বগুড়ায় নারী হাজতখানায় আলোচিত তুফান সরকার কে স্ত্রীর সাথে একক ভাবে সময় কাটানোর সুযোগ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে কোট পুলিশের উপরে।

দেশসেবা দেশসেবা

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১:৪৬ অপরাহ্ণ, মার্চ ৪, ২০২৫

মোঃ আবু সাঈদ।।

বগুড়ার আলোচিত তুফান সরকারকে আদালতের নারী হাজতখানায় পরিবারের পাঁচ সদস্যের সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠেছে। এ ঘটনায় আদালত পুলিশের সহকারী টাউন উপপরিদর্শক (এটিএসআই) জয়নাল আবেদিনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। সোমবার (৩ মার্চ) বিকালে বগুড়ার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এঘটনা ঘটে। তুফান সরকার বগুড়া শহর যুব শ্রমিকলীগের সাবেক সাধারণ সস্পাদক। তিনি বগুড়া শহরের চকসুত্রাপুর এলাকার মজিবর সরকারের ছেলে এবং হত্যা, মাদক, ধর্ষণ ও ছিনতাইসহ ১৭ মামলার আসামি। আজ বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের দ্বিতীয় তলায় দেখা যায়, নারী হাজতখানার দরজা কালো কাপড় দিয়ে ঢেকে দেওয়া। ভেতরে তুফান সরকার, তার স্ত্রী, ছোট বোন, শাশুড়ি, স্ত্রীর বড় বোন এবং একজন আইনজীবী সহকারী। ঘটনাটি জানাজানি হলে আদালত চত্বরে হৈ চৈ পড়ে যায়। পরে তাড়াহুড়া করে তুফান সরকারকে প্রিজন ভ্যানে কারাগারে পাঠানো হয় এবং তার পরিবারের সদস্যরা সটকে পড়েন।

বগুড়ার আদালত পুলিশের পরিদর্শক মোসাদ্দেক হোসেন বলেন, ‘সকালে তুফান সরকারকে বিদ্যুৎ আদালতে হাজিরার জন্য কারাগার থেকে আনা হয়। দুপুরের মধ্যেই কারাগার থেকে আনা সকল হাজতিকে প্রিজন ভ্যানে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। হাজতখানার চাবি এটিএসআই জয়নাল আবেদিনের কাছে থাকে। তুফান সরকারকে কারাগারে না পাঠিয়ে তাকে নারী হাজতখানায় পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাত করার সুযোগ করে দেয় জয়নাল আবেদিন। আদালতে সবার অগোচরে ঘটনাটি ঘটে।
বগুড়ার পুলিশ সুপার জেদান আল মুসা বলেন, পুরুষ আসামিকে নারী হাজতখানায় পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ করে দেওয়ার অভিযোগে এটিএসআই জয়নাল আবেদিনকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে। একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। পুলিশের আরও যাদের গাফিলতির প্রমাণ পাওয়া যাবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
২০১৭ সালে এক কলেজছাত্রীকে আটকে রেখে ধর্ষণ করে তুফান সরকার। পরে শালিস ডেকে ধর্ষিতা ও তার মাকে চরিত্রহীনা উল্লেখ করে তাদের মারধর করে এবং মা-মেয়ের মাথা ন্যাড়া করে দেয় তুফান সরকার। সেই ঘটনায় দেশজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি হলে তুফান সরকার গ্রেপ্তার হয়। কারাগারে থাকা অবস্থায় একজন দর্শনার্থীর মাধ্যমে স্যালাইন পাইপ দিয়ে ফেনসিডিল সেবন করতে গিয়ে কারারক্ষীদের হাতে ধরা পড়ে সেই দর্শনার্থী। সেই ঘটনাতেও আলোচনায় আসে তুফান সরকার। তুফান সরকারের নামে ১৭টি মামলা রয়েছে। ৫ আগস্টের পর আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় গত অক্টোবর মাসে ডিবি পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।