গোপালগঞ্জে গ্রেপ্তার তিন শতাধিক, অতিরিক্ত বন্দী পাঠানো হচ্ছে অন্যান্য জেলা কারাগারে দেশসেবা দেশসেবা ডেস্ক রিপোর্ট প্রকাশিত: ৩:০৩ অপরাহ্ণ, জুলাই ২১, ২০২৫ শেখ ফরিদ আহমেদ।। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশ ঘিরে সংঘর্ষের পর গোপালগঞ্জে যৌথ বাহিনীর অভিযানে ৩০০-র বেশি ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ঘটনায় শনিবার সকাল ৬টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল করা হলেও সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক কাটেনি। বেশিরভাগ মানুষ জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। শহরের অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ, রাস্তায় জনসাধারণের উপস্থিতিও খুবই কম। গোপালগঞ্জ জেলা কারাগারে ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত বন্দী থাকায় ১০০ জনকে পিরোজপুর ও বাগেরহাট কারাগারে পাঠানো হয়েছে। জেলা কারা কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে একটি তালিকা প্রকাশ করেছে, যাতে স্বজনরা খোঁজ নিতে পারেন। গতকাল নতুন করে আরও ১১৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জেলা কারাগার সূত্র জানায়, গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে নয়জন শিশু রয়েছে, যাদের যশোর শিশু শোধনাগারে পাঠানো হবে। কারফিউ, ১৪৪ ধারা এবং গ্রেফতার আতঙ্কে গোপালগঞ্জ শহরের জীবনযাত্রা কার্যত থমকে গেছে। রিকশা ও অটোরিকশা চালকরা যাত্রী না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। একজন চালক জানান, সারাদিন যাত্রী না পাওয়ায় তিনি তার পরিবারের জন্য চাল-ডাল কিনতে পারছেন না। যাত্রী আশায় স্ট্যান্ডে অলস সময় কাটাচ্ছেন চালকরা। বাজার-দোকানে নেই ক্রেতা, হোটেল বন্ধের আশঙ্কা ১৪৪ ধারা চলায় শহরের অধিকাংশ দোকানপাট, বিপণিবিতান বন্ধ। কাঁচাবাজারে কিছু দোকান খোলা থাকলেও ক্রেতা নেই বললেই চলে। আবার যা কিছু পাওয়া যাচ্ছে সে সব নিত্য পন্যের দাম আকাশছোঁয়া। বড় বিপনী বিতানগুলোতে কর্মচারী অনুপস্থিতি জনিত কারনে এবং বিসিক শিল্পনগরীতে বেকারী শ্রমিক কয়েকজন কর্ম শেষে বেরিয়ে আসলে যৌথবাহিনীর কাছে গ্রেফতার হয়, জনমনে গ্রেফতার আতংক বিরাজ করছে । এক হোটেল মালিক জানান, বিক্রি না থাকায় কর্মচারীদের মজুরি দিতে হিমশিম খাচ্ছেন। এ অবস্থায় হোটেল বন্ধ করা ছাড়া উপায় থাকবে না বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন। গোপালগঞ্জ জেলা কারাগারের সামনে গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিদের স্বজনদের ভিড় বাড়ছে। এক নারী কান্নাজড়িত কণ্ঠে জানান, তার ছেলে একটি পানি সরবরাহ কোম্পানিতে কাজ করতেন, রাজনীতির সঙ্গে জড়িত না থাকা সত্ত্বেও তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্য এক মহিলা জানান আমার স্বামী ছুটি কাটাতে আসেন তাকে আচমকা যৌথ বাহিনী গ্রেফতার করে,পাঁচুড়িয়া বাজারের থেকে শিশু কোলে স্ত্রী সহ শিশুর দুধ কিনতে গিয়ে স্বামী ইলেকট্রিক শ্রমিক সোহাগ শেখকে দীর্ঘ সময় পরে ছেড়ে দিলেও ইলেকট্রিক শ্রমিক জগন্ময় ঠাকুর গ্রেফতার হয় । শহরের কোর্ট প্রাঙ্গণে গ্রেফতারকৃতদের নারী স্বজনদের ভিড় এত বেশি কেন প্রশ্নের উত্তরে সেলিনা বেগম জানান আমাদের পুরুষেরা গ্রেফতার আতঙ্কে আসেনি আমার ছেলে গ্রেফতার হয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ড. রুহুল আমিন সরকার জানান, পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে থাকলেও সতর্কতামূলক অভিযান অব্যাহত রয়েছে। নিরপরাধ কেউ যেন গ্রেফতার না হয়, সে বিষয়েও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে । SHARES সারা বাংলা বিষয়: