হতাশ চাষী মধুখালীতে কাঁচা মরিচের ঝাল নিম্নগতী প্রতি কেজি ১২৫টাকা

দেশসেবা দেশসেবা

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ৪:৩০ অপরাহ্ণ, জুলাই ১৭, ২০২৫
ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলা প্রধান মরিচের হাট মধুখালী পৌর সদর বাজার হঠাৎ করে এক লাফে পাইকারী প্রতিমণ মরিচের দাম ১০হাজার থেকে সাড়ে ১১হাজার টাকা বিক্রি হতে দেখা যায়। দেশের বিভিন্ন জেলা শহর থেকে প্রতিদিন ব্যাপারীরা মরিচ খরিদ করতে আসেন এ বাজারে। মধুখালী বাজারে  সোমবার ও শুক্রবার দুটি হাটে আড়তে বিক্রির জন্য এলাকার উৎপাদিত মরিচ নিয়ে আসে কৃষক। হঠাৎ সোমবার হাটে একলাফে ৬হাজার টাকার মরিছ ১০হাজার ও ১১হাজার টাকা পাইকারী বিক্রি হয়। তা বাজারে খুচরা বিক্রেতার প্রতিকেজি মরিচ ৩২০টাকা থেকে ৩৩০টাকায় বিক্রি করছেন।
১৭ জুলাই ২০২৫খ্রি. বৃহস্পতিবার  আড়তে ৫হাজার ১শ টাকা প্রতিমন বিক্রয়  হয়েছে।
মধুখালী মরিচ বাজারের আড়ৎদার মির্জা আহসানুজ্জামান আজাউল ও আতিয়ার রহমান মোল্যা জনান, অতিবৃষ্টির কারণে মরিচ গাছ মরে যাওয়া পানিতে গাছ তলিয়ে যাওয়ার কারণে মরিচের আবাদ কম হয়। সোমবার হাটে আমদানী কম হওয়ায় ব্যাপারীদের চাহিদা বেশী থাকায় মরিচের দাম এক লাফে বৃদ্ধি পায়। বৃহস্পতিবার আড়তে প্রতিমন ৫ হাজার  ১শ টাকায় ক্রয় বিক্রয় হয়েছে। আড়ৎ মুল্য প্রতিকেজি ১২৫টাকা। মরিচের দাম  আমদানী ও চাহিদার  উপর উঠানামা করে। হঠাৎ করে মরিচের দাম নিম্নগামী  হওয়ায় চাষীরা হতাশ। এক লাফে ১০/১১ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা প্রতিমন।
উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের ব্যাসদী গ্রামের মরিচ চাষী মোঃ কাউয়ুম শেখ জানান ৬৫ শতাংশ  জমিতে চাষ করেছিলাম  অতি বৃষ্টিতে ৩০শতাংশ  জমি পানিতে তলিয়ে যাওয়ার কারনে মরিচ গাছ মরে যায় । লাভের মুখ  আর দেখা হবে না ।  একই গ্রামের মোঃ জলিল শেখ ৩৫ শতাংশে মরিচের চাষ করেছেন বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে  অবশিষ্ট আছে ২০ শতাংশের মত যে টাকা খরচ হয়েছে সেটা ঘরে আসবে না ।
উপজেলা কৃষি অফিস থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুসারে চলতি বছর মধুখালী উপজেলায় মোট ২হাজার ৬শ ৫০হেক্টর জমিতে মরিচের আবাদ করা হয়। অতি বৃষ্টিতে ১৫০ হেক্টর আক্রান্ত হয়। এছাড়া ১০ হেক্টর জমির মরিচ ক্ষতি হয়। অতিবৃষ্টির কারণে মরিচ গাছের ফুল নষ্ট হচ্ছে, ফুল হলেও পরাগায়ন কম হচ্ছে। যার জন্য মরিচের ফলন কম হচ্ছে।
বিডি সজিব ।।