কেন্দুয়ায় দেখা মিলেছে বন্যপ্রাণী বানরের

দেশসেবা দেশসেবা

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ২:৩৯ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২১, ২০২৫
কোহিনূর আলম।। নেত্রকোণার কেন্দুয়া পৌরসভায় জানুয়ারীর প্রথম সপ্তাহ থেকে হঠাৎ করেই একটি বানর দেখা যাচ্ছে বলে জানা যায় স্থানীয় সূত্রে । গত শনিবার (১৮ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে ব্যবসায়ী মাহফুজুর রহমান জানান, পৌরসভার চন্দগাতী গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল মতিন নামে এক ব্যক্তি বানরটি ধরতে সক্ষম হয়েছেন বলে শুনেছেন । অতঃপর রবিবার (১৯ জানুয়ারী) আনুমানিক সকাল সাড়ে ১১টায় আব্দুল মতিনের বাড়িতে গিয়ে প্রথমে তাকে না পেলেও জানা যায়, তিনি আসলে বানরটি ধরেন নি । কথা হয়, মতিনের ভাতিজা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক তাপশের সাথে । তিনি বলেন, আমিও বানরটি দেখেছি । বনবিভাগের দৃষ্টি আকর্ষণও করেন তিনি । কিছু সময় বাদে আব্দুল মতিনের বক্তব্যে ওঠে আসে, তিনি বানরটিকে ধরার চেষ্টাই করেন নি । তবে এলাকার ছোট ছোট বাচ্চারা বানরটিকে ঢিল মারতে দেখেছেন । বানরটি যথেষ্ট বড়সড় ছিলো । প্রায় ১০/১৫ দিন আগে দেখেছিলেন তিনি । আরামবাগের বাসিন্দা মোঃ আবুল হাসেমের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, সাদেক স্যারের মসজিদের পাশে ও কেন্দুয়া থানা মসজিদের পাশেও বানরটিকে দেখতে পেয়েছিলাম । এছাড়াও সাউদপাড়া ও দরগার মোড়ে বানরটিকে দেখা গিয়েছে বলে শুনেছেন তিনি । এরপর কেন্দুয়া থানার সামনে ও পোস্ট অফিস সংলগ্ন চা বিক্রেতা বাবুল মিয়ার কাছে জানতে চাইলে জানান, বানরটি কয়েকদিন আগে তার চা দোকান ঘরের চালায় বসেছিলো । ছবি ও ভিডিও করেছে তানজিম শপিং পয়েন্ট এন্ড গিফট কর্ণারের একজন । এবার কথা হয় উক্ত প্রতিষ্ঠানের রিয়াজের সাথে । রিয়াজ বলেন, বানরটিকে আমি কলা খাইয়েছি । পাশাপাশি একটি ভিডিও করেছি । তিনি আরো বলেন, বানরটিকে কেউ দেখতে পেলে বা ধরতে পেলে যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে যেনো হস্তান্তর করা হয় । যদিও এই এলাকায় সাধারণত বানরের অস্তিত্ব দেখা মিলে না । তবে উল্লেখিত কেউই নিশ্চিত করতে পারেন নি, এই বানরটি কবে, কোত্থেকে এই শহরে এলো । কেন্দুয়া প্রেসক্লাবের সম্মানিত সদস্য, উপজেলা  উদীচী শিল্পী গোষ্ঠীর সভাপতি, উপজেলা সংস্কৃতি পরিষদের আহ্বায়ক, নাট্যকার ও সাংবাদিক রাখাল বিশ্বাস বলেন, দিন দিন বন উজার হচ্ছে । বন্যপ্রাণীরা হারাচ্ছে তাদের আবাসস্থল । পড়ছে মারাত্মকভাবে খাদ্য সংকটে । এতে পরিবেশ হারাচ্ছে তার ভারসাম্য । তিনি আরো বলেন, টাঙ্গাইল-মধুপুর থেকে কলাসহ বিভিন্ন ফল-ফলাদি আমদানি হয় আমাদের এলাকায় । হয়তো এমন গাড়িতে চড়ে দলছুট হয়ে বানরটি এখানে চলে এসেছে । এ ক্ষেত্রে বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ দপ্তরের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি । এ বিষয়ে উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ মতিউর রহমানের সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে (২১ জানুয়ারী) তিনি জানান, এটা মূলত বনবিভাগের বিষয় । তবে কোন বন্যপ্রাণী অসুস্থ হলে আমরা এর সেবা শশ্রুষা দিতে পারি ।