ভেঙে ফেলা হলো দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম নৌকা জাদুঘর। দেশসেবা দেশসেবা ডেস্ক রিপোর্ট প্রকাশিত: ১২:৪৭ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২৫ মোঃ শাহজালাল। । বিলুপ্ত প্রায় বাহারি নৌকাকে নতুন প্রজন্মের কাছে পরিচিত করানোর পাশাপাশি দেশি-বিদেশি পর্যটকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে বরগুনায় ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর উদ্বোধন করা হয়েছিল নৌকা জাদুঘর। যা ২০২১ সালের ১০ জানুয়ারি সকল দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে নৌকা জাদুঘরটি ভেঙে ফেলা হয়েছে এমন খবর শুনে উৎসুক জনতা জাদুঘরের সামনে ভিড় করেন। ৫ আগস্ট পট পরিবর্তনের পর নৌকা জাদুঘরে ভাংচুর ও আগুন দেওয়া হলেও এবার ভেঙে ফেলা হলো নৌকা জাদুঘরটি। খোজ নিয়ে জানা যায়, শনিবার ১ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টার দিকে প্রশাসনের নাকের ডগায় বিএনপি নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে ভেঙে ফেলা হয়েছে বরগুনায় নির্মিত দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম নৌকা জাদুঘর। স্থানীয় বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্ধ একত্রিত হয়েছে শ্রমিক দিয়ে ভেঙে ফেলে নৌকা জাদুঘরটি। যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মুরাদ খান সেখানে এসেছিলেন এবং জাদুঘর অপসারণে দিকনির্দেশনা দিচ্ছিলেন। প্রথমে গণমাধ্যম কর্মীদের ছবি কিংবা ভিডিও ধারণে বাধা দিলেও পরবর্তীতে স্ব-প্রণোদিত হয়েই ক্যামেরায় কথা বলেন অবস্থানকারীরা। মুরাদ খান জানান, ‘এখানে পূর্বে সাধারণ মানুষের জন্য একটি পাঠাগার ছিল। অনেক বড় বড় গাছ ছিল যা সরিয়ে বঙ্গবন্ধুর নামে জাদুঘর করা হয়েছে। এটি অপসারণ করে বা এর পাশে শহীদ জিয়া পাঠাগার করা হবে। জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট রেজবুল কবির, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মুরাদ উজ্জামান টিপন, চরকলোনী ১ নং ওয়ার্ডের সাবেক কমিশনার আমিনুল ইসলাম স্বপনসহ বিএনপি ও তার অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট রেজবুল কবির বলেন, ‘নানা অনিয়মের মধ্যে দিয়েই এ নৌকা জাদুঘর স্থাপন করা হয়েছিল। এছাড়াও এখানে একটি পাবলিক লাইব্রেরি ছিল সেটাও ভেঙে ফেলা হয়েছিল। তাই স্থানীয়দের জনদাবির কারণেই ভেঙে ফেলা হয়েছে নৌকা জাদুঘরটি। বিগত সরকারকে খুশি করতে যারা জাদুঘরটি স্থাপন করেছেন তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে। বিএনপির নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে গ্যাসের সিলিন্ডার দিয়ে নৌকা জাদুঘরের দুই প্রান্ত কাটার কাজে বেশ কয়েকজর শ্রমিক ছিল। এ সময় তারা নৌকা জাদুঘরের ঢোকার মূল ফটক বন্ধ করে দেয়। যাতে কেউ ভেতরে ঢুকে ছবি তুলতে না পারেন। যেখানে নৌকা জাদুঘরটি ভেঙে ফেলা হচ্ছিল তার পশ্চিম পাশেই রয়েছে জেলা আইনজীবি সমিতি, দক্ষিণ পাশে জেলা প্রশাসক ভবন ও আদালত ভবন, অদূরেই জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয় ও সদর থানা থাকলেও অজ্ঞাত কারনে নিরুত্তাপ ভূমিকা পালন করছে সবাই। বরগুনা জেলা প্রশাসন ভবন সংলগ্ন ৭৮ শতাংশ জমিতে ১৬৫ ফুট দৈর্ঘ্য এবং ৩০ ফুট প্রস্থের বিশাল নৌকার আদলে নির্মাণ করা হয় জাদুঘরের মূল স্থাপনায় স্থান পায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের বিলুপ্ত ও প্রচলিত ১০১ টি ঐতিহ্যবাহী নৌকার রেপ্লিকা। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্ত নের পর বিক্ষুব্ধ জনতা জাদুঘরটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। SHARES সারা বাংলা বিষয়: