মাছ চাষের সাথে ধান চাষ বাধ্যতামূলক করতে হবে সাথে নদী ও খাল খনন করে মিষ্টি পানির প্রবাহ সৃষ্টি করা হবে। -এমপি রশীদুজ্জামান

দেশসেবা দেশসেবা

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১২:১৮ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২৪

বি.সরকার,পাইকাছা। “জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশ স্বাধীনের পর উপকুলীয় এলাকাকে নদীর লবণ পানি মুক্ত করার জন্য এই পাইকগাছা থেকেই উদ্বোধন করেছিলেন ওয়াপদার বাঁধ নির্মান করার কাজ।” খুলনা-৬ (কয়রা-পাইকগাছা) আসনের সংসদ সদস্য মোঃ রশীদুজ্জামান একথা তার বক্তব্যে বলেছেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর নির্দেশেই কয়রা, পাইকগাছাসহ উপকূলীয় অঞ্চলে নদীর পাড়ে নির্মিত হয় ওয়াপদার বেড়ী বাঁধ। কৃষিজমি হয় লবণ পানি মুক্ত। চাষবাদে এলাকা হয় সমৃদ্ধশালী। কৃষকদের ছিল গোলা ভরা ধান, পুকুর ভরা মাছ, গোয়াল ভরা গবাদি পশু। কিন্তু ৮০ দশকে বাইরে থেকে কিছু প্রভাবশালী ঘের মালিকরা সেই মজবুদ বেড়ী বাঁধ কেঁটে ওয়াপদা অভ্যন্তরে লবন পানি প্রবেশ করিয়ে চিংড়ি চাষ শুরু করে। লবন পানির কারনে এলাকার পরিবেশ নষ্ট হয়। কৃষকের গোলাভরা ধান ও পুকুর ভরা মাছ, গোয়াল ভরা গরু বিলুপ্ত হয়।লবনাক্ততার কারনে এলকার মানুষ হয় কর্মহীন, হাজার হাজার মানুষ বসতভিটা ছেড়ে অন্য এলাকায় চলে যায়। পেশা বদল করে অন্য পেশায় চলে যেতে বাধ্য হন এলাকার মানুষ। তিনি আরো বলেন আমি মহান জাতীয় সাংসদে লবন পানির বিরুদ্ধে বক্তব্য দিয়েছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট লবন পানির বিরুদ্ধে একটা আইন প্রনয়নের জন্য অনুরোধ করেছি।

অচিরেই কয়রা-পাইকগাছা লবন পানি মুক্ত হবে। যতদিন লবন পানি মুক্ত না হয় ততদিন পর্যন্ত ধান ও মাছ চাষ বাধ্যতামুলক করতে নির্দেশনা দেন তিনি। বদ্ধ নদী ও সরকারি খাস খাল খনন করে মিষ্টি পানির প্রবাহ সৃষ্টি করা হবে। তিনি পাইকগাছার লস্কর ও সোলাদানা ইউনিয়ন পরিষদের আয়োজনে লস্কর ইউনিয়ন পরিষদ চত্তরে এবং চারবান্ধা মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে পৃথক পৃথক দু’টি সুধী সমাবেশে উপরুক্ত বক্তব্য রাখেন। ২৪ ফেব্রুয়ারী শনিবার সকালে উপজেলার লস্কর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কে এম আরিফুজ্জামান তুহিনের সভাপতিত্বে ও যুবলীগ নেতা শহীদুল্লাহ্ কায়সারের সঞ্চালনায় এবং একই দিন বিকেলে সোলাদানা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতা প্রমথনাথ মন্ডলের সভাপতিত্বে ও যুবলীগ নেতা এমএম নজরুল-র সঞ্চালনায় উভয় স্থানেই বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান আনোয়ার ইকবাল মন্টু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ কামরুল হাসান টিপু, সহ-সভাপতি সমিরণ সাধু, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক আনন্দ মোহন বিশ্বাস, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কৃষ্ণ পদ মন্ডল, জেলা পরিষদ সদস্য গাজী রবিউল ইসলাম, ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান গাজী, অহেদুজ্জামান মোড়ল, আব্দুল ওহাব বাবলু, আজিজুর রহমান গাজী, আব্দুল হাই, রবিউল ইসলাম, মৃনাল বাছাড়, অনিতা রানী মন্ডল, পার্থ প্রতিম চক্রবর্তী, ফাইমিন সরদার, আরিফ আহম্মেদ জয় ইউপি সদস্যগনসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ।