নওগাঁয় সাক্ষর জাল করে দপ্তরীকে চাকুরীচ্যুত করার অভিযোগ

দেশসেবা দেশসেবা

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১:১৪ অপরাহ্ণ, মার্চ ১৬, ২০২৫
সাইফুল ইসলাম।।
নওগাঁ জেলার বদলগাছী উপজেলার গোয়াল ভিটা আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মোঃ আনোয়ার হোসেন এবং সহকারী শিক্ষক মোঃ উজাউল ইসলামের বিরুদ্ধে সাক্ষর জাল করে মোঃ আব্দুল হামিদ নামের এক দপ্তরীকে চাকুরীচ্যুত করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ওই দপ্তরী গোপনে অব্যহতি পত্র প্রস্তুত করে চাকুরী থেকে ইস্তফা দেখানো ও বেতন থেকে বঞ্চিত করায় মাদ্রাসার সভাপতিসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মাদ্রাসার দপ্তরী পদে আব্দুল হামিদ গত ১৯৮৪ খ্রিস্টাব্দের ১ জুন থেকে নিয়মিতভাবে কর্মরত ছিলেন। তার ৮ম পাশের সনদ ও জাতীয় পরিচয় পত্র অনুযায়ী জন্ম তারিখ ১ জানুয়ারি ১৯৬২। এই মোতাবেক সরকারি বিধি অনুসারে তার চাকুরী থেকে অবসর যাওয়ার কথা ২০২১ খ্রিস্টাব্দের ৩১ ডিসেম্বর। কিন্তু ২০২১ খ্রিস্টাব্দের আগষ্ট মাসে অধ্যক্ষ তাকে জানান যে, তার চাকুরীর বয়স শেষ হয়েছে বিধায় তিনি আমাকে তৎপরবর্তী সময়ের বেতন-ভাতা ও প্রদান করেননি। তিনি সরল বিশ্বাসে তাঁর কথা মেনে নিয়েছেন। বর্তমান কমিটি আয় ব্যয় পর্যালোচনায় দেখতে পান যে, তার চাকুরী থাকা অবস্থায় তার ইস্তফা দেখনো হয়েছে খবরটি শুনে এবং অব্যাহতি পত্র দেখে তিনি বিস্মিত হন।
অভিযোগে তিনি আরও বলেন, সহকারী শিক্ষক উজাউল ইসলাম নিজ হাতে তার অব্যহতি পত্র প্রস্তুত করে সুকৌশলে তার অজান্তে তাকে চাকুরী হতে ইস্তফা দেখিয়াছেন। উক্ত ইস্তফা পত্র মো. উজাউল ইসলামের নিজ হাতে লেখা যাহাতে আমি স্বাক্ষর করি নাই। অথচ সরকারী বিধান মতে আমার আরো ৪ মাস চাকুরী ছিল।
ভুক্তভোগী দপ্তরী আব্দুল হামিদ বলেন, অধ্যক্ষ এবং উজাউল আমাকে বিনা বেতনে প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে নতুন দপ্তরী নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত আমাকে প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব পালন করতে বলেন। সে মোতাবেক আমার দ্বারা ২০২২ খ্রিস্টাব্দের ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিনা বেতনে মাদ্‌রাসার দায়িত্ব কর্তব্য পালন করে নিয়েছেন। আমার সম্পূর্ণ অজ্ঞাতসারে আমার ইস্তফাপত্র প্রস্তুত করে আমাকে বেতন থেকে বঞ্চিত করায় আমি উক্ত ৪ মাসের বেতন এবং বিধি অনুযায়ী অবসর ও কল্যাণ সুবিধা থেকে আংশিক বঞ্চিত ও প্রতারণার শিকার হয়েছি। আমার এই ইস্তফা পত্রে আমি স্বাক্ষর করিনি। এটা উজাউল ও অধ্যক্ষ মিলে করেছে। আমি এর বিচার চাই।
জানতে চাইলে ইস্তফা পত্র লেখে দেওয়ার কথা শিকার করে শিক্ষক উজাউল বলেন, আমাকে ড্রাফট করে দিয়েছে সেটাই আমি লেখে দিয়েছি। আমি এতে স্বাক্ষর করিনি। তবে ভুক্তভোগীর স্বাক্ষরের সাথে ইস্তফাপত্রের স্বাক্ষরের মিল নেই কেন? এ প্রশ্নের কোন সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি।
এ বিষয়ে জানতে অধ্যক্ষ আনোয়ার হোসেনের মুঠোফোনে কল দিলেও সেটা বন্ধ পাওয়ায় তার কোন বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। অভিযোগ প্রাপ্তির সত্যতা নিশ্চিত করে মাদ্রাসার সভাপতি দেলোয়ার হোসেন বলেন, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে সত্যতা পেলে বিধিমতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।