতাল আছে, ডাক্তার নাই । ডাক্তার না থাকলে এতবড় বিল্ডিং করে লাভ কি? আমরা ডাক্তার চাই ও চিকিৎসা চাই ।এ বিষয়ে বিশিষ্ট সমাজসেবক হাজী মাসুক মিয়া বলেন বিগত ফ্যাসিট সরকার নাম দেখানোর উন্নয়ন করেছে। কথায় আর কাগজে উন্নয়ন না করে উপশহরগুলোতে হাসপাতালের সেবারমান উন্নয়নে জনবল নিয়োগ করতে হবে। চিকিৎসকরা  যেন গ্রামে চিকিৎসা সেবা প্রদান করে সে বিষয়ে তাদের বিশেষ সুবিধা প্রদান করতে হবে।