ফরিদপুরে হাইওয়ে এক্সপ্রেস সড়কের উপর ২ গ্রুপের সংঘর্ষ

দেশসেবা দেশসেবা

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ৪:৩৭ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২৪

মোঃ রিপন শেখ,ভাঙ্গা। ফরিদপুরের ভাঙ্গায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে হাইওয়ে এক্সপ্রেস সড়কের উপর ২ গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে, মঙ্গলবার দুপুরে ভাঙ্গা উপজেলার চান্দ্রা ইউনিয়নের তারাইল হাজী ইরফান উদ্দিন তেলের পাম্পের সামনে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে দুই পক্ষের ১০ জন লোক আহত হয়। সংঘর্ষ চলাকালে হাইওয়ে এক্সপ্রেস সড়ক আধা ঘন্টা বন্ধ থাকায় কয়েক কিলোমিটার জুড়ে কয়েকহাজার যানবাহন আটকা পড়ে। সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনা স্থলে পৌঁছিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে এবং যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, এলাকার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে তারাইল ঈশ্বরদী গ্রামের আওয়ামীলীগের নেতা মোখলেসুর রহমান সুমন মাতুব্বরের সাথে একই গ্রামের ফারুক তালুকদার ও সাইদুল শিকদারের সাথে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলে আসছে। এই দুই গ্রুপের সাথে এর আগে কয়েক দফা হামলা, মামলা ও সংঘর্ষ হয়েছে। এর সূত্র ধরে আজ সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারী) সকালে তারা ঈশ্বরদী গ্রামের আতাহার চৌধুরীর স্ত্রীর মৃত্যুবরণ করলে সেখানে সুমনের লোকজন জানাযার জন্য সেখানে উপস্থিত হয়।
তখন ফারুক তালুকদার ও সাইদুল শিকদারের লোকজন সুমন মাতুব্বরের দলের রাজিব মাতুব্বরকে ধরে নিয়ে কুপিয়ে ও মেরে হাত-পা ভেঙ্গে ফেলে ।

এই সংবাদ এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে দুই গ্রুপের লোকজন বেশীয় অস্ত্র ডাল, চুরকি, রানদা ও ইটপাট নিয়ে হাইওয়ে এক্সপ্রেস সড়কের উপর সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় উভয় পক্ষের প্রায় ১০ জন লোক আহত হয়।
সংঘর্ষ চলাকালে সুমন মাতুব্বরের হাজী ইরফান উদ্দিন ফিলিং স্টেশন নামের ১টি পেট্রোল পাম্প, ৫টি মোটরসাইকেল, ২টি দোকানে হামলা ও ভাংচুর করে হামলাকারীরা। এসময় হামলাকারীরা তেলের পাম্প থেকে লুট করে নিয়ে যায় কয়েক লক্ষ টাকা।
সংবাদ পেয়ে ভাঙ্গার থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে এবং যান চলাচল স্বাভাবিক করেন। ঘটনা স্থল থেকে বেশ কিছু দেশি অস্ত্র উদ্ধার করে।

এ ব্যাপারে তেলের পাম্পের কর্নধার আওয়ামীলীগ নেতা মোকলেসুর রহমান সুমন জানান, আমি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কাজী জাফরউল্লার নৌকার নির্বাচন করেছি এবং আগামী উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করব। আমাদের তারাইল ঈশ্বরদী গ্রামের ফারুক তালুকদার ও সাইদুল শিকদারের সাথে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলে আসছে। আমার সম্মান নষ্ট ও ক্ষতি করার জন্য আমার লোকজনকে ধরে নিয়ে পা ভেঙে দিয়েছে। কয়েকজনকে মারধর করেছে। আমার পেট্রোল পাম্পটি ব্যাপক ভাঙচুর করেছে, ৫টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেছে। পেট্রোল পাম্প থেকে কয়েক লক্ষ টাকা ফারুক তালুকদারের লোকজন নিয়ে গেছে।

এ ব্যাপারে ফারুক তালুকদার জানান, সুমনের সাথে আমাদের দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলে আসছে। আমাদের লোকজন পেলেই সুমনের লোকজন মারধর করে। আজকে আমার একজন লোককে মারার কারণে মারামারি হয়েছে।

এ ব্যাপারে ভাঙ্গা থানার এস,আই মনির হোসেন জানান, সংঘর্ষে সংবাদ পেয়ে দ্রুত গঠনের ছেলে পৌঁছাই। সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন লোক আহত হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।

এ ব্যাপারে ভাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ মামুন আল-রশিদ জানান, সংবাদ পেয়ে পুলিশের ফোর্স নিয়ে ঘটনা স্থলে পৌঁছিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করি। এ ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কেউ অভিযোগ দায়ের করে নাই। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।