অবাক করা চট্টগ্রাম, সৌন্দর্যের সমাহারে বাসছে চট্টগ্রাম আনোয়ার

দেশসেবা দেশসেবা

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১১:৪৭ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ২৬, ২০২৫
AI Genarated

মোঃ হিমেল।।

চট্টগ্রামের আনোয়ারা-বাঁশখালী-পেকুয়া (এবিপি সড়ক) সড়কটি চার লেনে উন্নীত করা সময়ের দাবি। সড়কটি চার লেনের হলে নানা দিক থেকে ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হবে। নিচে কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপকারিতা তুলে ধরা হলো: ১. অর্থনৈতিক গতি বৃদ্ধি এ রুটটি চট্টগ্রাম শহরের সঙ্গে বাঁশখালী চা-বাগান, বাঁশখালী সমুদ্রসৈকত, বাঁশখালী কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র, কক্সবাজার এবং দক্ষিণ চট্টগ্রামের বিশাল জনগোষ্ঠীকে যুক্ত করে। চার লেন হলে পণ্য পরিবহন দ্রুত ও সাশ্রয়ী হবে। ফলে বাণিজ্যিক সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যাবে। ২. দূরত্ব ও সময় সাশ্রয় যানজট কমে যাবে এবং যাত্রার সময় প্রায় ৩০-৪০% কমে আসবে। জরুরি প্রয়োজনে (যেমন: চিকিৎসা বা ব্যবসা) দ্রুত যাতায়াত নিশ্চিত হবে। ৩. নতুন শিল্প ও বিনিয়োগ আকর্ষণ চার লেন সড়ক হলে শিল্পাঞ্চল ও ইকোনমিক জোনের সম্প্রসারণ সহজ হবে। অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ হবে এই তিনটি অঞ্চলসহ গোটা কক্সবাজার জেলা। দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীরা দক্ষিণ চট্টগ্রামে বিনিয়োগে আরও আগ্রহী হবে । ৪. পর্যটন উন্নয়ন আনোয়ারা, বাঁশখালী, পেকুয়াসহ কক্সবাজারের সম্ভাবনাময় পর্যটন স্পটগুলো সহজে অ্যাক্সেসযোগ্য হবে। চার লেনের সুবাদে ট্যুরিস্ট ফ্লো বাড়বে, যা স্থানীয় অর্থনীতিকে চাঙা করবে। ৫. নিরাপত্তা ও দুর্ঘটনা হ্রাস বর্তমান সরু ও বিপজ্জনক সড়কে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। চার লেন হলে দুর্ঘটনার ঝুঁকি কমে যাবে, এবং বিপরীত দিক থেকে আসা গাড়ির সংঘর্ষ এড়ানো সম্ভব হবে। ৬. সামাজিক সংযোগ ও জীবনমান উন্নয়ন গ্রাম-শহরের সংযোগ বাড়বে, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা আরও সহজলভ্য হবে। গ্রামীণ জনপদের জীবনমানে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। এতে করে চট্টগ্রাম সিটির উপর নাগরিক চাপ কমে আসবে। সিটির ঘনবসতি কমে আসবে। ৭. জরুরি সহায়তা সহজতর দুর্যোগের সময় ত্রাণ ও রেসকিউ কার্যক্রম আরও দ্রুত ও সহজ হবে। আনোয়ারা-বাঁশখালী-পেকুয়া (এবিপি) সড়ক চার লেনে উন্নীত হলে কর্ণফুলী টানেল ও তার আশপাশের এলাকা বহুগুণে উপকৃত হবে। ক. কর্ণফুলী টানেলের আয় ও ব্যবহার বৃদ্ধি চার লেন সড়কের মাধ্যমে আনোয়ারা ও দক্ষিণ চট্টগ্রামের যান চলাচল অনেক বেড়ে যাবে। ফলে টানেলের উপর দিয়ে যাতায়াতকারীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে এবং টোল আদায় বাড়বে। টানেল হয়ে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম বিকল্প রুট হিসেবে ব্যবহৃত হবে। খ. বাণিজ্যিক সম্ভাবনা ও শিল্পায়ন কর্ণফুলীর দক্ষিণ পাড়ে অবস্থিত আনোয়ারা ইকোনমিক জোন, কপারটেক শিল্প এলাকা, বিভিন্ন শিল্পগ্রুপের প্রকল্প—সবকিছুই সরাসরি উপকৃত হবে। ভারী ও হালকা শিল্পকারখানার পণ্য পরিবহন দ্রুত ও সাশ্রয়ী হবে। স্থানীয় উদ্যোক্তাদের জন্য নতুন ব্যবসায়িক সম্ভাবনা তৈরি হবে।