নওগাঁয় খাদ্য কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধ দুদকের মামলা দেশসেবা দেশসেবা ডেস্ক রিপোর্ট প্রকাশিত: ২:৩০ অপরাহ্ণ, মে ১, ২০২৪ মোঃ আখেরুজ্জামান।নওগাঁ প্রতিনিধি: নওগাঁর মহাদেবপুর খাদ্য গুদামের দুই কর্মকর্তাসহ তিনজনের বিরুদ্ধ মামলা দায়ের হয়েছে। সরকারি খাদ্যগুদাম থেকে ভালা মানের চাল বের করে অধিক মুনাফা লাভের আশায় অপেক্ষাকৃত নিম্নমানের চাল গুদামে প্রবেশ করার অপরাধে এই মামলাটি করা হয়েছে। এ ঘটনাই অজ্ঞাত আরও ২-৩ জনকে আসামী করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) দুর্নীতি দমন কমিশন নওগাঁ জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক তানভীর আহমেদ বাদী হয়ে এই মামলা দায়ের করেছেন। মঙ্গলবার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশন সম্পর্কিত নওগাঁ জলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মাহমুদুর রহমান। মামলার আসামীরা হলো নওগাঁ শহরের খাস-নওগাঁ মহল্লার বাসিন্দা খাদ্যগুদামের খাদ্য পরিদর্শক ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আতিকুল ইসলাম (৪৬), বদলগাছী থানার দ্বাড়িশন গ্রামের বাসিন্দা ও উপ-খাদ্য পরিদর্শক রাশেদুল ইসলাম (৪৯) এবং মহাদেবপুর থানার চকগোবিন্দপুর গ্রামের বাসিন্দা খাদ্যগুদামের শ্রমিক সর্দার আজমের আলী (৫২)। মামলার এজাহার সূত্র জানা যায় মহাদেবপুর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোহাজের হাসান গত দুই বছর থেকে কর্মরত আছেন। গত ১৭ এপ্রিল সকাল ১০ টার দিকে মহাদেবপুর উপজেলার ইউএনও কামরুল হাসান সোহাগ এলএসডির ১নং গুদামের দক্ষিণ পার্শ্বে একটি ট্রাক দাঁড়ানো অবস্থায় দেখতে পান। এ সময় তিনি উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোহাজের হাসানকে ফোনে ডাক দেন। এরপর সেখানে উপ-খাদ্য পরিদর্শক রাশেদুল ইসলাম এবং আজমীর আলীকে দেখতে পান। উক্ত ট্রাক হত অপেক্ষাকৃত নিম্নমানের ৩০০বস্তা চাল ১নং গুদামের ১০৯/১০১১৫৫৬ নং খামালে খামালজাত করা হয়েছে। আর বাঁকী ১২০ বস্তা চাল গুদামজাত করার অপেক্ষায় ট্রাকের উপর আছ। ইউএনও বিষয়টি মোহাজের হাসানের কাছে গুদামর ভিতর চাল ঢোকানোর জন্য কোন সরকারি নির্দেশনা আছে কিনা জানতে চান। মোহাজের হাসান সাফ জানিয়ে দেন এমন কোন নির্দেশনা নাই। এ বিষয়ে রাশেদুল ইসলাম ও আজমের আলী চালের বিষয়ে কোন উত্তর দিত পারেননি। খাদ্য পরিদর্শক ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আতিকুল ইসলামের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনিও কোন উত্তর দিত পারেননি এবং তার জ্ঞাতসারেই চালের বস্তাগুলো পরিবর্তন করা হচ্ছিল বলে জানা যায়। পরবর্তীতে থানা পুলিশকে খবর দিলে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ইউএনওর নির্দেশক্রমে মোট ৪২০বস্তা (প্রতিটি বস্তা ৩০ কেজি) চালসহ ট্রাক থানায় পাঠানো হয়। সেই সাথে ১নং গুদামটি সিলগালা করা হয়। মামলার বাদী দুর্নীতি দমন কমিশন নওগাঁ জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক তানভীর আহমদ বলেন আতিকুল ইসলাম, রাশেদুল ইসলাম ও আজমের আলীসহ অজ্ঞাত আরও ২-৩ জন মিলে পরস্পর যোগসাজসে অধিক মুনাফা লাভের আশায় ভালো মানের চাল গুদামর মধ্য থেকে বের করে অপেক্ষাকৃত নিম্মমানের চাল গুদামের মধ্য ঢোকানোর চেষ্টা করছিল। অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গ করায় দন্ডবিধির ৪০৯/১০৯ ধারা তৎসহ ১৯৪৭ সনের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরতে এমন কার্যক্রম আগামীতেও অব্যাহত রাখা হবে বলেও তিনি জানান। SHARES জেলা/উপজেলা বিষয়: