দুই টুকরো কমলা বেশি খাওয়ায় শিক্ষার্থীকে বেধড়ক পিটুনি

দেশসেবা দেশসেবা

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ২:২৫ অপরাহ্ণ, মার্চ ৬, ২০২৫
সৌভিক পোদ্দার।।
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার মথুরাপুর আদর্শ এতিমখানায় ইফতারিতে বেঁচে যাওয়া দুই টুকরা কমলা খাওয়ার কারণে মোঃ সাগর (১৬)এক শিক্ষার্থীকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করেছে সহকারী শিক্ষক ইমান হাওলাদার।
বুধবার ফজরের নামাজের পর এ ঘটনা ঘটে। আহত শিক্ষার্থীর রাউতাইল গ্রামের মৃত আনসার মন্ডলের ছেলে মোঃ সাগর। দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ও  আবাসিক থেকে পড়াশোনা করে।
মারপিটের বিষয়টি টের পেয়ে পরিবারের লোকজন সকাল ৮ দিকে তাকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। এইদিকে এই ঘটনার পর থেকে ওই শিক্ষক ইমরান হাওলাদার পলাতক রয়েছে।
নির্যাতিত ওই শিক্ষার্থী মোঃ সাগর বলেন, দ্বিতীয় রমজানের ইফতারের পর দেখি দুই টুকরা কমলা পড়ে আছে। তখন হেড স্যারের কাছে বিষয়টি জানলে স্যার আমাকে বলে কেউ না আসলে খেয়ে নিও। পরে কেউ না আসলে রাতে আমি  কমলা টুকরা খেয়ে নি। মঙ্গলবার ফজরের নামাজ শেষে ইমরান স্যার আমাকে বলে তুই চুরি করে কমলা খেয়েছিস। এই কথা বলে দড়ি দিয়ে হাত বেঁধে ক্রিকেট খেলার স্টাম্প ও মেগুনি গাছের  ডাল দিয়ে আমাকে প্রচন্ড মারপিট করে।
শিক্ষার্থীর মা মোছা. মধুমালা খাতুন জানান, সকালে জানতে পারলাম চুরি করে কমলা খাওয়ার অপরাধে আমার ছেলেকে বেধড়কভাবে পিটিয়েছে ইমরান স্যার। এর আগেও আমার ছেলেকে অন্যায় ভাবে পিটিয়েছিলেন ইমরান স্যার। তখন কিছু বলিনি আজ আবার আমার ছেলেকে মারলো আমি তার বিচার চাই।
মথুরাপুর আদর্শ এতিমখানার সুপার জাহিদুল ইসলাম জানান, ঐদিন ইফতার শেষে তারাবির নামাজ পড়িয়ে আমি বাড়িতে  চলে যাই। তার আগে শিক্ষার্থীর সাগর কমলার বিষয়টি আমাকে জানালে আমি তাকে খেয়ে ফেলতে বলি। আজ সকালে ইমরান স্যার আমার তাকে মারপিট করেছে। এই ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক রয়েছেন। আমাদের কোন শিক্ষক ইমরান হাওলাদার কে পালাতে সহযোগিতা করেনি। অভিযুক্ত এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, সাগরকে মারপিটের বিষয়ে তার মা ও শিক্ষকের বিরুদ্ধে থানায় একটা লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।