পল্লীবিদ্যুতের গাফিলতিতে যুবকের মৃত্যু, ৩০ হাজার টাকা সান্ত্বনা

দেশসেবা দেশসেবা

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১:০০ অপরাহ্ণ, জুন ১৬, ২০২৪

মোঃ পারভেজ হোসেন।ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ফরিদগঞ্জ চরদুঃখিয়া পূর্ব ইউনিয়ন সন্তোষপুর পল্লী বিদ্যুৎ এর কর্মকর্তাদের অবহেলা ও টাকা না দেওয়ার কারণে তার ছিঁড়ে তিন দিন ধরে তা অরক্ষিত অবস্হায় মাটিতে পড়ে থাকার কারণে রিয়াজ (২১) যুবক সে তারে জড়িয়ে বিদ্যুতায়িত মৃত্যু হয়। ৭জুন শুক্রবার বার এই ঘটনা ঘটে।

ঝড়ের কারণে পল্লী বিদ্যুতের লাইনের তার ছিঁড়ে তিন দিন ধরে তা অরক্ষিত অবস্থায় পড়ে ছিল মাটিতে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার জানালেও ঘুষ না পেয়ে লাইনটি মেরামত করা হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। সেই তারে জড়িয়ে বিদ্যুতায়িত হয়ে রিয়াজ নামে তরুণের মৃত্যু হয়েছে। খবর পেয়ে রিয়াজের মরদেহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। সে দিন রাতেই তার নিজ বাড়িতে দাপন করা হয়। ঘটনাটি চার দিকে জানাজানি হলে পল্লী বিদ্যুৎ এর কর্মকর্তাদের অবহেলা ও ঘুষ চাওয়া ঢাকতে শুক্রবার সন্ধ্যায় ডিজিএমসহ কর্মকর্তারা ফরিদগঞ্জ থানায় বসে মৃত রিয়াজ উদদীন এর পিতা আবুল হোসেনকে ৩০ হাজার টাকা দেন,এবং কাউকে কোন কিছু না বলার জন্য অনুরোধ করেন।

পল্লী বিদ্যুৎ অফিস সুত্র জানা যায় চাঁদপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি–২-এর আওতাধীন ফরিদগঞ্জ জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার প্রকৌশলী মোহাম্মদ কামাল হোসেন ঠিকমত অফিস করেন না,তাকে ফোনেও ঠিকমত পাওয়া যায় না, ঘুর্নিঝড় রেমাল এর কারণে সারা দেশে যখন কর্মকর্তাদের ছুটি বন্ধ এবং ২৯ মে ফরিদগঞ্জ পরিষদ নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল।সে সময়ও তিনি অফিসে আসেনি। তার ঠিকমত অফিস না করার কারণে অফিস স্টাফরা দায়ছাড়া ভাবে কাজ করে,এবং ঘূর্নিঝড়ে বিদ্যুৎ এর লাইন ঠিক করতে বিভিন্ন এলাকা থেকে চাঁদা উঠিয়ে তার অফিস স্টাফদের দিতে হয়েছে সাধারণ মানুষ এমন অভিযোগ রয়েছে বিভিন্ন এলাকা থেকে

সহকারি জেনারেল ম্যানেজার নাজির উল্লাহ জানান ওনারা ঘটনার দিন সন্ধ্যায় থানায় জাননি এবং মৃত পরিবারকে ৩০ হাজার টাকা দেননি,তাকে যখন প্রশ্ন করা হলো কে কে উপস্থিত ছিলেন তার ফুটেজ সাংবাদিকদের কাছে আছে তখন তিনি জানান বিদ্যুৎ অফিসের সামনে মসজিদ রেখে বাজারের ১০-১২ মসজিদ রেখে তারা থানা মসজিদে নামায পড়তে গেছে,নামায শেষ করে থানা ভবন দেখে চলে আসছেন। তাকে প্রশ্ন করা হলো মৃত পরিবার তার লাশ নিবে,থানা পুলিশ বুঝবে সেখানে সে সময় আপনাদের উপস্হিতি কেন? লাইন ঠিক করার সময় আপনাদের পাওয়া না গেলেও নির্দিষ্ট সময় ঠিক আপনাদের উপস্থিতির রহস্য কি? তিনি কোন উত্তর দিলেন না। মৃত পরিবারকে ৩০ হাজার টাকা দেওয়া, মৃত রিয়াজের বাবা আবুল হোসেন স্বীকার গেলেও তিনি অস্বীকার। বিভিন্ন কথার মধ্যে পরবর্তীতে তিনি স্বীকার যান তিনিও সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

চাঁদপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি–২-এর আওতাধীন ফরিদগঞ্জ জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার প্রকৌশলী মোহাম্মদ কামাল হোসেন জানান রিয়াজ এর মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত চলমান। পরিবারকে আর্থিক কোন সহযোগিতা করছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি জানান আপনাদের লাভ কি? ধরেন তাদের টাকা দিলে কি হবে না দিলে কি হবে।

চাঁদপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর সভাপতি মোঃ আলীম আজম রেজা জানান ঘটনার দিন আমি ব্যাক্তিগত কাজে ঢাকা ছিলাম, গতকাল রাতে আসছি, পল্লী বিদ্যুৎ এর কোন দ্বায় থাকলে অবশ্যই ব্যবস্হা নেওয়া হবে।

ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ সাইদুল ইসলাম জানান, ঘটনার দিন তিনি ফরিদগঞ্জ ছিলেন না,এবং এই বিষয়ে তিনি অবগত নন বলে জানান।

উল্লেখ্য টাকা লেনদেনের সময় উপস্হিত ছিলেন চাঁদপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি–২-এর আওতাধীন ফরিদগঞ্জ জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার প্রকৌশলী মোহাম্মদ কামাল হোসেন, সহকারী জেনারেল ম্যানেজার নাজির উল্লাহ,মিটার এডার আজাদ হোসেন। এবং আজাদ হোসেন গোপনে জানাযায় ছিলেন এবং দাপন সম্পন্ন হওয়া পযর্ন্ত আড়ালে ছিলেন।