গাংনীর জুগিন্দা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে দেশসেবা দেশসেবা ডেস্ক রিপোর্ট প্রকাশিত: ১২:২৬ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৭, ২০২৫ মাহাবুল ইসলাম। । আজ রবিবার (২৬ এ জানুয়ারি) মেহেরপুর গাংনী উপজেলার ধানখোলা ইউনিয়নের জুগিন্দা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সকাল দশটার সময় এ পিঠা উৎসবের শুভ উদ্বোধন করা হয়। বাংলার ঐতিহ্য পিঠা পুলির সঙ্গে বর্তমান প্রজন্মকে পরিচয় করিয়ে দিতে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার জুগিন্দা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের রবিবার ২৬ এ জানুয়ারি) পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিভিন্ন বয়সের নারী-পুরুষের হাতে তৈরি হরেক রকমের পিঠা নিয়ে হাজির হন শিক্ষার্থীরা। উৎসবে মানুষের ঢল নামে। তারুণ্যের মেলা উপলক্ষে জুগিন্দা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এ উৎসবের আয়োজন করা হয়। জুগিন্দা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল করিম এর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে শুভো উদ্বোধন করেন, গাংনী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার হোসনে মোবারক স্যার বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গাংনীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মেডিকেল অফিসার ডাক্তার আজহার আরশি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গাংনী উপজেলা আইসিটি অফিসার আব্দুর রকিব। আরো উপস্থিত ছিলেন ধানখোলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ রোকনুজ্জামান, রায়পুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান, বাঁশবাড়ি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলিমুজ্জামান, ধলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেন গাংনী পৌর মাধ্যমিক বিদ্যালয় এর প্রধান শিক্ষক মমিনুজ্জামান, আড়পাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রউফ, গাংনী মাধ্যমিক বিদ্যালয় এন্ড কলেজের সহকারি শিক্ষক মোঃ মুস্তাফিজুর রহমান বাবলু। মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১০টি স্টলে শোভা পায় হরেক রকমের পিঠা। এরমধ্যে রয়েছে হৃদয়হরণ, ভাপা, পাটিসাপটা, গকুল, দুধকুলি, চিতয়,জামায় সামকপিটা সহ নানা ধরনের পিঠা। মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী উষ্ণ জানান, পিঠা খাওয়ার স্মৃতি সবারই কম বেশি রয়েছে। আরেক শিক্ষার্থী জানান, এক সময় শুধু গ্রামের মানুষই পিঠা খেতো। শহরে ব্যস্ততার কারণে পিঠার স্বাদ নিতে নগর বাসীদের কেউ গ্রামে গিয়ে পিঠা খেয়ে আসতো। কিন্তু এখন সময় বদলের সঙ্গে সঙ্গে সেই দৃশ্যপটও বদলে গেছে। এখন গ্রামের মতো শহরেও শীতের সময় সব ধরনের পিঠা পাওয়া যায়। জুগিন্দা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল করিম, বলেন, আমাদের দেশে বছরের বিভিন্ন ঋতুতে পিঠা খাওয়ার রেওয়াজ রয়েছে। এছাড়া বাড়িতে অতিথি এলে কম করে হলেও দু-তিন পদের পিঠা খাওয়া গ্রামবাংলার মানুষের ঐতিহ্য হিসেবে বিবেচিত। কালের বিবর্তনে এ ঐতিহ্য ম্লান হয়ে আসছে। প্রধান অতিথি হোসেন মোবারক স্যার বলেন গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য হারিয়ে যেতে বসেছিল আমরা যদি প্রতি বছরের ন্যায় এই পিঠা উৎসব করতে পারি তাহলে আমরা এই ঐতিহ্য ফিরে পাবো । এ সময় জুগিন্দা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক, শিক্ষিকা ও ছাত্রছাত্রীরা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় এলাকার সুশীল ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। সকলেই বলেন প্রতিবছর প্রতিটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পিঠা পালন করা হয় তাহলে গ্রাম বাংলার সাংস্কৃতি ফিরে পাব। SHARES সারা বাংলা বিষয়: