অভিযোগ ও স্থানীয় সুত্রে জানাগেছে, জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে দুই নারীসহ তিনজনকে বেদম মারধোর করা হয়েছে। আহত অবস্থায় তাদেরকে বগুড়া মোহাম্মাদলী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে এক তরুণীর শ্লীলতাহানিও করেছে হামলাকারীরা। বগুড়া সদরের নুনগোলা ইউনিয়নের হাজরাদিঘী বলিয়াপাড়ার শফিকুল ইসলাম (৬১) বাদী হয়ে বগুড়া সদর থানায় দায়ের করা অভিযোগে উল্লেখ করেন, প্রতিপক্ষের আসামি ইউনিয়ন বিএনপির সহ—সভাপতি শাহীনুর রহমান রানু (৫৫) এর নেতৃত্বে রহিম বাদশা (৪০), কারিমুর রহমান শাহ (৪৬) আব্দুল আলিফ (১৯) ও আব্দুল আলিম (১৮)সহ অজ্ঞাতনামা আরও ৬/৭ জন হামলা করে। গত শনিবার রাত ৯ টার দিকে শফিকুল ইসলাম ও তার ছেলে তারিকুল কবির মসজিদে এশার নামাজ আদায় শেষে বাড়িতে ফিরছিলেন। এ সময় জমি নিয়ে পূর্ব বিরোধের জের ধরে ওই আসামিরা তাদের হত্যার উদ্দেশ্যে হাতে লাঠি, লোহার রড, লোহার সাবল ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে পিছু ধাওয়া করে। এ সময় তিনি ও তার ছেলে প্রাণ ভয়ে দৌড়ে নিজ বাড়িতে যান। কিন্তু হামলাকারীরা ও তাদের পিছু ধাওয়া করে তার বসতবাড়ি অনধিকার প্রবেশ করে। বাড়িতে ঢুকে তারা তার মেয়ে তাসমিয়া খাতুন (২০), ভাতিজী সৌমি খাত (২০) ও ছেলে তারিকুল করিব (১৩) কে এলোপাথারীভাবে মারপিট করতে থাকে। এ সময় আসামী শাহীনুর রহমান রানু, থানায় অভিযোগ কারী শফিকুল ইসলাম এর মেয়ে তাসমিয়া খাতুনকে রক্তাক্ত জখম করে এবং শ্লীতাহানি ঘটায়। এ ছাড়া আসামির লাঠি দিয়ে তার মেয়ের পেটে ও দুই পায়ে ও লজ্জা স্থানে আঘাত করে গুরুত্বর জখম করে এবং তার গলায় থাকা সোনার চেইন ছিড়িয়ে নেয়। এরপর হামলাকারীরা তারা ছেলেকে এলোপাথারীভাবে মারপিট করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে। সেইসাথে তাকে শ্বাস রোধ করিয়া হত্যার চেষ্টা করে। হামলাকারীরা লোহার সাবল দিয়ে তার ভাতিজি সৌমি. খাতুন (২০)কে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় আঘাত করে। তবে সেই আঘাত ভাতিজির শরীরের লজ্জাস্থানে লাগে এবং গুরুত¦র রক্তাক্ত জখম প্রাপ্ত হয়। লোহার রড দিয়ে সৌমিকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় আঘাত করলে ওই আঘাত সে বাম হাত দিয়ে ঠেকালে তার দুইটি আঙ্গুল ভেঙ্গে যায়। অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, হামলাকারীরা তার শয়ন ঘরের বিছানার নিচ হতে গরু বিক্রির ৫৬ হাজার ৫শ’ টাকা লুট করে নিয়ে চলে যায়। তারা চলে যাওয়ার সময় তাদেরকে খুন জখমের হুমকিও দেয়। পরে আহতদের উদ্ধার করে বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে ভর্তি করে দেয়া হয়। এ ব্যাপারে বগুড়া সদর থানার ওসি হাসান বাসির জানান, অভিযোগ পেয়েছি এবং শাহীনুর রহমান রানু ও কারিমুর রহমান শাহ উভয়ের পিতা তোজাম্মেল হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।