শেরপুরে ধান কাটা মৌসুমে হাতি-মানুষ দ্বন্দ্ব; ফসলের ব্যাপক ক্ষতি দেশসেবা দেশসেবা ডেস্ক রিপোর্ট প্রকাশিত: ১১:৫০ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ২৮, ২০২৫ মোঃ মুরাদ মিয়া।।] শেরপুর জেলার গারো পাহাড় সংলগ্ন সীমান্তবর্তী এলাকা, বিশেষ করে ঝিনাইগাতী, শ্রীবরদী ও নালিতাবাড়ী উপজেলায়, প্রতি বছর ধান কাটা মৌসুমে বন্য হাতি ও মানুষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এই দ্বন্দ্বের ফলে মানুষের প্রাণহানি, ফসলের ক্ষতি এবং হাতির মৃত্যু ঘটছে। গারো পাহাড়ের বনভূমি উজাড় হওয়ায় হাতির প্রাকৃতিক আবাসস্থল সংকুচিত হয়েছে। ফলে খাদ্যের অভাবে হাতির দল লোকালয়ে প্রবেশ করে। ধান পাকতে শুরু করলে এর গন্ধ হাতিকে আকৃষ্ট করে। খাদ্যের লোভে হাতির দল ফসলের মাঠে প্রবেশ করে এবং ব্যাপক ক্ষতি করে। কৃষকরা তাদের ফসল রক্ষার চেষ্টা করলে অনেক সময় মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে কৃষকের প্রাণহানি, আহত হওয়া এবং অর্থনৈতিক ক্ষতির পাশাপাশি হাতিও আহত বা নিহত হয়। গত এক দশকে হাতির আক্রমণে শিশুসহ ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং প্রায় দুই শতাধিক মানুষ আহত হয়েছে।একই সময়ে গর্তে পড়ে কিংবা মানুষের তৈরি বৈদ্যুতিক ফাঁদে আটকে ২৭টি হাতির মৃত্যু হয়েছে। হাতির আক্রমণে নিহতের পরিবারকে ৩ লাখ টাকা, আহতদের চিকিৎসার জন্য ১ লাখ টাকা এবং ফসলের ক্ষতি হলে ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়। তবে এই ক্ষতিপূরণ পেতে অনেক সময় ভোগান্তি পোহাতে হয়। শেরপুরে ধান কাটা মৌসুমে হাতি-মানুষ দ্বন্দ্ব একটি গুরুতর সমস্যা। এই সমস্যা সমাধানে প্রয়োজন সমন্বিত পরিকল্পনা, কার্যকর উদ্যোগ এবং স্থানীয় জনগণের অংশগ্রহণ। মানুষ ও বন্যপ্রাণীর সহাবস্থান নিশ্চিত করাই ভবিষ্যতের জন্য টেকসই সমাধান। SHARES অপরাধ ও দুর্নীতি বিষয়: