পঞ্চগড়ে রাজনৈতিক সভায় শিক্ষা কর্মকর্তার অংশগ্রহণে সমালোচনার ঝড় দেশসেবা দেশসেবা ডেস্ক রিপোর্ট প্রকাশিত: ৬:২৭ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৬, ২০২৪ আব্দুল্লাহ্ আল মামুন ।।পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় জিয়া পরিষদের মিছিলে যোগ দিয়ে আলোচনা সভায় অতিথির আসনে বসা ও বক্তব্য রাখায় সমালোচনার মুখে পড়েছেন প্রাথমিকের উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা আজমল আজাদ রয়েল।গত শনিবার (২ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলা জিয়া পরিষদ আয়োজিত মিছিল অংশ নেয়াসহ বোদা পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় চত্বরে “শহীদ জিয়া ও আমাদের গণতন্ত্র বিষয়ক’’ আলোচনা সভায় অতিথির আসনে বসে থাকতে দেখা যায় তাকে। সভায় তিনি বক্তব্যও রাখেন। তবে সেদিনের মিছিল ও সভার বিভিন্ন ছবি সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়।একজন সরকারী কর্মকর্তা কিভাবে একটি রাজনৈতিক দলের মিছিলে যোগ দিয়ে আলোচনা সভায় রাজনৈতিক নেতার মত বক্তব্য রাখেন এনিয়ে প্রশ্ন উঠেছে সচেতন মহলের মানুষের মাঝে। তবে একজন সরকারী কর্মকর্তাকে রাজনীতি ও রাজনৈতিক নানা কর্মকান্ডের উর্ধ্বে থাকা উচিত বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।জিয়া পরিষদের সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)’র জাতীয় নির্বাহী কমিটির পল্লী উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক ও জেলা শাখা বিএনপি’র সদস্য সচিব ফরহাদ হোসেন আজাদ।উপজেলা প্রাথমিক সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা আজমল আজাদ রয়েল উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ময়দানদিঘী ও কালিয়াগঞ্জ ক্লাস্টারের দায়িত্বে আছেন।সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)’পঞ্চগড় জেলা শাখার প্রতিনিধি রফিকুল ইসলাম ভূট্টু বলেন, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা হিসেবে উনি সরকারি চাকুরি বিধিমালা ভঙ্গ করেছেন। বিধায় সরকারি বিধি মোতাবেক এ ধরনের কর্মকাণ্ডে অংশ নেয়ায় চাকুরি থেকে অপসারণ, বরখাস্ত বা তার চাকরি থাকার কথা না। চাকুরি আইন অনুযায়ী তাকে চাকুরি থেকে অপসারণ করা বাঞ্ছনীয় এবং করতেই হবে, এটা প্রশাসনের দায়িত্ব। কারণ আগামীতে যে অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন হবে তাতে যদি ওনাকে প্রিসাইডিং কর্মকর্তার দায়িত্ব দেয়া হয় তাহলে নির্বাচন বিতর্কিত হতে পারে। যারা সরকারি কর্মকর্তা, কর্মচারী সরকারের কোন নির্বাচনের বা কোন দলের পক্ষপাতিত্ব হয়ে জনগণের কাছে পার্টিসিপেশন করতে পারবে না বা বক্তব্য দিতে পারবে না। আলোচনায় অংশ গ্রহণ করতে পারবে না। তারা যদি করে তাহলে তারা চাকরির বিধান মতো আইন ভঙ্গ করেছে তার চাকরি চলে যেতে পারে।উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আজমল আজাদ রয়েল বলেন, জিয়া পরিষদ দলীয় প্রোগ্রাম না। এটা হইছে কি টিচারেরা আমাকে ডাকছিল, যে কারণে গেছিলাম। সব টিচাররা সরকারি কাজে গেছিল। এটা জিয়া পরিষদ কোন দল না, এটা ওরা গঠন করছিল যে কারণে আমাকে ডাকছিল ওরা। আমি অবশ্য বিষয়টি জানতাম না। এজন্য গেছিলাম। আমরা চাকরিজীবি আমাদের রাজনীতি কিসের। সরকারের যত কাজ আছে সেগুলো আমাদের বাস্তবায়ন করা দ্বায়িত্ব। আপনি আমাদের দেখলে চিনবেন হয়তো। আপনাদের সবাই আমাকে চেনে। আপনিও চিনবেন আমাকে।তবে অনুষ্ঠানে অতিথির আসনে উপস্থিত হয়ে বক্তব্য দানের বিষয়টি স্বীকার করলেও মিছিলে থাকার বিষয়টি অস্বীকার করেন তিনি।বোদা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শাহজাহান মন্ডল বলেন, নিঃসন্দেহে সরকারী চাকরিজীবি কোন রাজনৈতিক প্লাটফর্মে যেতে পারেন না। সরকারি চাকরিজীবিদের রাজনীতি করার কোন এখতিয়ার নেই। উনি গেছেন কিনা আমি বিষয়টি আমি জানি না। তবে আমি উনাকে এবিষয়ে জিজ্ঞেস করবো। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।তবে সরকারি চাকরিজীবি দলীয় অনুষ্ঠানে থাকার বিষয়টি নীতিমালায় আছে কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, এমন কোন নীতিমালা নেই। SHARES সারা বাংলা বিষয়: