নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছেই, হিমশিম খাচ্ছে সাধারণ মানুষ

দেশসেবা দেশসেবা

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ৪:১০ অপরাহ্ণ, মে ১৮, ২০২৪

সাজ্জাদ হোসেন।কাঁচাবাজারসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ায় সাধারণ মানুষের ভোগান্তির শেষ নেই। ক্রেতারা বলছেন, দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়ায় সংসার চালাতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে।

লাগামহীন নিত্যপণ্যের বাজারে স্বস্তি ফিরছে না। বরং দাম বাড়ছে প্রতিনিয়ত। এতে চাপে পড়েছে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের। সরবরাহে খুব একটা ঘাটতি না থাকলেও বেশির ভাগ পণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী। এ ছাড়া অস্থিরতা তৈরি হয়েছে ডিম ও মাংসের বাজারেও। এদিকে কোরবানির ঈদের বাকি প্রায় দেড় মাস। এর মধ্যেই মসলার বাজার ঊর্ধ্বমুখী।

বিক্রেতারা জানান, তীব্র গরমের কারণে ব্যহত হচ্ছে উৎপাদন ব্যবস্থা। এতে বাজারে সরবরাহ ঘাটতি দেখা দেওয়ায় পণ্যের দাম বাড়ছে। আর ক্রেতারা বলেন, এ বছর রোজার আগে থেকেই বেড়েছে পণ্যের দাম। কিন্তু ঈদের পরও সেই দাম বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় চাপ বাড়ছে নিম্ন ও মধ্যবিত্তদের সংসারে। অসহায় ক্রেতাদের এখন চেয়ে চেয়ে দেখা ছাড়া আর কিছুই করার নেই। ব্যবসায়ীরাও বুঝে গেছে, দাম বাড়ালেও পণ্য কিনবে সাধারণ মানুষ। তাই খেয়াল-খুশিমতো দাম বাড়ানো হচ্ছে ।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) ফরিদপুরের সালথা উপজেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে প্রতিকেজি রসুন ২০০ টাকা, শসা ৬০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, পেঁপে ৮০ টাকা, টমেটো ৮০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, গাজর ৬০ টাকা, বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া ধুন্দল ৬০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, লতি ৭০ টাকা, আলু ৫০-৫৫ টাকা, ঝিঙা ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

দাম বেড়েছে কাঁচা মরিচেরও। প্রতিকেজি কাঁচা মরিচ দাম হাকাচ্ছে ১৬০ থেকে ২০০ টাকা। এ ছাড়া প্রতি চালকুমড়া বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকায়। আর বাজারে ডাটা শাকের আঁটি ২০ টাকা, পাটশাক ১৫ টাকা, পুঁইশাক ৩০ টাকা, কলমিশাক ১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। স্বস্তির খবর নেই মাছের বাজারেও। প্রকারভেদে মাছের দাম বেড়েছে কেজি প্রতি ৫০ থেকে ১০০ টাকা।

এদিকে স্বস্তির খবর নেই মাছের বাজারেও। ক্রেতারা মাছ কিনতে গিয়ে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছেন। নদী ও হাওরের মাছ সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে গেছে অনেক আগেই। চাষের মাছও এখন বেশ চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে।

মধ্যবিত্তরা বোবা হয়ে গেছেন।নিম্নমধ্যবিত্তরা টিসিবির পণ্যের জন্য বসে থাকে অধীর আগ্রহে কবে পাবে একটু স্বস্তির দামে ।আর স্বল্পআয়ের মানুষের দুঃখ এখন সীমাহীন। মানুষের কষ্ট লাঘবে সরকার কার্ডের মাধ্যমে সাশ্রয়ী মূল্যে টিসিবির পণ্য দেওয়ার যে উদ্যোগ নিয়েছেন, সেখানেও কালো হাতের থাবা।

উপকারভোগী নির্বাচনে স্বজনপ্রীতি ও অনিয়ম চরমে। সামাল দিতে গিয়ে সংশ্লিষ্টদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। এমন বাস্তবতায় অর্থনীতি বিশ্লেষকেরা দেশের মূল্যস্ফীতির বিষয়টিকে সামনে আনছেন।

অর্থনীতিবিদদের মতে, দেশের সাধারণ মানুষ নিত্যপণ্যের অস্বাভাবিক ব্যয়বৃদ্ধিতে কষ্টে আছেন এবং দুর্বিষহ জীবনযাপন করছেন। মূল্যস্ফীতি দরিদ্র ও নিম্নআয়ের মানুষের প্রকৃত আয় কমিয়ে দিচ্ছে। নতুন করে অনেককে দারিদ্র্যের খাতায় নাম লিখিয়েছেন।