খুলনার কয়রায় পুত্রবধূর দাবীতে অনশনরত কুলসুমের উপর হামলা দেশসেবা দেশসেবা ডেস্ক রিপোর্ট প্রকাশিত: ১২:৪০ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১৪, ২০২৫ অরবিন্দ কুমার মণ্ডল।। খুলনার কয়রায় পুত্রবধুর দাবীতে আওয়ামী লীগ নেতার বাড়ীতে অন্তঃসত্তা নারীর অনশনে বসায় মারপিঠের শিকার হয়েছে। মারপিট করে আহত করায় ঐ নারীকে কয়রা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভতি করা হয়েছে। ১৩ এপ্রিল রবিবার বেলা ১১ টার দিকে ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার বাঙ্গালী ইউনিয়নের ষোলহালিয়া গ্রামের ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আমজাদ হোসেনের বাড়িতে। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এলাকাবাসীর সুত্রে জানা গেছে কয়রা উপজেলার বাগালী ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সহ -সভাপতি ষোলহালিয়া গ্রামের আমজেদ হোসেনের বাড়ীতে তার পুত্র বধুর দাবীতে অনশনে বসেন ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা একই ইউনিয়নের কুশোডাংগা গ্রামের কুলসুম বেগম। এ সময় তার বাড়ীতে অনসন করার কারণে অন্তঃস্বত্তা নারী কুলসুম ও তার মাকে মারপিট করে আহত করেন আওয়ামীলীগ নেতা আমজেদ হোসেন ও তার পরিবারের লোকজন। মারপিট করায় ঐ নারী আহত অবস্থায় কয়রা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছে। কুলসুম বেগম জানায় আমজেদ হোসেনের পুত্র আল মামুনের সহিত ইসলামি শরীয়াহ মোতাবেক ২০২৪ সালের ২৪ জুনে তাদের বিবাহ হয়। ঐ বিবাহ মেনে নিতে চায় না তার শশুর আমজেদ হোসেন। বিষয়টি নিয়ে কয়রা থানায় লিখিত অভিযোগ করেন কুলসুম বেগম। সেখানে সকলের উপস্থিতিতে কুলসুমকে আল মামুনের স্ত্রী হিসেবে মেনে নিয়ে বাড়ীতে নিয়ে যাওয়ার সিধান্ত গ্রহণ করা হয়। সেই মোতাবেক লিখিতভাবে আপোষ মিমাংসা করা হয়। ইতিপুর্বে কুলসুম আল মামুনের বাড়ীতে গেলে তার শশুর বিষয়টি মেনে না নিয়ে তাকে তাড়িয়ে দেন। অসহায় কুলসুম কোন উপায় না পেয়ে অবশেষে রবিবার তার শশুর বাড়ীতে পুত্রবুধুর দাবীতে অনশনে বসলে তাকে মারপিট করে আহত করে। সে তার স্বামীর কাছে স্ত্রীর অধিকার পেতে প্রশাসন সহ সকলের সহযোগীতা কামনা করেছে। তবে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে আমজেদ হোসেন বলেন, সে আমার পুত্রবধু না। তাকে কোন মারপিট করা হয়নি। সে আমাকে হয়রানী করার জন্য মিথ্যা অভিযোগ করছে। SHARES অপরাধ ও দুর্নীতি বিষয়: