থার্টিফার্স্ট নাইট উৎসব না কি অত্যচার

দেশসেবা দেশসেবা

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ৪:০৬ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৩১, ২০২৪
মো. আরিফ।। নতুন বছরকে বরণ করে নিতে আমরা সবাই অপেক্ষা করছি।আমাদের মধ্যে অনেকেই প্রস্তুতি নিচ্ছে আতশবাজি, পটকা বা ফানুস ওড়ানোর মাধ্যমে নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর জন্য। খ্রিস্টপূর্ব ১৫৩ সালে প্রথম রোমে নতুন বছর পালনের প্রচলন শুরু হয়। পরবর্তী সময়ে সম্রাট জুলিয়াস সিজার খ্রিস্টপূর্ব ৪৬ অব্দে ‘জুলিয়ান ক্যালেন্ডার’ নামে নতুন বর্ষপঞ্জিকা প্রচলন করেন। জুলিয়ান ক্যালেন্ডারের জানুয়ারি মাসকে জানুস দেবতার নামে নামকরণ করা হয় এবং এই মাসের প্রথম দিনটি এই জানুস দেবতার দেবতার নামে উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করা হয়। আধুনকতার এই সময়ে আমাদের মধ্যে অনেকেই আতশবাজি, পটকা বা ফানুস ওড়ানোর মাধ্যমে নতুন বছরকে স্বাগত জানাবে। কিন্তু একবারও কি ভেবে দেখেছি এই আপনার আনন্দ অন্য মানুষ এবং পরিবেশের জন্য কতটা ক্ষতিকর? শব্দ দূষনের ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির শিকার হয় শহরের পাখিগুলো। মারা যায় অসংখ্য চড়ুইসহ আরো অনেক ছোট পাখি। বিগত বছরগুলোতে দেখা গেছে আতশবাজির উচ্চ মাত্রার শব্দ ও বায়ুদূষণের কারণে রোগী, শিশু ও প্রবীণ ব্যক্তিরা বিভিন্ন রকমের স্বাস্থ্য বিষয়ক জটিলতায় পড়েছিলেন। আতশবাজি ফোটানো সাধারন মানুষের কাছে আনন্দের হলেও রোগী, শিশু ও প্রবীণ ব্যক্তিরা পরেন ক্ষতির মুখে। বিশেষ করে তীব্র শব্দ পাখির জন্য বড় আতঙ্ক। আতসবাজির তীব্র শব্দ এবং আলোক ঝলকানির কারণে শত শত পাখি বাসা থেকে বের হয়ে এদিকে সেদিকে ছোটাছুটি করে এবং বিভিন্ন ভাবে মারা যায় এবং ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এই বছর কি আমরা এই অবস্থার পরিবর্তন করে পারি? শব্দদূষণ এক ধরনের মারাত্মক পরিবেশ দূষণ।সচেতনতা অবলম্বন করলেই কিন্তু এটি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। তাই আসুন দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে আমরা আতশবাজি, পটকা, উচ্চ শব্দে বক্স বা ফানুস ওড়ানো থেকে নিজে বিরত থাকি এবং অন্যদেরকে বিরত থাকতে উৎসাহ করি।