বেলকুচিতে এসএসসি পরীক্ষার্থী ইমন হত্যার প্রধান আসামী মাসুদ রানা র‍্যাবের হাতে আটকমনিরুল ইসলাম সিরাজগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলা দৌলতপুরে চাঞ্চল্যকর এসএসসি পরীক্ষার্থী ইমন হত্যার অন্যতম আসামী মাসুদ রানা (২৩) রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানাধীন পশ্চিম মানিকদি হতে আটক করা হয়েছে। শুক্রবার ভোর রাতে র‌্যাব-১২ এর সিরাজগঞ্জ সদর কোম্পানি এবং র‌্যাব-৪ মিরপুর এর যৌথ অভিযানে তাকে আটক করা হয়। আটক মাসুদ রানা সিরাজগঞ্জের বেলকুচি থানার দৌলতপুর গ্রামের আশরাফুল ইসলামের ছেলে। র‍্যাব-১২ এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মোঃ আতিকুর রহমান মিয়া পিপিএম ও নিহতের পরিবার জানান, এনায়েতপুর থানার খুকনী গ্রামের ইমদাদুল হকের ছেলে খুকনী বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র ইমন (১৬) মাস খানেক আগে সহপাঠি বান্ধবী সামিয়াকে নিয়ে বেলকুচির দৌলতপুরে বেড়াতে গিয়ে বখাটে মাসুদ সহ সহযোগীদের দ্বারা হয়রানীর শিকার হন। পরে ১৮ এপ্রিল বিকেলে এলাকার সহপাঠী বন্ধু রাজিম ও রাব্বিকে নিয়ে ৬/৭ জন গিয়ে কেন তাদের হেনস্থা করা হয়েছে জানতে গেলে বেলকুচি থানার দৌলতপুরের বখাটে মাসুদের নেতৃত্বে তাদের সহযোগীরা লাঠি নিয়ে ধাওয়া করে। তখন অন্যরা পালাতে সক্ষম হলেও পিছনে থাকা ইমন পড়ে গেলে তাকে বেদম মারধর করা হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৫ এপ্রিল মারা যান ইমন। এ ঘটনায় ২৭ এপ্রিল বিকেলে নিহতের বাবা ইমদাদুল হক বাদী হয়ে মাসুদ রানাকে প্রধান সহ ৪জন নামীয় ও অজ্ঞাত ১০-১২ জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এরপর রাজধানীর মানিক-দি র‍্যাব তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে আটক করে। পরে শুক্রবার বিকেলে তাকে বেলকুচি থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন।

দেশসেবা দেশসেবা

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ২:২৫ অপরাহ্ণ, মে ১৮, ২০২৫
মনিরুল ইসলাম ।।
সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলা দৌলতপুরে চাঞ্চল্যকর এসএসসি পরীক্ষার্থী ইমন হত্যার অন্যতম আসামী মাসুদ রানা (২৩)  রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানাধীন পশ্চিম মানিকদি হতে আটক করা হয়েছে। শুক্রবার ভোর রাতে র‌্যাব-১২ এর সিরাজগঞ্জ সদর কোম্পানি এবং র‌্যাব-৪ মিরপুর এর যৌথ অভিযানে তাকে আটক করা হয়। আটক মাসুদ রানা সিরাজগঞ্জের বেলকুচি থানার দৌলতপুর গ্রামের আশরাফুল ইসলামের ছেলে।
র‍্যাব-১২ এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মোঃ আতিকুর রহমান মিয়া পিপিএম ও নিহতের পরিবার জানান,
এনায়েতপুর থানার খুকনী গ্রামের ইমদাদুল হকের ছেলে খুকনী বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র ইমন (১৬) মাস খানেক আগে সহপাঠি বান্ধবী সামিয়াকে নিয়ে বেলকুচির দৌলতপুরে বেড়াতে গিয়ে বখাটে মাসুদ সহ সহযোগীদের দ্বারা হয়রানীর শিকার হন।
পরে ১৮ এপ্রিল বিকেলে এলাকার সহপাঠী বন্ধু রাজিম ও রাব্বিকে নিয়ে ৬/৭ জন গিয়ে কেন তাদের হেনস্থা করা হয়েছে জানতে গেলে বেলকুচি থানার দৌলতপুরের বখাটে মাসুদের নেতৃত্বে তাদের সহযোগীরা লাঠি নিয়ে ধাওয়া করে। তখন অন্যরা পালাতে সক্ষম হলেও পিছনে থাকা ইমন পড়ে গেলে তাকে বেদম মারধর করা হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৫ এপ্রিল মারা যান ইমন। এ ঘটনায় ২৭ এপ্রিল বিকেলে নিহতের বাবা ইমদাদুল হক বাদী হয়ে মাসুদ রানাকে প্রধান সহ ৪জন নামীয় ও অজ্ঞাত ১০-১২ জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এরপর রাজধানীর মানিক-দি র‍্যাব তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে আটক করে।
পরে শুক্রবার বিকেলে তাকে বেলকুচি থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন।