চার্চ অব বাংলাদেশের অনিয়ম ও দুর্নীতির তদন্তপূর্বক বিচার দাবি

দেশসেবা দেশসেবা

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ২:৫৫ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৩, ২০২৫
চার্চ অব বাংলাদেশ মডারেটর ঢাকার বিশপ স্যামুয়েল সুনিল মানখিনের বিভিন্ন অপরাধের তদন্ত ও বিচার দাবি করেছেন খৃস্টান কমিউনিটির নেতারা। তারা দাবি করেছেন, বিশপ স্যামুয়েল নিজের পরিবার, অনুগত লোকজন ও আওয়ামী লীগের নেতাদের সহায়তায় দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতি করে প্রচুর অর্ষ সম্পদের মালিক হয়েছেন। ৩১ জানুয়ারি শুক্রবার সকালে রাজধানীর ইস্কাটনে জাতীয় চার্চ পরিষদ মিলনায়তনে আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় তারা এ দাবি জানান। চার্চ অব বাংলাদেশ-এর অনিয়ম ও  দুর্নীতি দূরীকরণ অভিযানে নিবেদিত চার্চ অব বাংলাদেশ-এর বৈষম্যবিরোধী সংস্কারবাদী দল এই প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে। এতে সভাপতিত্ব করেন অগাস্টিন দীপক কর্মকার। প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন আগস্টিন দিপক কর্মকার,  জেমস মালাকার, যোসেফ সুদিন মন্ডল, মাইকেল বায়েন, জেমস রয়, মোশি বাবুল ঘরজা,   মাইকেল মালাকার, সুব্রত হাজরা, রবিন অধিকারী  শঙ্কর বিশ্বাস, রবার্ট বিশ্বাস, অ্যাডভোকেট জুয়েল মন্ডল, সঞ্জয় রাসেল মণ্ডল, অপু সরকার, মনিমালা বেবি, ইসাহাক মণ্ডল, দুলাল বাড়ৈ, শান্তণু বাড়ৈ, তাপস বাড়ৈ, শিশুদান বাড়ৈ, নিকোলাস সেন, প্রভাত হালদার, এন্ড্রু লিটন মণ্ডল, সুমন টিংকু মল্লিক, জর্জ মানস হালদার, বিধান সরকার, লিটন মণ্ডল, রিপন হালদার, শিমসন বিশ্বাস ও অন্যান্য চার্চ সদস্যরা। বক্তারা বলেন, হালুয়াঘাটের স্যামুয়েল সুনিল মানখিন অবৈধভাবে চার্চের ও সরকারি জমি বিক্রি, সীমাহীন কুকর্ম, অনিয়ম,  দূর্নীতি,  অর্থ আত্নসাৎ করছে। এই চক্রটি ট্যাক্সও ফাঁকি দিচ্ছে। তদন্তের মাধ্যমে তাদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান বক্তারা। বক্তারা দাবি করেন, স্যামুয়েল সুনিল মানখিন চার্চের সংবিধান পরিবর্তন করে এবং সরকারি নিয়োমের তোয়াক্কা না করে নিজের চাকুরির মেয়াদ ৬৮ বছর করিয়ে নিয়েছেন। এ অপকর্মে সহায়তা নিয়েছেন স্ত্রী মনিতা মানখিন, ছেলে আছিক চাম্বুগং, সিনড সম্পাদক রেভারেন্ড প্রভুদান হীরা, সিনড ডায়োসিসের কতিপয় সদস্য, শালোম উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তা ও ঢাকা ডায়োসিসের কয়েকজন পুরোহিতের। সভায় অভিযোগ করা হয়, ৫ আগস্টের পর গ্রেফতার হওয়া যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতা স্বপন মল্লিক বাবুকে চার্চের টাকা খরচ করে জামিনে মুক্ত করা হয়। বক্তারা দাবি করেন, হালুয়াঘাট মিশনের ৩ একর, রাজশাহী শহরের ১১ শতাংশ ও জণ্ডীপুর বয়েজ হোস্টেলের জমি নামমাত্র মূল্যে বিক্রি করা হয় এবং বিক্রির টাকা আত্মসাৎ করা হয়। এছাড়াও সৈয়দপুর, নওগাঁ,  কুষ্টিয়ার মশান, হালুয়াঘাট, পানিহাটা ও রাজশাহীর মহিষবাথান  বিক্রয় করে চার্চের অস্তিত্ব বিলীন করা হয়েছে। তারা বলেন, চার্চের ১০ কোটি টাকা নিয়ম বহির্ভূতভাবে ফিক্সড ডিপোজিট করে তার লভ্যাংশ আত্মসাৎ করা হচ্ছে। স্যামুয়েল সুনিল মানখিনের স্ত্রী মনিতা মানখিনের অনিয়ম ও দুর্নীতির উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, কুষ্টিয়া মিশন স্কুলে অডিট করতে না দিয়ে তিনি ৪২ লাথ টাকা আত্নসাৎ করেছেন। এছাড়াও স্কুলের দায়িত্বে থাকাকালে মিশনের নামে ১০ লাখ টাকা এফডিআর না করে আত্মসাৎ করেন এবং নিয়োগ ও বদলির নামে লাখ লাখ টাকা ঘুষ নিয়েছেন।