কেন্দুয়ায় সুদখোর শিক্ষকের নির্যাতনের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

দেশসেবা দেশসেবা

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১২:১০ অপরাহ্ণ, মে ৮, ২০২৪

কোহিনূর আলম।নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলায় গড়াডোবা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক ও ল্যাবরেটরী স্কুলের পরিচালক, সুদখোর হারুন মাস্টার ও তার পরিবার কর্তৃক এক অসহায় পরিবারকে নির্যাতন করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে ।

সোমবার (৬ মে) বিকেলে “কেন্দুয়া প্রেসক্লাব” কার্যালয়ে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য সুইটি রাণী এস, স্কুল পড়ুয়া ছেলে দেবজীত কুমার এস ও মেয়ে পূজা রাণী এস এর উপস্থিতিতে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্টিত হয় ।

সুইটি রাণী এস বলেন, আমার স্বামী বিজন কুমার এস কেন্দুয়া বাজারের চিরাং মোড়ের দীর্ঘদিনের ব্যবসায়ী । তিনি গড়াডোবা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক ও ল্যাবরেটরী স্কুলের পরিচালক হারুন মাস্টারের কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নিয়েছিলেন । মূলত হারুন মাস্টার একজন পেশাদার সুদখোর । একজন শিক্ষক হয়ে কিভাবে সুদের ব্যবসা করেন ? আমার স্বামী বিজন কুমার এসের সাথেও হারুন মাষ্টারের সুদের লেনদেন রয়েছে । তবে বিষয়টি আমি অনেক পরে জানতে পারি । হারুন মাস্টারের সুদের টাকা পরিশোধ করে আমরা এখন নিঃস্ব । আমার স্বামীও অসুস্থতা ও সুদের টাকায় জর্জরিত হয়ে মৃত্যুশয্যায় । সুদের টাকার জন্য হারুন মাস্টার গত কয়েকদিন আগে কেন্দুয়া জয়হরি স্প্রাই সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী (আমার ছেলে) দেবজীত কুমার এস (১৪) কে আমাদের দোকানে এসে টাকার জন্য আক্রমণ ও মারধর করা শুরু করলে আশেপাশের দোকানের ব্যবসায়ীগণ এসে উদ্ধার করেন । যার ভিডিও ফুটেজ সংরক্ষিত আছে । হারুন মাস্টার যাবার সময় হুমকি দিয়ে যায় পরবর্তীতে আমাদের দেখে নেবে । ঘটনাটি কেন্দুয়া বাজার কমিটি ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ এনামুল হক ভূঞাকে অবহিত করলে তিনি হারুন মাস্টারকে ভবিষ্যতে দোকানে এসে এই রকম বেআইনি কর্মকাণ্ড করতে নিষেধ করেন । কিন্তু নিষেধ অমান্য করে হারুন মাস্টার আবারও আমাদের বাসায় গিয়ে হুমকি ও গালমন্দ করে ।

তাছাড়া গত ৩০ এপ্রিল আমার মেয়ে পূজা রাণী এস (১১) বিদ্যালয়ে গেলে (কেন্দুয়া জয়হরি স্প্রাই সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়) হারুন মাস্টারের মেয়ে যে কিনা একই স্কুলের শিক্ষার্থী তার বাবার সুদের টাকা পাওনাকে কেন্দ্র করে আমার মেয়েকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে ও দু’তলা সিঁড়ি থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিতে চাইলে আমার মেয়ে দৌঁড়াইয়া কৌশলে প্রাণ বাঁচায় । পরপরই আমার মেয়ে ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে স্কুল থেকে বাসায় ফিরে এসে অসুস্থতাবোধ করিলে জরুরি ভিত্তিতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করি । হারুন মাস্টারের নির্যাতনের শিকার হয়ে আমরা প্রাণের ভয়ে আছি, কখন যে কি হয় বলা যায় না ।

কেন্দুয়া বাজার কমিটির সভাপতি মোঃ এনামুল হকের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান , পাওনা টাকার জন্য বিজন কুমার এসের ছেলেকে তাদের দোকানে হারুন মাস্টার আক্রমণ করার বিষয়টি আমিও অবগত আছি ।

এ বিষয়ে (২ মে) কেন্দুয়া থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ এনামুল হক (পিপিএম-সেবা) এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমার কিছু করার নেই । সুইটি রাণী এস এর জিডি না নেওয়া প্রসঙ্গে বলেন, আমি এখনো জিডি নেবো না । একজন টাকা পাবে, সে চাইতেই পারে ।