আগামীকাল কয়রায় ১৪ হাত কালী পূজা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে

দেশসেবা দেশসেবা

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ৩:৫৫ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২১, ২০২৪

অরবিন্দ কুমার মণ্ডল।।খুলনার কয়রা সদর ইউনিয়নের ৬নং কয়রা সার্বজনীন শ্রীশ্রী কালী পূজা মন্দিরে পূজা উদযাপন কমিটির আয়োজনে ৮০ বিঘা দেবোত্তর সম্পত্তির সার্বজনীন মানুষিক ১৪ হাত কালী পূজা আগামীকাল শনিবার অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।এই কালী পূজা মানষিককারী ইউপি সদস্য হরেন্দ্র নাথ সরদার বলেন, ৬নং কয়রা সার্বজনীন শ্রীশ্রী গোবিন্দ জিঁউ ঠাকুর মন্দিরের ৮০ বিঘা দেবোত্তর সম্পত্তি দীর্ঘদিন বেদখল হওয়া থেকে দখল হওয়ায় মনোবাসনা পূর্ণ হওয়ায় আমরা গোবিন্দ জিঁউ ঠাকুর মন্দিরে ১৪ হাত কালী পূজার মানষিক করি। কিন্তু বিভিন্ন প্রতিকূলতার মধ্য থেকেও ৮০ বিঘার মানষিক পূজাটি সম্পন্নে ব্রতী হয়েছি। ১৪ হাত কালী পূজার সাথে ১০ মহাবিদ্যার পূজাও অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এই পূজাটি সম্পন্ন করার জন্য ৪ জন ভাষ্কর, পূজা উদযাপন কমিটি ও এলাকার যুব সম্প্রদায় প্রায় এক মাস ধরে নিরলসভাবে পরিশ্রম করে প্রতিমা তৈরীর কাজ সম্পন্ন করে আগামীকাল পূজা করতে যাচ্ছি। তবে এই বৃহ্ৎ প্রতিমা তৈরীতে যারা নিরলসভাবে পরিশ্রম করেছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
তিনি আরো বলেন, আগামীকাল ২১ ডিসেম্বর শনিবার রাতে কালী ও ১০ মহাবিদ্যার পূজা অনুষ্ঠিত হবে।
২২ ডিসেম্বর রবিবার বিকাল ৪ ঘটিকায় “কবি গান” অনুষ্ঠিত হবে।২৩ ডিসেম্বর সোমবার সামাজিক যাত্রাপালা ” মমতাময়ী মা” মঞ্চস্ত হবে।২৪ ডিসেম্বর মঙ্গলবার ধর্মীয় যাত্রাপালা ” রাজা হরিশ্চন্দ্র” মঞ্চস্ত হবে।৪ দিন ব্যাপী এই ১৪ হাত কালী ও ১০ মহাবিদ্যা পূজা দর্শনের জন্য সকলকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।
তাৎপর্যঃশক্তির আরাধ্য দেবী কালী দেবীর মূর্তি জ্ঞান, কর্ম, কর্মফল ও ত্যাগের তাৎপর্য তুলে ধরে। কালী পূজার মাধ্যমে মোক্ষলাভ হয়ে থাকে। কালী দেবীর কোমরের হাতগুলো কর্মের তাৎপর্য তুলে ধরে ও শ্মশানবাস জীবনের শেষ পরিণতিকে নির্দেশ করে। এছাড়া মুণ্ডগুলো জ্ঞানের ধারক। কালীপূজার বহু তাৎপর্য আছে যা তার রুপের মধ্য দিয়ে প্রতিফলিত হয়।সনাতন ধর্মে দেবী অর্থাৎ দিব্যজননী নিরাকার আদ্যাশক্তি পার্বতীর সাকার ১০টি বিশেষ রূপের সমষ্টিগত নাম। এই দশটি রূপ হলো দেবী পার্বতীর দশটি স্বরূপ। দেবীত্বের এই ক্রমবিকাশে একদিকে যেমন রয়েছেন ভয়ংকরী দেবী মূর্তি। তেমনি অপর প্রান্তে রয়েছেন অপূর্ব সুন্দরী দেবিপ্রতিমা। মোক্ষলাভের আশায় অনেক সময় ১০ মহাবিদ্যার পূজা করা হয়। এই ১০ মহাবিদ্যা হলো১) কালিঃ কালী দেবী যিনি ব্রহ্মের চূড়ান্ত রূপ। সর্বসংহারকারিণী, জন্ম ও শক্তির দেবী।২) তারাঃ তারা দেবী যিনি পথ প্রদর্শিকা ও রক্ষিকা। বিশ্বের উৎস হিরণ্যগর্ভের শক্তি এবং মহাশূন্যের প্রতীক।৩) ত্রিপুরাসুন্দরীঃ  যিনি পূন্যতাও পূর্ণাঙ্গতার স্বরূপ।৪) ভুবনেশ্বরীঃ যিনি বিশ্বজনীন। পার্থিব জগতের শক্তি সমূহের প্রতীক।৫) ভৈরবীঃ যিনি ভয়ংকারিনী। সেই কামনা ও পরলোভনের স্বরূপ যা মৃত্যুর দিকে টেনে নিয়ে যায়।৬) ছিন্নমস্তাঃ যিনি উলঙ্গিনী, সঙ্গদাত্রী ও রক্তদাত্রী দেবী মূর্তি।৭) ধূমাবতীঃ  যিনি বিধবা দেবীমূর্তি। অগ্নির দ্বারা জগৎ ধ্বংসের পর ভষ্মরাশির মধ্য থেকে যে ধূম নির্গত হয় তার স্বরূপ।৮) বগলামুখীঃ যিনি শত্রু বিনাশিনী দেবী। ঈর্ষা, ঘৃণা ও নিষ্ঠুরতার মতো মানব চরিত্রের অন্ধকার দিক নিয়ন্ত্রণ করেন।৯) মাতঙ্গীঃ  যিনি কর্তৃত্ব শক্তির দেবী। জাতিহীনা দেবী, ললিতার প্রধানমন্ত্রী।১০) কমলাত্মিকা বা কমলাকামিনীঃ যিনি বরাভয় প্রদায়িনী শুদ্ধ চৈতন্যের দেবী। যিনি পদ্মে বাস করেন।