বান্দরবানের ঘটনায় বিদেশি কোনো মদদ নেই: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

দেশসেবা দেশসেবা

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ৪:৪৩ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ৬, ২০২৪

নিজস্ব প্রতিনিধি।স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, ‘বান্দরবানের ঘটনায় বিদেশি কোনো মদদ নেই। বিদেশি যাদের কথা বলা হচ্ছে, তারা নিজেদের সমস্যা সমাধানে ব্যস্ত। এই অপরাধে জড়িত কেউ দেশের বাইরে গেলে সেখান থেকে তাকে এনে বিচার করা হবে।’

বান্দরবান সার্কিট হাউজে শনিবার বিকেলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসনের সাথে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এটা জনগণের সরকার। জনগণ যদি মনে করে পার্বত্য শান্তি আলোচনা চালিয়ে যাওয়া দরকার। তাহলে তাই হবে। জনগণের কথামতো আলোচনা হতে পারে।

শান্তি প্রক্রিয়ার আলোচনা এগিয়ে যাচ্ছিল উল্লেখ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘কিন্তু তারা আলোচনা চায় না। তাই সেটা ঢাকতে এই হামলা চালিয়েছে।’

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘কেএনএফ যে হামলা ও লুটের ঘটনা ঘটিয়েছে, সেটা কোনোভাবেই ছাড় দেওয়া হবে না। প্রধানমন্ত্রী সামরিক বাহিনীকে নির্দেশনা দিয়েছেন শক্তিশালী অভিযান চালানোর। সমন্বিত অভিযানের বিষয়ে সেনাবাহিনী সিদ্ধান্ত নেবেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীন বাহিনী তাদের মতো অভিযান চালাবে।’

এর আগে শনিবার বান্দরবানের রুমায় পৌঁছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, পাহাড় শান্তিপ্রিয় এলাকা। এখানে শান্তির সুবাতাস বইত। এখানে কোনো অশান্তি হোক তা চাই না। যে ঘটনাই ঘটুক, তদন্ত করে দেশের আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘পার্বত্যাঞ্চলকে অশান্ত করতে দেওয়া হবে না। হামলার ঘটনায় কারো গাফিলতি আছে কি না খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’

পার্বত্য অঞ্চলের বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সম্প্রতি ব্যাংক ডাকাতি, অস্ত্র লুট, থানায় আক্রমণের ঘটনায় উত্তপ্ত বান্দরবান।

উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার রাতে তারাবি নামাজের সময় বান্দরবানের রুমা শাখা সোনালী ব্যাংক ও আশপাশের এলাকা ঘিরে ফেলে শতাধিক সশস্ত্র দুর্বৃত্ত। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মসজিদ থেকে ব্যাংক ম্যানেজার নেজাম উদ্দিনকে ধরে নিয়ে ব্যাংকের ভেতরে মারধর করে তারা। পরে তাঁকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।

এ সময় ব্যাংকের নিরাপত্তায় নিয়োজিত ১০ পুলিশ ও ৪ আনসার সদস্যকে নিরস্ত্র করে ৮টি চাইনিজ অটোমেটিক রাইফেল, ২টি এসএমজি, ৪টি শটগান ও ৪১৫ রাউন্ড গুলি ছিনিয়ে নেওয়া হয়। এ সময় ২ পুলিশ সদস্য আহত হন। এ ঘটনার ১৬ ঘণ্টা পর থানচিতে আরও দুটি ব্যাংকে ডাকাতি হয়।

বৃহস্পতিবার রাতে অপহৃত সোনালী ব্যাংক কর্মকর্তা নেজাম উদ্দিনকে রুমা বাজার থেকে উদ্ধার করে র‍্যাব। এর পরপরই থানচি থানা থেকে গোলাগুলির শব্দ শোনেন স্থানীয়রা। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী এই গোলাগুলি চলে।

স্থানীয়রা বলছেন, থানচি থানার পাশে প্রথম গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়। পরে তা থানচি বাজারের কাছে চলে আসে। এ সময় সশস্ত্র গোষ্ঠী কেএনএফের সদস্যদের সঙ্গে পুলিশের গুলিবিনিময় হয়। পুলিশ জানিয়েছে, থানায় হামলা প্রতিহত করতে গিয়ে তারা প্রায় ৫০০ রাউন্ড গুলি ছুঁড়েছে।

এর রেশ কাটতে না কাটতেই মধ্যরাতে আলীকদমের ২৬ মাইল ডিম পাহাড় এলাকায় যৌথবাহিনীর চেক পোস্টে হামলা হয়।