পানি ভাতের কুদ্দুইচ্ছে! বা লোকশিল্পী আবদুল কুদ্দুস বয়াতি

দেশসেবা দেশসেবা

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ৭:১৪ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২০, ২০২৫
কোহিনূর আলম..
প্রায়শই তিনি কথায় কথায় /বিভিন্ন মঞ্চে বলে থাকেন, আমি পানি ভাতের কুদ্দুইচ্ছে! তাঁর মানে হচ্ছে তিনি তাঁর শিখড় ভুলে যান নি । একটি সময় গ্রামে গ্রামে বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে গানের আসর জমাতেন । ঐ সময় আবহমান বাঙালির অন্যতম প্রধান খাবার পানি ভাত খেয়েই আসর শেষ করতে হতো তাঁর ।
যা-ই হোক আবদুল কুদ্দুস বয়াতি মূলত ১৯৪৯ সালের ২২ জানুয়ারি, নেত্রকোণার কেন্দুয়ার রাজীবপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন । তাঁর পিতার মাধ্যমে মাত্র ১১ বছর বয়স থেকে সঙ্গীত চর্চা শুরু করেন । আর্থিক অনটনে লেখাপড়ার সুযোগ পাননি। পরবর্তীতে কাজের সন্ধানে ঢাকা চলে আসেন । এ সময় কিছুদিন আফজাল হোসেনের সাথে পরিচয়ের সূত্র ধরে চারণ সঙ্গীতের প্রামাণ্যচিত্রে অভিনয় করেন ।
কদ্দুস বয়াতির দুটি একক অ্যালবামের নাম সোনার নূপুর, আম খায়ো জাম খায়ো তেঁতুল খায়ো না। এছাড়া এছাড়াও অসংখ্য জনপ্রিয়ো বিজ্ঞাপণচিত্র, নাটক ও প্রামাণ্যচিত্রে গান গেয়েছেন তিনি । ব্যক্তিগত জীবনে কুদ্দুস বয়াতি চার ছেলে ও তিন মেয়ের জনক ।
কুদ্দুস বয়াতি বাংলাদেশি একজন জনপ্রিয়ো লোকসঙ্গীত শিল্পী । তাঁকে বিভিন্ন মাধ্যমে বাংলাদেশের ‘লোকসঙ্গীতের মহাতারকা’ বলেও সম্বোধন করা হয় । তিনি ১৯৯২ সালে প্রয়াত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের নির্মিত বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষার প্রচারণার অংশ হিসেবে গাওয়া ‘এই দিন, দিন না আরো দিন আছে’ শিরোনামে একটি গানের মাধ্যমে পরিচিতি পান । কোভিড-১৯ রোগের প্রাদুর্ভাবকালীন ব্র্যাকের পক্ষ থেকে তিনি জাইনা চলেন, মাইনা চলেন গানে অংশ নেন ।
তাঁর সম্পর্কে কেন্দুয়া প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহসভাপতি ও সাংবাদিক মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, লোকশিল্পী আবদুল কুদ্দুস বয়াতি কেন্দুয়া তথা সারা দেশের সম্পদ । তিনি আরো বলেন, কেন্দুয়ার রোয়াইলবাড়ি আমতলা ইউনিয়নের গর্ব কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের হাত ধরেই মূলত কুদ্দুস বয়াতির উত্থান । তাছাড়া মিডিয়া কভারেজও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছে ।