সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুরে দক্ষিণপাড়া গুরুত্বপূর্ণ তালতলা রোডের সংস্কারকাজ বিগত ছয় মাস ধরে সম্পূর্ণভাবে বন্ধ রয়েছে ঠিকাদারের দাবি’বাজেট নেই দেশসেবা দেশসেবা ডেস্ক রিপোর্ট প্রকাশিত: ১:১২ অপরাহ্ণ, মে ৩, ২০২৫ এইচ এম হক।। সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুরে দক্ষিণপাড়া গুরুত্বপূর্ণ তালতলা রোডের সংস্কারকাজ বিগত ছয় মাস ধরে সম্পূর্ণভাবে বন্ধ রয়েছে। সংশ্লিষ্টদের উদাসীনতা এবং বাজেট ঘাটতির অজুহাতে সড়কটি এখন পরিণত হয়েছে ধুলোবালি, ভাঙা ইট ও দুর্ভোগের এক দুর্বিষহ চিত্রে। সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, সড়কজুড়ে ছড়িয়ে আছে ভাঙা ইট ও নির্মাণসামগ্রী। কোথাও নেই বিটুমিন বা পাকাকরণের কোনো চিহ্ন। চলাচলের উপযোগী হওয়ার পরিবর্তে এটি এখন যেন এক বিপজ্জনক ফাঁদ, যেখানে প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোটখাটো দুর্ঘটনা। এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন যাতায়াত করেন খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালের রোগী, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। রাস্তাটির পাশেই রয়েছে বৃহৎ হাট, যেখানে বিশেষ করে শুক্রবারে মানুষের ভিড় ছাড়িয়ে যায় হাজারেরও বেশি। সেইসঙ্গে চলাচল করে ভ্যান, অটোরিকশা, মোটরসাইকেলসহ নানা ধরনের যানবাহন। অথচ দীর্ঘদিন ধরে সড়কটির এমন বেহাল দশা যেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরবহির্ভূতই রয়ে গেছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হাসান অ্যান্ড সঙ্গ-এর স্বত্বাধিকারী মো. মাহবুবুর রহমান পান্না বলেন, “এলজিইডির বাজেট না থাকায় আমরা কাজ বন্ধ রেখেছি। প্রকল্পটি ‘আইডিবি থ্রি’-এর আওতাভুক্ত হলেও এখনো কোনো নির্দিষ্ট বরাদ্দ হাতে আসেনি।” স্থানীয়দের অভিযোগ, সংস্কারকাজ শুরুর সময় কিছু নিম্নমানের ইট ফেলা হলেও, এরপর আর কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি হয়নি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে রাস্তাটির অবস্থা আরও ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। একজন ক্ষুব্ধ ভ্যানচালক বলেন, “মেডিকেলের রোগী আনি-নিই, কিন্তু এই রাস্তায় গাড়ি উল্টে যায়। রোগী যে অবস্থায় আসে, এখান দিয়ে যাওয়ার পর অবস্থা আরও খারাপ হয়।” সড়কটি শুধু চিকিৎসা বা বাজার ব্যবস্থার জন্য নয়, স্থানীয় শিক্ষার্থী, কৃষক ও ব্যবসায়ীদের নিত্য যাতায়াতের একমাত্র ভরসা। দীর্ঘদিন সংস্কারকাজ বন্ধ থাকায় জনজীবনে নেমে এসেছে চরম দুর্ভোগ। সড়কজুড়ে জমে আছে ভাঙা ইট ও ধুলো, যা পথচারীদের চলাচলে বিঘ্ন ঘটানোর পাশাপাশি এলাকাটিকে করে তুলেছে অস্বাস্থ্যকর ও অস্বস্তিকর। এখন এলাকাবাসীর প্রশ্ন” এত গুরুত্বপূর্ণ একটি সড়কের কাজ শুরুর আগে বাজেট নিশ্চিত করা হয়নি কেন? এবং ছয় মাস পেরিয়েও কেন নেওয়া যায়নি কোনো কার্যকর উদ্যোগ?” এই প্রশ্নের উত্তর এখন সময়ই দেবে, নাকি এলাকাবাসীকে আরও দীর্ঘসময় অপেক্ষা করতে হবে, সেটাই দেখার বিষয়। SHARES সারা বাংলা বিষয়: