শাহজাদপুরে কাঁপাচ্ছে ৪০ মন ওজনের ‘নাতিবাবু’ ষাড়

দেশসেবা দেশসেবা

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১২:০৮ অপরাহ্ণ, মে ৮, ২০২৪

মোঃ আরিফুল ইসলাম।সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে কোরবানীর ঈদকে সামনে রেখে উপজেলার পৌর এলাকাসহ ১৩টি ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে শতাধীক গো-খামারে দেশি ও বিদেশি জাতের ষাঁড় গরু হৃষ্টপুষ্টকরণের কাজে ব্যতিব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে গো-খামারিরা। দেশীয় ও প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে গরু মোটাতাজা করছেন তারা।

বিভিন্ন বাড়ি ও গো-খামারে এবার ৫৫ হাজার ৪২০ টি ষাঁড় গরু হৃষ্টপুষ্ট করছে খামারিরা। তারা স্বল্প পুঁজি বিনিয়োগে দেশি ও বিদেশি জাতের ফ্রিজিয়ান, গির, শাহীওয়াল, দেশি শংকর, অষ্ট্রেলিয়ান ও জার্সিসহ বিভিন্ন জাতের ষাঁড় বাছুর ক্রয় করে হৃষ্টপুষ্ট করছেন। মাত্র ৬-৮ মাসে এঁড়ে বাছুর লালন পালন করে কোরবানীর ঈদের গরুর হাটে বিক্রি করে সব খরচ বাদ দিয়েও বিনিয়োগের চেয়ে বেশী অর্থ আয় করতে পারবে বলে গৃহস্থ ও খামারিরা আশা প্রকাশ করেছেন।

সরেজমিনে উপজেলার খুকনী ইউনিয়নের খুকনী ব্যাংক রোডস্থ হাজী শামীম আক্তারের ফার্মে গিয়ে দেখা গেছে শাহীওয়াল, গির ও অস্ট্রেলিয়ান জাতের ফ্রিজিয়ানসহ ৭ টি ষাঁড় গরু সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে সবুজ ঘাস, খৈল, ভূষি, চিটা গুড়, ছোলা, গম, মসুর, কালাই,
খেশারী, জব, ভুট্টা ও সাইরেজ খাওয়ায়ে লালন পালন করছেন। হাজী শামীম আক্তার জানান- তার ফার্মের সব চেয়ে বড় ৩০ মন ওজনের সাদা-কালো রঙের পারহা-পারহি ‘অস্ট্রেলিয়ান জাতের ফ্রিজিয়ান’ ষাঁড় গরুটির নাম রাখা হয়েছে ‘স¤্রাট-২’। তার ইচ্ছা ষাঁড় গরু গুলো বাড়ী থেকেই বিক্রি করবে।

এদিকে, বেলতৈল ইউনিয়নের ঘোড়শাল নতুনপাড়া মহল্লার গো-খামারি মো. শহিদুল ইসলাম ঠান্ডু জানান- বিগত বছরের ন্যায় বাড়ির অন্যান্য কাজের পাশাপাশি গরু হৃষ্টপুষ্ট করে অতি অল্প সময়ে স্বাবলম্বী হয়েছি। তার ফার্মের সব চেয়ে বড় ৪০ মন ওজনের সাদা-কালো রঙের পারহা-পারহি ‘অস্ট্রেলিয়ান জাতের ফ্রিজিয়ান’ ষাঁড় গরুটির নাম রাখা হয়েছে ‘নাতিবাবু’। এবার এলাকা কাঁপিয়ে তুলছে এই ‘নাতিবাবু’। গরুটির দাম হাঁকা হয়েছে ১৫ লক্ষ টাকা।

এ বিষয়ে শাহজাদপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মো. বিল্লাল হোসেন জানান- আসন্ন কোরবানীর ঈদকে সামনে রেখে শাহজাদপুরে প্রায় ৮৬ হাজার ৬৬১ টি পশু প্রস্তুত করছে খামারিরা। এর মধ্যে ষাঁড় গরু রয়েছে ৫৫ হাজার ৪২০ টি, বলদ রয়েছে ৩ হাজার ৬১৫ টি, গাভী রয়েছে ২ হাজার ৫৫০ টি ছাগল রয়েছে ১৭ হাজার ৭৭১টি ও ভেড়া রয়েছে ৭ হাজার ৩০৫ টি। আধুনিক ও
বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতিতে ষাঁড় হৃষ্টপুষ্ট করার কাজে উপজেলা পাণিসম্পদ অফিস থেকে খামারিদের প্রশিক্ষণ দেয়ার পাশাপাশি চিকিৎসাসেবা, ভ্যাকসিন ও বিনাম্যল্য নিরাপদ গো-খাদ্য সাইরেজ প্রদান করার মাধ্যমে তাদের উৎসাহিত করা হচ্ছে। খামারিরা এবছর বেশী অর্থ আয় করতে পারবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেছেন।