সালথায় হত্যাচেষ্টা ও ছিনতাইয়ের মামলায় কারাগারে ইমাম, মুক্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন দেশসেবা দেশসেবা ডেস্ক রিপোর্ট প্রকাশিত: ৫:২৯ অপরাহ্ণ, মে ২০, ২০২৪ সাজ্জাদ হোসেন।ফরিদপুরের সালথায় নারী ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত চাঁদাবাজি মামলার সাক্ষী হওয়ায় মসজিদের একজন ইমামের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা ও ছিনতাইয়ের মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ওই মামলায় ইমামকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। শনিবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন কারাগারে থাকা ইমামের পরিবার। উপজেলার আটঘর গ্রামে ভুক্তভোগীর বাড়িতে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে লিখিত বক্তব্যে ইমামের ছোট ভাই লিটন মোল্যা বলেন, ‘আটঘর ইউনিয়নের ১, ২, ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্য রাজিয়া বেগমের বিরুদ্ধে এলাকার জমিজমা নিয়ে দুই পক্ষের বিরোধকে কেন্দ্র করে একটি চাঁদাবাজি মামলা হয় আদালতে। ওই মামলার সাক্ষী ছিলেন আটঘর জামিয়া মাদানিয়া মসজিদের ইমাম মাওলানা হেদায়েতউল্লাহ ওরফে খোকন মোল্যা (৪৫), তার চাচাতো ভাই মাওলানা শাহজাহান মোল্যা (৬৫), কমির উদ্দিন মোল্যা (৭৫) ও পান্নু মোল্যা (৪৫)।’ মামলাটি আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। মামলার অন্য আসামিরা আদালত থেকে জামিন পেলেও আসামি আটঘর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড মেম্বার লতিফ মোল্যা (৫৫) আদালতে হাজির হলে তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে চাঁদাবাজি মামলার আরেক আসামি মহিলা মেম্বার রাজিয়া বেগম তার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া চাঁদাবাজি মামলার সাক্ষীদের বিরুদ্ধে গত ১২ মে সালথা থানায় হত্যাচেষ্টা ও ছিনতাইয়ের অভিযোগে একটি মামলা করেন।’ মামলা দায়েরের পর রাতেই পুলিশ আসামিদের বাড়িতে যায়। তখন বাড়িতে পুরুষ সদস্যরা ছিলেন না। পরে বাড়িতে পুলিশ আসার খবর জানতে পেরে খোকন মোল্যা ও শাহজাহান মোল্যাসহ চারজন থানায় যান। এ সময় পুলিশ খোকন মোল্যাকে (ইমাম) গ্রেপ্তার করে। পরে তাকে আদালতে চালান করা হয়। ওই মামলায় তিনি এখন কারাগারে বন্দি।’ সংবাদ সম্মেলনে ইমামের পরিবার বলেন, শাহজাহান মোল্যার দুই ছেলে মালয়েশিয়া প্রবাসী। কমির উদ্দিনের এক ছেলেও এক যুগের বেশি মালয়েশিয়া থাকেন। খোকন মোল্যা চার বছর সৌদি আরবে থেকে যথেষ্ট অর্থ উপার্জন করে দেশে ফিরে ইমামতি করছেন। তিনি আরবি লাইনে মাস্টার্স পাস একজন উচ্চশিক্ষিত ব্যক্তি। তাদের পক্ষে রাজিয়া বেগমের গলার সামান্য চেইন ছিনতাই করা অসম্ভব। তাদের কাছে কোনো পিস্তলও নেই, যা দিয়ে তাকে হত্যার চেষ্টা করবে। তারা অবিলম্বে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও খোকন মোল্যার মুক্তি দাবি করেন। সংবাদ সম্মেলনে কমিরউদ্দিন মোল্যার স্ত্রী আয়েশা বেগম (৬৮), পান্নু মোল্যার স্ত্রী আয়েশা বেগম (৩৬), জয়নব বেগম (৪৫), খোকন মোল্যার বড় ভাই দেলোয়ার মোল্যা (৬০), ফহম মোল্যা (৬১), আফতাব মাতব্বর (৫৫) ও ওহিদ মোল্যা উপস্থিত ছিলেন। ফরিদপুরের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল-নগরকান্দা) মো. আসাদুজ্জামান শাকিল বলেন, ‘নারী ইউপি সদস্যের দায়ের করা হত্যাচেষ্টা ও ছিনতাইয়ের মামলাটি তদন্ত করতে আমি নিজে ঘটনাস্থলে গিয়েছি। মামলাটি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে নিবিড়ভাবে তদন্ত করছি।’ এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘মামলাটি যদি মিথ্যা হয়, তাহলে তা তদন্তে ওঠে আসবে। আর যদি সত্যি হয়, তাও ওঠে আসবে। আশা করি, মামলার সঠিক ঘটনা দ্রুত উদঘাটন করতে পারবো।’ SHARES জেলা/উপজেলা বিষয়: