কেন্দুয়ায় এক ঝাঁক তরুণের নেতৃত্বে রক্তদানে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন

দেশসেবা দেশসেবা

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ৭:২১ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২৪

কোহিনূর আলম, কেন্দুয়া। নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলায় রক্তদানে আমরা কেন্দুয়া, রক্তদান ফাউন্ডেশন কেন্দুয়া ও স্বেচ্ছায় রক্তদান সংগঠন কেন্দুয়া নামে অনলাইন ও অফলাইনভিত্তিক সংগঠনগুলো কাজ করে যাচ্ছে নিরলসভাবে । রোগীর প্রয়োজনে মানবিকতার টানে কেন্দুয়া, নেত্রকোণা, কিশোরগঞ্জ, ময়মনসিংহ এমনকি বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় সংগঠনের সদস্যগণ নিজেরা রক্তদান করে এবং রক্তদাতা ম্যানেজ করে থাকে বলে জানা যায় বিভিন্ন সূত্রে ৷

“জাতি, ধর্ম, নির্বিশেষে, রক্তদান করবো হেসে হেসে” শ্লোগানে ২৮ জুন ২০২০ সালে কিছু তরুণের হাত ধরে যাত্রা শুরু করেছিল অন্যতম মানবিক সংগঠন “রক্তদানে আমরা কেন্দুয়া”। বিগত ৩ বছরে সংগঠনের সদস্য ও তাদের দ্বারা ডোনেটকৃত রক্তের পরিমাণ ৪৭৯২ ব্যাগ এবং প্লাজমা দিয়েছেন ৮ ব্যাগ । বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ নির্ণয় করে দেওয়া হয়েছে প্রায় ১২ হাজার অধিক লোকের ।রক্তদানে আমরা কেন্দুয়ার অন্যতম সদস্য আসিফ আহমেদ বলেন, আমাদের কোন কমিটি নেই । সংগঠনের সবাই সমান । মানুষের উপকার করাই আমাদের মূল লক্ষ্য ।

“মানবতার কল্যাণে এগিয়ে আসুন রক্তদানে” শ্লোগানকে সামনে রেখে ১৭ নভেম্বর ২০২২ সালে কিছু তরুণের উদ্যোগে গড়ে ওঠে রক্তদান ফাউন্ডেশন কেন্দুয়া । গত ১বছরে দুটি ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে ৬০০ জন ছাত্রছাত্রীর রক্তের গ্রুপ নির্ণয়, ১২০০জন ডোনেট সংগ্রহ , প্রতিমাসে মোট ১০জন বাচ্চাকে ব্লাড ম্যানেজ করে দেয়া ও তাদের মধ্য থেকে প্রতি মাসে ৮ জন থ্যালাসেমিয়া রোগীর জন্য বিভিন্ন গ্রুপের রক্ত সংগ্রহ করে যাচ্ছে ।রক্তদান ফাউন্ডেশন কেন্দুয়ার এডমিন ও প্রতিষ্টাতা পরিচালক লুৎফর রহমান বাবু বলেন, আমাদের এডমিন মডারেটর বা স্বেচ্ছাসেবী সবাই আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে ।

স্বেচ্ছায় রক্তদান সংগঠন কেন্দুয়া “যদি হই রক্তদাতা জয় করবো মানবতা” শ্লোগানে ২০২৩ সালের নভেম্বরে এক ঝাঁক তরুনের হাত ধরে যাত্রা শুরু করে । গত ডিসেম্বরে ৫৫ ব্যাগ, জানুয়ারিতে ৫৩ ব্যাগ রক্ত দান করা হয়েছে অসুস্থ ও মুমূর্ষু রোগীদের । বর্তমানে ১ জন এডমিন , ১০ জন মডারেটর ও ৫০ প্লাস স্বেচ্ছাসেবী নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে স্বতঃস্ফূর্তভাবে । সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ফুয়াদ হোসেন বাবু বলেন, রক্তদাতাদের অধিকাংশ তরুন ও স্টুডেন্টস । প্রায়ই রক্ত দিতে কেন্দুয়া ও কেন্দুয়ার বাইরে যেতে হয় । তাই স্টুডেন্টদের ক্ষেত্রে ভাড়া বহন করা হয় রোগী ও সংগঠনের পক্ষ থেকে ।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডা. মোঃ এবাদুর রহমান জানান, কেন্দুয়ায় রক্তদানে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলে কাজ করছে । এটি খুবই ভালো বিষয় । তবে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তেমন কোন অপারেশন হয় না । রক্তের প্রয়োজন খুবই কম হয় । তাছাড়া আমাদের এখানে কোন ব্লাড ব্যাংকও নেই ।