শরীয়তপুর সদর উপজেলার তিনটি ইউনিয়নে ২০টি অবৈধ ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন নেই আইনি পদক্ষেপ দেশসেবা দেশসেবা ডেস্ক রিপোর্ট প্রকাশিত: ১:৫৪ অপরাহ্ণ, জুলাই ১, ২০২৫ শরীয়তপুর সদর উপজেলার বিনোদপুর ,চন্দ্রপুর , ও মাহমুদপুরে, স্থানীয় একটি প্রভাবশালী চক্র প্রসাশনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে চালিয়ে যাচ্ছে অবৈধ ড্রেজিং ও বালু বিক্রির সন্ত্রাসী কার্যক্রম। বিগত সময়ে ড্রেজিং কার্যক্রম তেমন দেখা যায়নি তবে এখন তা বেড়ে তিন গুণ কার্যকরী আইনি পদক্ষেপ কোন এক অদৃশ্য কারণে বন্ধ লক্ষণীয়।এই ৩টি, ইউনিয়নের নদী থেকে ২০ টির অধিক বাংলা ড্রেজার বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ফলে ভেঙে পড়ছে রাস্তাঘাট স্কুল প্রতিষ্ঠান ফসলি জমি গাছপালা ও বসতবাড়ি ।সদর উপজেলার চন্দ্রপুর ইউপির রনখোলা শিবপুর নদী ও বিনোদপুর,জনুল্লা মাদবরের কান্দির নদী সংলগ্নে ৮-৯ টি বাংলা ড্রেজার বসিয়ে দিনে রাতে অবাধে চলছে বালু উত্তলনের মহা উৎসব।উল্লেখ যে,কিছুদিন আগে পালং মডেল থানায় কয়েকজনের বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরি করা হলে আটক করা হয় ২-১ জনকে।আইনি ফাকে বের হয়ে আসে, কিন্তু বালু উত্তলন ও বিক্রির কাজ বন্ধ করা হয়নি বা যায়নি। স্থানীয় চন্দ্রপুর ইউপির ৪ নং ওয়ার্ডে ১ টি প্রাথমিক বিদ্যালয় নদী সাথে অবস্থিত।শিক্ষা প্রতিষ্ঠান টির তরফ থেকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জানায়,তারা ছোট ছোট বাচ্চাদের ক্লাস চলাকালে শব্দ দুষনে শিশুরা কোন ভাবেই পড়াশোনায় মন বসাতে পারেনা।নদী ভাংগনের ফলে স্কুলটি নদীর গর্ভে বিলীন হওয়ার ঝুকি তৈরি হয়েছে। চন্দ্রপুর ইউপি শেষ সিমান্তে চিকন্দি ইউনিয়নের ভিতর ১ টি মাদ্রাসা ও এতিম খানা রয়েছে। যেখানে প্রধান সড়ক সংলগ্ন স্থাপিত হয়েছে। প্রধান সড়ক একাধিক বার ড্রেজিং করার কারনে ভাংগনের মুখে পড়ে, ও নতুন করে সটকারি তহবিল থেকে বাজেট আনা হয় একাধিক বার। রাস্তা ভাংগনকৃত স্থান বাধা হলেও, রাস্তা ভাংগন কোন ভাবেই থামানো সম্ভব হচ্ছে না।এমনকি স্থানীয়দের বসতবাড়ি ও আশপাশের ফসলি জমি ব্যাপক ভাংগনের কবলে পড়ে অনেক কৃষি নির্ভর কৃষক চরম বিপাকে ও হুমকির মধ্যেই এখন জীবন চলছে না চলার মতো। দুঃখ দুর্দশা ছাড়ছেই না কৃষক দের। এ বিষয়ে তথ্য নিতে গেলে সিন্ডিকেট বাহিনীর বেশ কয়েকজনের নাম চলে আসে।যাদের মধ্যে স্বৈরশাসক বিগত সরকারের পালিত সন্তাসী সহ বিএনপির নেতা কর্মী জড়িত। ১ / মফিজুল মুন্সি ২ / সোহাগ হাওলাদার ৩ খাইরুল জমাদ্দার ৪/ মনোয়ার কাজি। ৫/নুরুলহক ফকির ৬/ বাসার সহ বেশ কয়েকজন স্বার্থান্বেষী সন্ত্রাসী বাহিনিরা।এদেরকে আইনের আওতায় এনে ড্রেজার ও পাইপ পুরোপুরি নষ্ট ও সর্বোচ্চ কঠিন শাস্তি দিয়ে ২ -৩ ইউনিনের সাধারণ মানুষের জীবন যাপন ব্যাহত হওয়া থেকে রক্ষা করা হবে কিনা কোন নিশ্চয়তা পাচ্ছে না ৩ ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দা।চন্দ্রেপুর ভূমি অফিসে তসিলদার কে অফিস টাইমে পাওয়া না গেলেও বিনোদপুর ভূমি অফিসে তসিলদারের সাথে কথা হয় ।বিষয়টি নিয়ে তার সাথে কথা হয় তিনি অন ক্যামেরায় কথা বলতে অনিচ্ছুক থাকায় অফ ক্যামেরায় বলেন এই বালু থেকোদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হলেও কোন কাজে আসেনা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে গেলে তাঁরা বিভিন্ন ভাবে হুমকি দেয় আমাদের।তিনি মামলার কপি দেখিয়ে বলেন সদর উপজেলা প্রশাসন এর নির্দেশনায় বালু খেকো কয়েকজন এর বিরুদ্ধে পালং মডেল থানায় মামলা হলেও কিছু দিন জেলে থাকলেও পড়ে ,আইনের ফাঁক ফোকর দিয়ে বের হয়ে আবার এই অবৈধ কাজকর্ম শুরু করে এবিষয়ে উপজেলা প্রশাসন যা ভালো মনে করেন তাই করবেন।স্থানীয় দের অভিযোগ বালু উত্তোলনের বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনকে বারবার অবগতি করা হয়েছে কোন এক অপশক্তির কারণে তারা এই বিষয়টি আমলে নিচ্ছে না। রাকিব হোসাইন।। SHARES সারা বাংলা বিষয়: