শেরপুর জেলার দুইটি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিজয়ী হলেন যারা

দেশসেবা দেশসেবা

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ৩:০৬ অপরাহ্ণ, মে ৯, ২০২৪

মোঃ মুরাদ মিয়া।প্রথম ধাপের ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে শেরপুর জেলার শ্রীবরদী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন জাহিদুল ইসলাম জুয়েল, ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন হাফিজুর রহমান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন ফুলমালা।

৮ মে বুধবার রাতে শ্রীবরদী ও ঝিনাইগাতী উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে ফলাফল সংগ্রহ ও পরিবেশন কেন্দ্রে বেসরকারিভাবে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়।

শ্রীবরদী উপজেলার চেয়ারম্যান পদে হেলিকপ্টার প্রতীক নিয়ে ২৫ হাজার ১২৩ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন জাহিদুল ইসলাম জুয়েল। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী পেয়েছেন ছালাহ উদ্দিন ছালেম পেয়েছেন ১৯ হাজার ১০ ভোট।

এছাড়াও ভাইস চেয়ারম্যান পদে তালা প্রতীক নিয়ে হাফিজুর রহমান ১৩ হাজার ৬২৪ ভোট ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে পদ্মফুল প্রতীক নিয়ে ফুলমালা ৩২ হাজার ৯০৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছে।

ফলাফল ঘোষণার সময় শেরপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (আইসিটি ও শিক্ষা) মোহাম্মদ রাজীব উল আহসান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফৌজিয়া নাজনীন, সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তা একেএম মোর্শেদ আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

অপরদিকে ঝিনাইগাতী উপজেলাতে চেয়ারম্যান পদে আমিনুল ইসলাম বাদশা বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন রকিবুল ইসলাম রুকন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন জেসমিন আক্তার।

চেয়ারম্যান পদে আমিনুল ইসলাম বাদশা, দোয়াত-কলম প্রতীকে ১৮ হাজার ৮৮৩ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী ফারুক আহমেদ ফারুক পেয়েছেন ১৬ হাজার ৫২ ভোট।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে রকিবুল ইসলাম রুকন, চশমা প্রতীকে ১৩ হাজার ২০৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী টিউবওয়েল প্রতীকের প্রার্থী বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী পেয়েছেন ১০ হাজার ৯৯৪ ভোট।

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে জেসমিন আক্তার, ফুটবল প্রতীকে ২০ হাজার ৮৪৭ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রজাপতি প্রতীকের প্রার্থী লাইলী বেগম পেয়েছেন ১১ হাজার ৯৭৫ ভোট।

বুধবার সকাল ৮টা থেকে উপজেলার ৫৫টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ শুরু হয়, যা চলে একটানা বিকাল ৪টা পর্যন্ত। সকালের দিকে উপস্থিত কম হলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে ভোটার উপস্থিতি কিছুটা বাড়ে। বিশেষ করে নারী ভোটারের উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়। শান্তিপূর্ণভাবে ঝিনাইগাতী উপজেলায় ভোট গ্রহণ কার্যক্রম শেষ হয়, কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।