বাউফলে খাদ্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গুরুত্বর অভিযোগ।

দেশসেবা দেশসেবা

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১১:৩৫ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২৫
পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার খাদ্য নিয়ন্ত্রক কমল গোপাল দে’র বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীর ডিলারশীপ নিয়োগের ক্ষেত্রে ঘুষ গ্রহণ, টিআর ও কাবিখা প্রকল্পের ডেলিভারী অর্ডার (ডিও) প্রদানের ক্ষেত্রে নির্ধারিত অংকের কমিশন আদায় ও কালোবাজারি ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ততার গুরুত্বর অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। অবশ্য এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কমল গোপাল দে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, কমল গোপাল দে বাউফলের খাদ্য নিয়ন্ত্রক হিসেবে যোগদানের পর থেকে দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত করেছেন তার অফিস। টিআর ও কাবিখা প্রকল্পের বরাদ্দকৃত চাল কালোবাজারে বিক্রির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন তিনি। আজিজ, চুন্নু, সুলতান ও মোতাহার সহ স্থানীয় কয়েক ব্যবসায়ীকে নিয়ে গড়ে তোলেন সিন্ডিকেট। এই সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ডিও আটকে রেখে উপজেলার সব প্রকল্প কমিটির কাছ থেকে বরাদ্দকৃত চাল ক্রয় করেন। ক্রয়কৃত চাল উপজেলার কালাইয়া ও বগা খাদ্য গুদামে মজুদ করে বেশী দামে বিক্রি করেন। এই প্রক্রিয়ার সব কিছুই পাকা হাতে নিয়ন্ত্রণ করেন কমল গোপাল দে। ধানচাল সংগ্রহ অভিযানের ক্ষেত্রেও ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। স্থানীয় কয়েকজন মিল মালিককে ম্যানেজ করে টিআর-কাবিখা প্রকল্পের মজুদ করা চাল নতুন মোড়কে প্যাকেটজাত করে কাগজে কলমে চাল সংগ্রহ অভিযান সম্পন্ন করেন তিনি। তার এসব কর্মকান্ডে সহায়তা করেন বগা ও কালাইয়া খাদ্য গুদামের ইনচার্জ। খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীর ডিলারশীপ নিয়োগের ক্ষেত্রে নির্ধারিত অংকের উৎকোচ আদায়ের অভিযোগ রয়েছে কমল দে’র বিরুদ্ধে। গত ৫ আগষ্ট শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর বাউফল উপজেলায় থাকা ৪১ জন ডিলারের মধ্যে ২২ জন আত্মগোপনে চলে যান। এরপর এই কর্মসূচীর চাল বিতরনের ক্ষেত্রে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। তখন উর্ধ্বতন কর্মকর্তার  নির্দেশে জরুরী ভিত্তিতে ২২ জন নতুন ডিলার নিয়োগ দেন কমল দে। ওই ডিলার নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রত্যেকের কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা ঘুষ নেন কমল দে। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় এক বিএনপির নেতা তার বিরুদ্ধে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। পরে অবশ্য ওই বিএনপি নেতাকে ম্যানেজ করে কমল গোপাল দে বীরদর্পে চালিয়ে যাচ্ছেন ঘুষ বাণিজ্য। দাসপাড়া এলাকার খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর ডিলার আরিফুল ইসলাম বলেন, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কমল গোপাল দে আমাদের প্রত্যেকের কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা করে ঘুষ নিয়েছেন। এদিকে কমল গোপাল দে চরফ্যাশন উপজেলার শশীভূষণ খাদ্য গুদামের কর্মকর্তা থাকাকালীন ব্যাপক অনিয়ম দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। সেখানকার খাদ্য গুদামের আবাসিক কোয়ার্টারে বসবাস করলেও নিয়মিত ভাড়া পরিশোধ করতেন না তিনি। বিষয়টি নিয়ে তখন বিভিন্ন পত্রিকায় খবর প্রকাশিত হয়েছিল। এসব অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কমল গোপাল দে বলেন, বিগত ১ বছর ধরে টিআর-কাবিখার বরাদ্দ নেই। আর কালোবাজারিদের সঙ্গে আমার কোনো সিন্ডিকেট নেই। অভিযোগগুলো সত্য নয়।