ডিমলায় আজো হাটতে পারছেনা ধর্ষিতা শিশুকন্যাটি

দেশসেবা দেশসেবা

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ৩:১৭ অপরাহ্ণ, মে ২৭, ২০২৪

নীলফামারীর ডিমলায় স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারছেনা (০৮) বছরের ধর্ষিতা শিশু কন্যাটি। ধর্ষনের কারনে গুরুত্ব যখমি হয়ে বিছানায় শুয়ে দিন কাটছে তার। হাটতে পারছেনা কোন ভাবেই। এদিকে ধর্ষক এক সন্তানের জনক লম্পট মমিনুর রহমান(২৮) কে গ্রেফতার করতে পারেনি ডিমলা থানা পুলিশ। বিষয়টি নিয়ে ধুম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে। একের পর এক ধর্ষন ও আসামী পুলিশের ধরাছোয়ার বাহিরে থাকায় নাম প্রকাশে অনি”ছুক এলাকার সচেতন মহল ডিমলার সার্বিক আইনশৃঙ্খলার অবনতির কথা বলছেন। এবং পুলিশ প্রশাসনের নিরব ভ’মিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।

এমনকি নিরাপত্তার অভাবে অনেক সচেতন অভিভাকরা তাদের উড়তি বয়সের কন্যা সন্তানদের
নির্বিঘ্নে স্কুল কলেজে পাঠাতে ভয় পাচ্ছেন।শিশুটির পিতা সোহেল রানা মিলন(মামলার বাদী) অভিযোগ করে বলেন, আমার শিশুকন্যা ধর্ষনের বিষয়টি তাৎক্ষনি পুরো উপজেলায় ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু পুলিশ প্রশাসনে কোন প্রকার ভূমিকা ছিলনা। আমি আমার ধর্ষিতা শিশুকন্যাটিকে রক্তাক্ত জখমি অবস্থায় প্রথমে ডিমলা সরকারী হাসপাতালে ভর্তি করাই। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে।

গুরুত্বর জখমী অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার জন্য নীলফামারী আধুনিক সদর হাসপাতালে রেফার্ড করেন। আমি আমার শিশুকন্যার চিকিৎসা কাজে ব্যস্ত থাকা গত (১৯ মে) ডিমলা থানায় ধর্ষন মামলা দায়ের করি। মামলা দায়েরের ৮ দিন অতিবাহিত হয়ে গেলেও থানা পুলিশ মাত্র একদিন আসামীর বাড়ীতে গিয়েছে। আসামী কেন গ্রেফতার করা হচ্ছেনা এ বিষয়ে ডিমলা থানার (ওসি) দেবাশীষ রায় ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোঃসাজু মিয়া আমাকে বলেন, আমরা বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত আছি। ব্যস্ততা শেষ হলে বিষয়টি দেখবো। আমার শিশুকন্যাটি ধর্ষনের কারনে আজো ক্ষত ক্ষিত শরীর নিয়ে বিছানায় কাতরাচ্ছে। স্বাভাবিকভাবে হাটতেও পারছেনা। স্কুলে যাওয়াও বন্ধ হয়ে গেছে। লোক লজ্জার কারনে শিশুকন্যাটিসহ আমরা এলাকায় মুখ দেখাতে পারছিনা। কিন্তু ধর্ষক
কে নাকি পুলিশ খুঁজেই পাচ্ছেনা।

ডিমলা থানার (ওসি) দেবাশীষ রায় বলেন, আসামীকে গ্রেফতারে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
এবং মামলা হওয়ার পরে আসামীর বাড়ীতে পুলিশ মাত্র একদিন যাওয়ার কথা তিনি স্বীকার
করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (সাবইন্সপেক্টর) মোঃ সাজু মিয়া বলেন, মামলা করতেই বাদী
দেরি করেছেন। আসামীকে গ্রেফতারের জন্য তার বাড়ীতে একদিন গিয়েছিলাম কিন্তু আসামীকে পাওয়া যায়নি। ভোটের ডিউটিতে ছিলাম তবে আসামী গ্রেফতারে চেষ্টা
চলমান রয়েছে। খোঁজ পেলে আসামীকে গ্রেফতার করা হবে।

উল্লেখ্য, ডিমলায় ৬ দিনের ব্যবধানে দুটি ধর্ষন হয়েছে। (১১ই মে) ডিমলা থানা এলাকার
২০০ গজের মধ্যে (ডিমলা থানায় স্থাপন করা সিসি ক্যামেরার) আওতাভুক্ত এলাকায় একটি
বাড়ীতে ৯ম শ্রেনীর এক স্কুলছাত্রীকে সংঘবদ্ধ কিশোর গ্যাং ধর্ষন করে। অপর দিকে ৬ দিন
পরে (১৭ই মে) উপজেলার টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের দক্ষিন খড়িবাড়ী (মাষ্টারপাড়া) গ্রামে
(০৮) বছরের এক শিশুকন্যা ধর্ষনের স্বীকার হলে পুরো উপজেলায় তোলপাড় শুরু হয়। এবং
ডিমলা থানায় পৃথক দুটি নং-১২, তারিখঃ১২/০৫/২০২৪ইং এবং ২০,
তারিখঃ১৯/০৫/২০২৪ইং ধর্ষন মামলা রুজু করা হয়। ৯ম শ্রেনীর ছাত্রী ধর্ষন মামলার অন্য
দুই আসামীকে ঘটনার দিন গ্রেফতার করলেও ৬ দিনেও (১নং) মূল আসামীকে ডিমলা
থানা পুলিশ গ্রেফতার করতে পারেনি। তবে মামলার মুল আসামী (শীবমন্দির) পাড়ার শ্রী
কৈলাশ দাস মঙ্গুর ছেলে শ্রী প্রমিত দাস (১৭) নিজেই গত (১৬ই মে) ২০২৪ ইং

নীলফামারী বিজ্ঞ আদালতে আতœসমর্পন করে জামিনের আবেদন করলে। আদালত আবেদন না মঞ্জুর করে তাকে যশোর জেলার সংশোধনাগারে প্রেরন করার নির্দেশ প্রদান করেন।