বরগুনায় পথ শিশুকে ধর্ষণচেষ্টা, অভিযুক্ত বৃদ্ধ গ্রেফতার দেশসেবা দেশসেবা ডেস্ক রিপোর্ট প্রকাশিত: ১২:৫০ অপরাহ্ণ, মার্চ ১৬, ২০২৫ মোঃ শাহজালাল।। বরগুনায় এক পথশিশুকে ধর্ষণচেষ্টার পর হাসপাতালে লুকিয়ে রাখার অভিযোগ উঠেছে এক বৃদ্ধের বিরুদ্ধে। ঘটনার সাত দিন পর শিশুটিকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় অভিযুক্ত মোসলেম আলী (৬৫) নামে এক ঝালমুড়ি বিক্রেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শনিবার (১৫ মার্চ) রাত ২টার দিকে পৌরশহরের নয়াকাটা এলাকার ভাড়া বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয় মোসলেম আলীকে। গ্রেফতারকৃত বৃদ্ধ মোসলেম আলী সদর উপজেলার হেউলিবুনিয়া এলাকার বাসিন্দা। ভুক্তভোগী পথশিশুটি বরগুনা সদর উপজেলার আয়লা পাতাকাটা ইউনিয়নের বৈকালীন বাজার এলাকার বাসিন্দা। শিশুটির বাবা ভিক্ষুক ও মা মানসিক প্রতিবন্ধী। সে শহরের বিভিন্ন জনবহুল স্থানে এবং বরগুনা সদর হাসপাতাল এলাকায় ভাসমান অবস্থায় থাকতো। স্থানীয় ঝাল মুড়ি বিক্রেতারা বলেন, অভিযুক্ত মোসলেম আলী বরগুনা সদর হাসপাতাল কম্পাউন্ডে ঝালমুড়ি বিক্রি করতেন। গত ৭ মার্চ বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের দক্ষিণ পাশের গেটের কাছে পথশিশুটিকে চকলেটের লোভ দেখিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। এ সময় তার পাশবিক নির্যাতনের ফলে শিশুটি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং তাকে সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। মুক্তার বাবা আজাহার উদ্দিন ঘটনার বিষয়ে বলেন, পুশিল আমার বাড়ি গিয়ে আমাকে ডেকে থানায় নিয়ে আসে। থানায় এসে আমার দুই মেয়ে ও মোসলেমকে দেখি। থানায় এসে শুনছি আমার মেয়ে মুক্তাকে ধর্ষণ করছে মোসলেম। এ ঘটনার বিষয়ে অভিযুক্ত মোসলেমের স্ত্রী বলেন, এটা ষড়যন্ত্র আমরা মহিলারা মহিলারা ঝগড়া করি। ঝাল মুড়ির দোকান নিয়ে হেলাল প্রায়ই ঝামেলা করত। আমার স্বামী সড়ল সোজা কি বলবো ষড়যন্ত্র কইরা এইরোম একটা বিপদে হালাইছে এহোন আমি চারটা এতিমেরে কি খাওয়ামু। আমার স্বামী সাথে বিগত-১০ বছরের মধ্যে কোন শারীরিক সম্পর্ক নাই। শনিবার (১৫ মার্চ) রাত ২টার দিকে পুলিশ শিশুটিকে উদ্ধার করে। এ সময় তার সঙ্গে তার ছোট বোনও ছিল। সন্দেহভাজন তিনজনকে আটক করে থানায় নিয়ে গেলে শিশুটি নিজেই অভিযুক্ত মোসলেম আলীকে শনাক্ত করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মোসলেম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন বলে জানায় পুলিশ। বরগুনা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ দেওয়ান জগলুল হাসান বলেন, খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে নির্যাতিত শিশুটিকে উদ্ধার এবং তার দেওয়া বর্ণনা অনুযায়ী তিনজনকে আটক করা হয়েছে। এদের মধ্যে এক বৃদ্ধকে শিশুটি শনাক্ত করায় তাকে গ্রেফতার করেছি। তার বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে। হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শিশুটিকে হাসপাতালে ভর্তি না দেখিয়ে চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়েছিল। এবিষয় বরগুনা ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মুঠো ফোনে বলেন, এবিষয়ে আমি কিছু জানি না। আজকে শুনলাম মুক্তা নামে কেউ হাসপাতালে ভর্তি ছিল না। এটা বাহিরের একটা পথশিশু কিভাবে হাসপাতালে আসলো তদন্ত করে দেখা হবে। SHARES অপরাধ ও দুর্নীতি বিষয়: