বড়াইগ্রামে বিএনপির দুপক্ষের দফায় দফায় সংঘর্ষ, অফিস ভাঙচুর, আহত ১০ দেশসেবা দেশসেবা ডেস্ক রিপোর্ট প্রকাশিত: ১:২০ অপরাহ্ণ, মার্চ ১৬, ২০২৫ বেলহাজ উদ্দিন বাঁধন।। বড়াইগ্রামে টিসিবির পণ্য ভাগাভাগি নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে বিএনপির দুপক্ষের দফায় দফায় সংঘর্ষে কমপক্ষে ১০ জন আহত ও ওয়ার্ড বিএনপির কার্যালয় ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার বিকালে উপজেলার নগর ইউনিয়নের ধানাইদহ বাজারে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায়- আব্দুল্লাহ, রফিকুল ইসলাম, কালু মিয়া, আকাশ, শাহীনুর রহমান, ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি ফরহাদ হোসেন ও মিজানুর রহমানসহ কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার দুপুর ২টার দিকে নগর ইউনিয়ন পরিষদে টিসিবির পণ্য বিতরণ চলছিল। এ সময় ৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদ সরকারের নেতৃত্বে তার অনুসারীরা অবিক্রিত পণ্যগুলো ভাগাভাগি করে নেন। বিষয়টি জানতে পেরে নগর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মিল্টন হোসেন ও সাবেক ইউপি সদস্য আবুল হোসেন আবু লোকজনসহ পরিষদে গিয়ে এ ঘটনার প্রতিবাদ করেন এবং অবশিষ্ট পণ্যের অংশ দাবি করেন। এ সময় কথা কাটাকাটির জের ধরে উভয় পক্ষই লাঠিসোটা নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের সরিয়ে দেয়। বিকাল চারটার দিকে মিল্টন হোসেন তার লোকজনসহ ৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির কার্যালয়ে বসেছিলেন। এ সময় আসাদ সরকারের লোকজন পুনরায় চাইনিজ কুড়াল, হাসুয়া ও লাঠিসোটাসহ সেখানে গিয়ে ৬-৭ জনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করে। পরে তারা ওয়ার্ড বিএনপি অফিসের চেয়ার-টেবিলসহ ডেকোরেটর থেকে আনা চেয়ার ভাঙচুর করে চলে যায়। এ ব্যাপারে বিএনপি নেতা আসাদ সরকার বলেন, তারাই আমাদের ছেলেদেরকে মেরেছে, আর ওয়ার্ড বিএনপির অফিস আমরা ভাঙচুর করিনি। তারা নিজেরাই ভাঙচুর করে আমাদের দোষ দিচ্ছে। নগর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মিল্টন হোসেন বলেন, টিসিবির পণ্য ভাগ করে নেওয়ার প্রতিবাদ করলে তারা হামলা করে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি শান্ত করে। এরপর আমরা বিএনপি অফিসে পূর্ব নির্ধারিত ইফতার মাহফিলের প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। এ সময় তারা পুলিশের উপস্থিতিতে সশস্ত্র অবস্থায় অফিসে হামলা চালিয়ে ৬-৭ জনকে কুপিয়ে জখম করেছে এবং অফিসে ভাঙচুর করেছে। বড়াইগ্রাম থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহবুবুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। SHARES অপরাধ ও দুর্নীতি বিষয়: