দুস্থদের ভিডাব্লিউবি কার্ডে চাল নিচ্ছেন ইউপি সদস্যদের স্ত্রী-কন্যা

দেশসেবা দেশসেবা

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ৩:২৯ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ৩, ২০২৪

নাজমুল আহসান। বরগুনা আমতলীতে দুস্থদের জন্য ভিডাব্লিউবি কর্মসূচিতে উপকারভোগী নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গ্রামীণ দুস্থ নারীদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সরকারের অন্যতম সামাজিক নিরাপত্তামূলক এ কর্মসুচিতে নিজেদের স্ত্রী-কন্যার নামে প্রতিমাসে ভিডাব্লিউবি’র ৩০ কেজি করে চাল উত্তোলন করছেন দুই ইউপি সদস্য।এছাড়াও ভিডাব্লিউবি কার্ড যার নামে বরাদ্দ তিনি নিজেই জানেনা তার নামে বরাদ্দ রয়েছে।সাংবাদিকদের অনুসন্ধানে ভিডাব্লিউবি প্রকল্পের এসব অনিয়ম দুর্নীতির তথ্য পাওয়া গেছে।

অভিযুক্তরা হলেন,উপজেলার ৭ নং আড়পাংগাশিয়া ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের সদস্য জুয়েল ও ১নং ওয়ার্ডের সদস্য কামরুল ইসলাম খবির উদ্দিন।

উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে,চলতি অর্থবছরে ভিডাব্লিউবি কর্মসূচির উপকারভোগী নির্বাচনে ওই ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের সদস্য জুয়েল স্বচ্ছল ব্যাক্তি হওয়া সত্বেও তার স্ত্রী মোসাঃ সাবিনা বেগম (২১) এর নামে উপকারভোগী হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়েছেন,যার কার্ড নং- ১০৩। এছাড়াও ১নং ওয়ার্ডের সদস্য খবির উদ্দিনের কন্যা কামরুন্নাহার (২৭) সেও উপকারভোগী হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়েছেন।যার কার্ড নং ১৪।এরা উভয়েই

ভিডাব্লিউবি কার্ডের মাধ্যমে হতদরিদ্রদের জন্য প্রতিমাসে বরাদ্দকৃত ৩০ কেজি চাল তুলছেন।

এছাড়াও ঐ ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা হাচানের স্ত্রী শিউলী বেগমের নামে ভিডাব্লিউবি কার্ড বরাদ্দ থাকলেও তা তিনি আদৌও বরাদ্দের কোন চাল পাননি।

স্ত্রী ও কন্যার নামে ভিডাব্লিউবি কার্ডের মাধ্যমে হতদরিদ্রদের জন্য বরাদ্দকৃত চাল উত্তোলনের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্যদের বক্তব্য জানার জন্য ১ নং ওয়ার্ডের সদস্য কামরুল ইসলাম খবির উদ্দিনের সাথে কথা বলতে গেলে তিনি সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন। একই বিষয়ে ৫ নং ওয়ার্ডের সদস্য জুয়েল এর বক্তব্যের জন্য তার বাড়ীতে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি। বাড়ির লোকজনের কাছে জানতে চাইলে তারা বিষয়টি এরিয়ে গেলেও ইউপি সদস্য জুয়েলের বাবা বলেন,এই চাল দলীয়ভাবে পেয়েছি।

আড়পাংগাশিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোহেলী পারভীন মালা জানান,বিষয়টি খুবই দু:খজনক। যখন উপজেলা কমিটি থেকে তালিকা চাওয়া হয় তখন প্রতিটি ওয়ার্ডের সদস্যদের কাছ থেকে দুস্থদের নামের তালিকা নেওয়া হয়। ওই সদস্যরা তালিকায় তাদের পরিবারের সদস্যদের নাম দিয়েছেন যেটা তিনি পরে জেনেছেন। এ বিষয়ে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে উপজেলা কমিটির কাছে সুপারিশ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা রুপ কুমার পাল বলেন,আমি এ বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা।আমাকে আপনারা সকল তথ্য দিয়ে আগে একটু দেখার সুযোগ দিন। আমি সেগুলো না দেখে এবিষয়ে কোন সাক্ষাৎকার দিব না।

এ বিষয়ে উপজেলা ভিডাব্লিউবি কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।