চীনের সাথে জোরালো আলোচনা চলছে শ্রীঘ্রই তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন হবে- সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান

দেশসেবা দেশসেবা

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ৩:৩৬ অপরাহ্ণ, জুলাই ১৬, ২০২৫

আসাদুজ্জামান।।

মঙ্গলবার (১৫, জুলাই) দুপুরে কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলা ঘড়িয়াল ডাঙ্গা ইউনিয়নে খিতাবখাঁ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন তিস্তা নদীর বাম তীরে পূর্ব সর্তকর্তামূলক কাজের পরির্দশনে এসে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, চীনের সাথে জোরালো আলোচনা চলছে শ্রীঘ্রই তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন হবে। তিনি বলেন, তিস্তার নদীর গতি প্রকৃতি অনেকটাই আমাদের উপর নির্ভর করে না। এটা নির্ভর করে উজানের দেশের উপর। সরকারি পর্যায় থেকে তিস্তা মহাপরিকল্পনা ব্যাপারে কাজ করা হয়েছিল। আপনারা জানেন যে ২০১১ সালে একটা চুক্তি করা হয়েছিল তবে সেই চুক্তি এখনো স্বাক্ষর করা হয় নি তবে সেই প্রক্রিয়া ও সেই কাজ এখনো চলমান রয়েছে। পাশাপাশি তিস্তা যেহেতু আমাদের দেশের নদী, ভাটির দেশের জনগণ হিসেবে এই নদীর উপর তো আমাদের একদম অধিকার আছে। আমাদের জনগোষ্ঠী,জনপদ, দেশের একটা অধিকার আছে সেটা আমরা কেমন করে সুরক্ষিত রাখতে পারি সেজন্য চীন সরকারের সাথে ২০১৬ সালে একটা স্মারক দেয়া হয়েছিল যার পরে একটা প্লান দেয়া হয়েছিল সেই প্লান আর আগায় নি। আমরা এসে জনগণের দাবি শুনেছিলাম যে তাঁরা তিস্তাকে নিয়ে একটা মহাপরিকল্পনা চায়। আমরা এসে সেই পরিকল্পনাকে মহাপরিকল্পনায় রুপ দেওয়ার জন্য চীন সরকারের সাথে কথাবার্তা শুরু করেছি। আপনারা জানেন যে এখানে আমরা পাঁচটা গণশুনানি এখানে করেছি। যাতে এই পরিকল্পনা সরকারের পরিকল্পনা না হয়ে জনগণের আশা আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটানোর পরিকল্পনা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন পানি উন্নয়ন বোর্ড এর মহাপ‌রিচালক এনা‌য়েত উল্লাহ, উত্তরাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী মাহবুবর রহমান, কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক নুসরাত সুলতানা, পুলিশ সুপার মাহফুজুর রহমান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান, রাজারহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার আল ইমরান, জাতীয় নাগরিক পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ন আহ্বায়ক ড. আতিক মুজাহিদ প্রমুখ। এবিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, কুড়িগ্রামের রাজাহাট ও উলিপুর উপজেলার ২৪ টি পয়েন্টে ৩৬ কোটি টাকা ব্যয়ে পূর্ব সতর্কতামূলক তিস্তা নদীর বাম তীর সংরক্ষণের কাজ চলমান রয়েছে। বর্তমানে চলমান কাজের প্রায় শতকরা ৮০ ভাগের উপরে সম্পন্ন হয়েছে চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে বাকী কাজ শেষ হবে। #