নবীনগরের লহরী গ্রামে নতুন করে বোরো আবাদ বৃদ্ধি পেয়েছে ১৫০ বিঘা

দেশসেবা দেশসেবা

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১:২০ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১৮, ২০২৪

ফরিদ আহমেদ।ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার রছুল্লাবাদ ইউনিয়নের লহরী গ্রামে প্রথমবারের মতো বোরো আবাদ হয়েছে ১৫০ বিঘা জমিতে। শুষ্ক মৌসুমে পানির অভাবে রছুল্লাবাদ ইউনিয়নের বেশির জমি রবি শস্য উৎপাদন হতো, অনেক জমি ফাঁকা পড়ে থাকতো। গত অর্থবছরে স্থানীয় উপজেলা কৃষি বিভাগের পরামর্শে কুমিল্লা-চাঁদপুর-ব্রাক্ষণবাড়িয়া জেলা সেচ এলাকা উন্নয়ন প্রকল্পের অর্থায়নে বিএডিসি কর্তৃক ১-কিউসেক সোলার এনএলপি সেচ স্ক্রীম স্থাপন করা হয়। যার ফলে প্রায় ৩০০ বিঘা জমি আবাদের আওতায় এসেছে। এরমধ্যে প্রথমবারের মতো আবাদ হয়েছে বোরো ধান।

কৃষক কাউছার জানান, প্রথমবারের মতো বোরো আবাদ আমাদের সম্ভব হয়েছে পানির ব্যবস্থা করার জন্য। এই ফসলটি আমাদের জন্য একটি স্বপ্নের মতো।

কৃষক স্বপন মিয়া জানান, প্রথমবারের মতো আমি দুই বিঘা জমি বোরো আবাদ করেছি, আশাকরি ভালো ফলন পাবো। সরকারকে ধন্যবাদ এই ধরনের প্রকল্প আমাদের উপহার দেওয়ার জন্য।

রছুল্লাবাদ ইউনিয়নের উপ-সহকারী কৃষি অফিসার সমীর চন্দ্র মজুমদার জানান, বোরো মৌসুমে প্রণোদনার আওতায় এখানে কৃষকদের আমরা বীজ, সার দিয়েছি এবং নিয়মিত পরিদর্শন করে পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে।

উপজেলা বিএডিসি উপ-সহকারী প্রকৌশলী আল-আমিন জানান, কুমিল্লা-চাঁদপুর-ব্রাক্ষনবাড়িয়া জেলা সেচ এলাকা উন্নয়ন প্রকল্পের অর্থায়নে বিএডিসি কর্তৃক ১-কিউসেক সোলার এনএলপি সেচ স্থাপন করা হয়েছে নতুন এই সেচ ব্যবস্থা এই এলাকার কৃষিতে ইতিবাচক প্রভাব রাখবে।

উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো: জাহাঙ্গীর আলম লিটন জানান, আমাদের বোরো মৌসুমে উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য সেচ ব্যবস্থার প্রয়োজন হয়, আমরা সেচ ব্যবস্থা উন্নয়ন, কৃষকদের প্রণোদনার আওতায় কৃষি উপকরণ দেওয়া, প্রশিক্ষণ দেওয়া সহ নানামুখী কাজ করছি। এই স্কীমের আওতায় চলতি মৌসুমে ১৫০ বিঘা জমি নতুন করে আবাদের আওতায় এসেছে, আগামী মৌসুমে আরো বাড়বে।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায় চলতি মৌসুমে নতুন করে বোরো আবাদ বৃদ্ধি পেয়েছে ১০০ হেক্টর। সবমিলিয়ে বোরো মৌসুমে আবাদ হয়েছে ১৮১০০ হেক্টর। চলতি মাস থেকেই ধান কর্তন শুরু হয়েছে, রেকর্ড উৎপাদন হবে বলে জানায় কৃষি বিভাগ।