দুর্ধর্ষ পলাতক ৩ জন ডাকাত’কে চট্টগ্রাম মহানগরী থেকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৭

দেশসেবা দেশসেবা

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১১:৫৯ পূর্বাহ্ণ, জুন ২, ২০২৪

মামুন মোল্লা।চট্টগ্রাম মহানগরী থেকে পৃথক অভিযানে হত্যা ও অস্ত্র সহ ১৯ মামলার দুর্ধর্ষ পলাতক আসামী  মোঃ মহসিন ও মইসা সহ ৩ জন ডাকাত কে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব ৭ ।

বাংলাদেশ আমার অহংকার এই স্লোগান নিয়ে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জোরালো ভূমিকা পালন করে আসছে। র‌্যাব সৃষ্টিকাল থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধ এর উৎস উদঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতার সহ আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম অস্ত্রধারী সস্ত্রাসী, ডাকাত, ধর্ষক, দুর্ধর্ষ চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, খুনি, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী ও প্রতারকদের গ্রেফতার এবং বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ ও মাদক উদ্ধারের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করায় সাধারণ জনগনের মনে আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
এরই ধারাবাহিকতায় র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম অদ্য ০১ জুন ২০২৪ খ্রিঃ তারিখে চট্টগ্রাম মহানগরীতে পৃথক ০৩টি অভিযান পরিচালনা করে হত্যা ও অস্ত্র সহ ১৯ মামলার দুর্ধর্ষ পলাতক আসামি মোঃ মহসিন @ মইস্যা সহ ৩ জন ডাকাত’কে আটক করতে সক্ষম হয়। অপারেশনের বিস্তারিত নিম্নরূপঃ
র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুন্ড থানার মামলা নং-৬(২)১৮, জিআর -৪৯/১৮, ধারা-১৪৭/১৪৮/১৪৯/
১৮৬/১০৯ পেনাল কোড ১৮৬০ এর পলাতক আসামি মহসিন @ মইস্যা চট্টগ্রাম মহানগরীর পাহাড়তলী থানাধীন সাগরিকা পাঠানপাড়া এলাকায় অবস্থান করছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে অদ্য ০১ জুন ২০২৪ ইং তারিখ আনুমানিক ০০১৫ ঘটিকায় র‌্যাব-৭, চট্টগ্রামের একটি আভিযানিক দল বর্ণিত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামি ১। মহসিন @ মইস্যা (৩৫), পিতা-নুরুল আলম, সাং-পূর্ব বাকখালী, থানা-সীতাকুন্ড, জেলা-চট্টগ্রাম’কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদে সে স্বীকার করে যে, সে বর্ণিত মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামি এবং আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর নিকট গ্রেফতার এড়াতে চট্টগ্রাম মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে আত্নগোপন করে আসছিল। উল্লেখ্য, সিডিএমএস পর্যালোচনা করে গ্রেফতারকৃত আসামি মহসিন @ মইস্যা এর বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুন্ড থানায় হত্যা, অস্ত্র এবং হত্যা চেষ্টা সংক্রান্তে সর্বমোট ১৯টি মামলার তথ্য পাওয়া যায়।
এছাড়াও র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, চট্টগ্রাম জেলার হালিশহর থানার মামলা নং-১১(১০)২৩, জিআর-২৩৪/২৩, ধারা-৩৯৯ পেনাল কোড ১৮৬০ এর গ্রেফতারী পরোয়ানাভুক্ত পলাতক আসামি অনিকুল ইসলাম অনিক চট্টগ্রাম মহানগরীর হালিশহর থানাধীন ধোপাপাড়া এলাকায় অবস্থান করছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে অদ্য ০১ জুন ২০২৪ ইং তারিখ আনুমানিক ০১৩০ ঘটিকায় র‌্যাব-৭, চট্টগ্রামের একটি আভিযানিক দল বর্ণিত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামি ২। অনিকুল ইসলাম অনিক (৩৩), পিতা-নুর মোহাম্মদ, সাং-মধ্যম হালিশহর ধোপাপাড়া, থানা-হালিশহর, চট্টগ্রাম মহানগরী’কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদে সে স্বীকার করে যে, সে বর্ণিত মামলার ওয়ারেন্ট ভুক্ত পলাতক আসামি এবং আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর নিকট গ্রেফতার এড়াতে চট্টগ্রাম মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপন করে আসছিল। উল্লেখ্য, সিডিএমএস পর্যালোচনা করে গ্রেফতারকৃত আসামি অনিকুল ইসলাম অনিক এর বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম মহানগরীর হালিশহর এবং পাহাড়তলী থানায় চুরি-ছিনতাই ও ডাকাতি সংক্রান্তে সর্বমোট ০৭টি মামলার তথ্য পাওয়া যায়।
এছাড়াও অপর একটি গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম জানতে পারে যে, চট্টগ্রাম মহানগরীর কোতোয়ালি থানার মামলা নং-০৮(৮)২০১২, জিআর-৯২৪/১২, ধারা-৩৯৯ পেনাল কোড ১৮৬০ এর গ্রেফতারী পরোয়ানাভুক্ত পলাতক আসামি মোঃ আরিফ @ আরিফ মইনুদ্দিন চট্টগ্রাম মহানগরীর হালিশহর থানাধীন পানিরকল এলাকায় অবস্থান করছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে অদ্য ০১ জুন ২০২৪ ইং তারিখ আনুমানিক ০২১৫ ঘটিকায় র‌্যাব-৭, চট্টগ্রামের একটি আভিযানিক দল বর্ণিত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামি ৩। মোঃ আরিফ @ আরিফ মইনুদ্দিন (৪০), পিতা-মৃত দেলোয়ার হোসেন, সাং-পশ্চিম বরঘোনা, থানা-বাঁশখালী, জেলা-চট্টগ্রাম’কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে যে, সে বর্ণিত মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামি এবং আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর নিকট গ্রেফতার এড়াতে দীর্ঘ ১২ বছর যাবৎ চট্টগ্রাম মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে আত্নগোপন করে আসছিল। উল্লেখ্য, সিডিএমএস পর্যালোচনা করে গ্রেফতারকৃত আসামি মোঃ আরিফ @ আরিফ মইনুদ্দিন এর বিরুদ্ধে ঢাকা মহানগরীর যাত্রাবাড়ী এবং চট্টগ্রাম মহানগরীর কোতোয়ালি থানায় চুরি-ছিনতাই এবং অস্ত্র আইন সংক্রান্তে সর্বমোট ০৩টি মামলার তথ্য পাওয়া যায়।
গ্রেফতারকৃত আসামিদের সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের নিমিত্তে চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুন্ড, বাঁশখালী এবং মহানগরীর হালিশহর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।