সুন্দরগঞ্জে যাত্রীদের জিম্মি করে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়,প্রশাসন নীরব দেশসেবা দেশসেবা ডেস্ক রিপোর্ট প্রকাশিত: ১২:৪৬ অপরাহ্ণ, জুন ১৫, ২০২৫ মোঃ নুরুন্নবী মিয়া ।। ঈদের ছুটি শেষ,নির্দিষ্ট সময়ের পূর্বে ফিরতে হবে নিজ নিজ কর্মস্থলে বাস টার্মিনাল ছাড়াও গ্রাম গঞ্জের বাস কাউন্টার গুলোতে যাত্রীদের উপচে পড়া ভীড়। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে যাত্রীদের জিম্মি করে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হলেও প্রশাসন নীরব। গাইবান্ধা জেলার বিভিন্ন উপজেলার বাস কাউন্টার গুলো ঘুরে দেয়া যায় ঢাকাগামী যাত্রীরা বাস মালিকদের কাছে জিম্মি৷তারা নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে দাপটের সাথে চালিয়ে যাচ্ছে ব্যাবসা। বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের হাসানগঞ্জসহ বেশ কয়েকটি কাউন্টারে দেখা গেছে, কাউন্টার খোলা থাকলেও সড়কে কোনো বাস নেই।আবার যেসব কাউন্টার খোলা সেখানে উপচে পড়া ভীড়।আদায় করা হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া।যাত্রী ছাড়া কেউ টিকিট কিনতে চাইলে বলা হচ্ছে, ‘গাড়ি যাবে না’। একই চিত্র সাদুল্লাপুর ও নলডাঙ্গাতেও। ঢাকাগামী যাত্রী রাজু মিয়া জানান, বাইপাস এলাকার সব কাউন্টারে ঘুরেও নির্ধারিত ভাড়ায় টিকিট পাননি। বাধ্য হয়ে ২ হাজার ৩০০ টাকা দিয়ে দুইটি টিকিট কিনেছেন। তিনি বলেন, ‘প্রতিটি ঈদেই এমন হয়। এভাবে চলতে থাকলে আর গ্রামে আসবো না।’ সেলিম মিয়া নামের আরেক যাত্রী বলেন, ‘২ হাজার টাকা দিয়ে দুইটি টিকিট নিয়েছি, কারণ সিট পেছনে ছিল। একটু কমে পেয়েছি।’ গার্মেন্টস কর্মী একরামুল হক বলেন, ‘বেলকা বাজার, পাঁচপীর বাজার, হাসানগঞ্জ—সব জায়গাতেই যোগাযোগ করেছি। কেউ ১ হাজার ৪০০ টাকার নিচে দিচ্ছেন না। অবশেষে বাধ্য হয়ে ১ হাজার ২০০ টাকা দিয়ে টিকিট নিয়েছি।’ সাদুল্লাপুরের বাসিন্দা সাজ্জাদুর রহমান ও মোকছেদুল মোমিন বলেন, ‘নলডাঙ্গা কাউন্টারে ঢাকার ভাড়া ৪০০ টাকা হলেও নেওয়া হচ্ছে ১ হাজার ৪০০ টাকা। অথচ দেখার যেন কেউ নেই। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন কাউন্টার মাস্টার বলেন, ‘আমরা শুধু চাকরি করি। মালিক যেভাবে বলেন, আমরা সেভাবেই টিকিট বিক্রি করি।’ সুন্দরগঞ্জ উপজেলা ট্রাক ও মাইক্রোবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক স্বপন কুমার বলেন, ‘জেলা প্রশাসকের নির্দেশ অনুযায়ী, ১ হাজার টাকা পর্যন্ত ভাড়া নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। কেউ ১-২শ টাকা বেশি নিচ্ছেন কিনা, তা আমাদের জানা নেই।’ এদিকে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আজ সন্ধ্যায় অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় সোনালি পরিবহনকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।উপজেলা প্রশাসনের এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন উপজেলাবাসী। তারা উপজেলার প্রতিটি কাউন্টারে নিয়মিত অভিযান পরিচালনার জন্য উপজেলা প্রশাসনের প্রতি বিশেষ ভাবে আহবান জানান। গাইবান্ধা জেলার বিভিন্ন উপজেলার বাস কাউন্টার গুলো ঘুরে দেয়া যায় ঢাকাগামী যাত্রীরা বাস মালিকদের কাছে জিম্মি৷তারা নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে দাপটের সাথে চালিয়ে যাচ্ছে ব্যাবসা। বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের হাসানগঞ্জসহ বেশ কয়েকটি কাউন্টারে দেখা গেছে, কাউন্টার খোলা থাকলেও সড়কে কোনো বাস নেই।আবার যেসব কাউন্টার খোলা সেখানে উপচে পড়া ভীড়।আদায় করা হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া।যাত্রী ছাড়া কেউ টিকিট কিনতে চাইলে বলা হচ্ছে, ‘গাড়ি যাবে না’। একই চিত্র সাদুল্লাপুর ও নলডাঙ্গাতেও। ঢাকাগামী যাত্রী রাজু মিয়া জানান, বাইপাস এলাকার সব কাউন্টারে ঘুরেও নির্ধারিত ভাড়ায় টিকিট পাননি। বাধ্য হয়ে ২ হাজার ৩০০ টাকা দিয়ে দুইটি টিকিট কিনেছেন। তিনি বলেন, ‘প্রতিটি ঈদেই এমন হয়। এভাবে চলতে থাকলে আর গ্রামে আসবো না।’ সেলিম মিয়া নামের আরেক যাত্রী বলেন, ‘২ হাজার টাকা দিয়ে দুইটি টিকিট নিয়েছি, কারণ সিট পেছনে ছিল। একটু কমে পেয়েছি।’ গার্মেন্টস কর্মী একরামুল হক বলেন, ‘বেলকা বাজার, পাঁচপীর বাজার, হাসানগঞ্জ—সব জায়গাতেই যোগাযোগ করেছি। কেউ ১ হাজার ৪০০ টাকার নিচে দিচ্ছেন না। অবশেষে বাধ্য হয়ে ১ হাজার ২০০ টাকা দিয়ে টিকিট নিয়েছি।’ সাদুল্লাপুরের বাসিন্দা সাজ্জাদুর রহমান ও মোকছেদুল মোমিন বলেন, ‘নলডাঙ্গা কাউন্টারে ঢাকার ভাড়া ৪০০ টাকা হলেও নেওয়া হচ্ছে ১ হাজার ৪০০ টাকা। অথচ দেখার যেন কেউ নেই। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন কাউন্টার মাস্টার বলেন, ‘আমরা শুধু চাকরি করি। মালিক যেভাবে বলেন, আমরা সেভাবেই টিকিট বিক্রি করি।’ সুন্দরগঞ্জ উপজেলা ট্রাক ও মাইক্রোবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক স্বপন কুমার বলেন, ‘জেলা প্রশাসকের নির্দেশ অনুযায়ী, ১ হাজার টাকা পর্যন্ত ভাড়া নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। কেউ ১-২শ টাকা বেশি নিচ্ছেন কিনা, তা আমাদের জানা নেই।’ এদিকে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আজ সন্ধ্যায় অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় সোনালি পরিবহনকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।উপজেলা প্রশাসনের এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন উপজেলাবাসী। তারা উপজেলার প্রতিটি কাউন্টারে নিয়মিত অভিযান পরিচালনার জন্য উপজেলা প্রশাসনের প্রতি বিশেষ ভাবে আহবান জানান। SHARES অপরাধ ও দুর্নীতি বিষয়: