মিঠাপুকুরে নকল সরবরাহকারীকে ধরায় সাংবাদিকই হেনস্তার শিকার দেশসেবা দেশসেবা ডেস্ক রিপোর্ট প্রকাশিত: ৩:৫১ অপরাহ্ণ, মে ৫, ২০২৫ মো: সজল সরকার.. এবার চলমান এসএসসি পরিক্ষায় টালমাটাল অবস্থায় পড়েছে মিঠাপুকুরের বেশ কয়েকটি এসএসসি পরিক্ষা কেন্দ্র । একের পর এক অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা, প্রশ্ন ফাঁস এবং নকল সরবরাহের কারণে কয়েকটি কেন্দ্রের সচিবরা এখন আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন অনিয়মের চিত্র ঘুরে বেড়াচ্ছে। ব্যাপক আলোচনা সমালোচনার মধ্যে উদ্বিগ্ন অভিভাবক সহ মেধাবী শিক্ষার্থীরা। এদিকে মিঠাপুকুর উপজেলার শঠিবাড়ি (২) এসএসসি পরীক্ষাকেন্দ্রে রবিবার (৫-মে) নকল সরবরাহের তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে হেনস্তার শিকার হয়েছেন এক সাংবাদিক। নকল সরবরাহকারীকে আটক করার পর সেই সাংবাদিককেই উল্টো মুচলেকা দিতে হয়েছে বলে জানিয়েছেন সাংবাদিক ফরিদুল ইসলাম ইমন। ভুক্তভোগী ওই সাংবাদিককের দাবি, কেন্দ্রের বাইরে এক শিক্ষার্থীর মোবাইলে পরীক্ষার উত্তরপত্রসহ নকল সরবরাহের ভিডিও দৃশ্য ধারন করি। ভিডিওতে অভিযুক্ত শিক্ষার্থী স্বীকার করেন, তাকে মোবাইলে প্রশ্ন ও উত্তর পাঠানো হয়েছে। তবে ঘটনাটি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করে, কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কয়েকজন শিক্ষক ও কর্মচারী অভিযোগ তোলেন—সাংবাদিক এক অটোচালকের কাছে ‘নকলের অভিযোগ তুলে’ টাকা দাবি করেছেন। যদিও এমন অভিযোগের কোন সত্যতা দেখাতে পারেনি ঘটনার সময়ে উপস্থিত কোনো শিক্ষক কিংবা কেন্দ্র সংশ্লিষ্ট কেউ। নকল সরবরাহে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনো কার্যকর ব্যবস্থা না নিয়ে বরং সাংবাদিকের কাছ থেকে জোরপূর্বক মুচলেকা আদায় করা হয়। বিষয়টি কেন্দ্র সচিবের দায়িত্ব পালনে নির্লিপ্ততা ও পক্ষপাতিত্বের প্রশ্ন তোলে। স্থানীয় সংবাদকর্মীরা মনে করছেন, শাক দিয়ে মাছ ঢাকা হয়েছে। উদোর পিন্ডি বুদোর ঘাড়ে চাপানো হয়েছে। সাংবাদিক ফরিদুল সরকার ইমন অনলাইন পোর্টাল ‘নিউজ নাউ বাংলা এবং নিউজ সারাক্ষণ’-এর স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে কর্মরত। পূর্বেও তিনি নকলচক্রের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন করায় নকল সিন্ডিকেটের রোষানলে পড়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ বিষয়ে রংপুরের সাংবাদিক সমাজ এবং সুশীল মহল তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তারা বলেন, ‘‘সাংবাদিকরা যদি সত্য তুলে ধরলেই হেনস্তার শিকার হন, তবে প্রশাসন কোন দিককে নিরাপদ রাখতে চায়?’’ সাংবাদিক ফরিদুল ইমনের দাবি, “আমি প্রমাণসহ তথ্য সংগ্রহ করেছি। যদি আমি ভুল করে থাকি, তাহলে সুনির্দিষ্ট প্রমাণ দিক। কিন্তু সত্য প্রকাশের দায়ে যে আচরণ করা হয়েছে, তা একটি ভয়াবহ দৃষ্টান্ত।”এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দায়ীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন সাংবাদিক সমাজ।. SHARES সারা বাংলা বিষয়: