সড়কবাতি না জ্বলায় বাড়ছে অপরাধ, দুর্ভোগে জনগণ দেশসেবা দেশসেবা ডেস্ক রিপোর্ট প্রকাশিত: ১১:৩০ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ৭, ২০২৫ রিফাত খান।। সন্ধ্যা হলেই অন্ধকার নেমে আসে সড়কে। গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কে অন্ধকারের সুযোগ নিয়ে হরহামেশাই ঘটে নানারকম অপরাধ। অথচ এসব সড়কে রয়েছে বৈদ্যুতিক মাধ্যমে আলো দেয়ার সড়ক বাতি। সড়কের অধিকাংশ বাতি অকেজো। যেগুলো সচল তাও জ্বলে না মাঝে মধ্যে। কিন্তু বসতবাড়ি ও সড়কের পাশে এসব বৈদ্যুতিক সড়কবাতি স্থাপন করার কয়েক মাস পর হতেই বেশিরভাগই অকেজো হয়ে পড়ে আছে। এমন দুরাবস্থা শেরপুরের সদর উপজেলার শেরপুর পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায়। জানা যায়, ত্রাণ পুনর্বাসন ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের টিআর/কাবিটা ও বিশেষ বরাদ্দ এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের পৌরসভা পরিচালনা ও উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে ২০১৭-১৮, ১৮-১৯, ১৯-২০ ও ২০-২১ অর্থবছরে এসব বৈদ্যুতিক সড়ক বাতি স্থাপন করা হয়। কিন্তু স্থাপন করার কয়েক মাস থেকেই কাজে আসছে না বাতিগুলো। ফলে অন্ধকার সড়কে বাতি থাকলেও অন্ধকারেই থেকে গেছে। স্থানীয়দের দাবি, শেরপুর পৌরসভার সড়ক ও সড়কের আশপাশের বিভিন্ন স্থাপনা, শিক্ষা ও সামাজিক প্রতিষ্ঠানে দেয়া বৈদ্যুতিক সড়ক বাতি বেশিরভাগই নষ্ট হয়ে পড়েছে৷ সরকারি অর্থে স্থাপন করা এসব বৈদ্যুতিক বাতির ৩ বছরের ওয়ারেন্টি থাকলেও কয়েক মাস পর হতেই অকেজো। এতে কাজে আসছে না সরকারি বরাদ্দে একেকটি ৭ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা মূল্যের এসব বৈদ্যুতিক সড়ক বাতি। এলাকাবাসীর অভিযোগ, নিম্নমানের সরঞ্জাম হওয়ায় টেকেনি বেশিদিন। এমনকি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের অভিযোগ দিয়েও মেলেনি সুরাহা। অন্ধকার সড়কে আলো ফেরাতে সড়ক বাতিগুলো মেরামতের দাবি এলাকাবাসীর। শেরপুর পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড এর গৌরীপুর মহল্লার যুবক জাহিদুর ইসলাম বলেন, ‘আমাদের মহল্লার একটি সড়কে দীর্ঘ এলাকাজুড়ে নানা ধরনের দোকান-পাট। এবং ওই সড়কে বৈদ্যুতিক সড়ক বাতি না থাকার সুযোগে সন্ধ্যার পর নানারকম অপরাধ সংঘটিত হয়। এর কারণে দুই-আড়াই বছর আগে সড়কের বিভিন্ন জায়গায় কয়েকটি বৈদ্যুতিক সড়ক বাতি স্থাপন করা হয়। এর কয়েকমাস পর থেকেই এগুলো অকোজো, বন্ধ হয়ে পড়ে আছে।’ শেরপুর পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা সৌরভ হাসান বলেন, ‘মসজিদের মুসল্লিরা রাতের অন্ধকারে যাতে মসজিদে যাওয়া আসা করতে কোনো সমস্যা না হয়, তাই রাস্তায় বৈদ্যুতিক সড়ক বাতি স্থাপন করা হয় পৌরসভার পক্ষ থেকে। কিন্তু তা কোনো কাজে আসেনি। কিছুদিন জ্বলার পর নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। সরকারি অর্থের বিপুল অপচয় হয়েছে এখানে। এগুলো মেরামত করা জরুরি হয়ে পড়েছে।’ কালীগন্জ মহল্লার বাসিন্দা মোঃ জুয়েল মিয়া জানান, নিম্নমানের সরঞ্জাম ব্যবহারের কারণেই এসব বৈদ্যুতিক সড়কবাতির অবস্থা এমন। এসব বৈদ্যুতিক সড়ক বাতি স্থাপনের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা প্রয়োজন। সেই তদন্ত সাপেক্ষে কোনো গাফিলতি বা অনিয়ম-দুর্নীতি পাওয়া গেলে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত। মীরগঞ্জ মহল্লার রাকিব হোসেন বলেন, ‘সন্ধ্যা হলেই আমরা সড়কে যাতায়াত করত পারি না। ঘুটঘুটে অন্ধকারে নানারকম অপরাধ হয়। এনিয়ে দফায় দফায় পৌরসভার প্রশাসককে সড়কবাতি নষ্ট হওয়ার বিষয়টি জানালেও দেখব-দেখছি বললেও কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। সরকারি অর্থের অপচয় হয়েছে এই প্রকল্পে। আমাদের এলাকায় যেসব বৈদ্যুতিক সড়কবাতি স্থাপন করা হয়েছে, তার বেশিরভাগই নষ্ট হয়ে পড়ে আছে।’ এবিষয়ে জেলা শিক্ষার্থী কল্যাণ পরিষদ শেরপুর এর সভাপতি রিফাত খান বলেন আমি রমজান পৌরসভার প্রশাসকের যোগাযোগ করেছি তিনি আমাকে এস এম এস এর মাধ্যমে স্থান গুলো পাঠাতে বলছে আমি পাঠিয়েও দিয়েছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত মেরামতের কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি।’ এবিষয়ে জানতে চাইলে সঠিক কোনো কারন বলতে পারেনি শেরপুর পৌরসভার কর্মকর্তারা। SHARES অপরাধ ও দুর্নীতি বিষয়: