কেন্দুয়ায় অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের অভিযোগ

দেশসেবা দেশসেবা

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ৩:২২ অপরাহ্ণ, মে ৯, ২০২৪

কোহিনূর আলম।নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলায় প্রতিবন্ধী হীরা মিয়া ও তাঁর চাচা সঞ্জু মিয়ার বসত বাড়ি, হাঁসের ফার্ম ও দোকানে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের অভিযোগ ওঠেছে ।

বুধবার (৮ মে) সকালে সান্দিকোনা ইউনিয়নে বালুচর গ্রামে কুরেরপাড় একতা বাজারের পাশে বেতাই নদীর তীরে খাস-ফসলি জমি ও ধান কাটাকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটে বলে সরেজমিনে জানা যায় । স্থানীয় বাসিন্দাদের সাথে কথা হলে, অনেকেই কিছু বলতে রাজি হয় নি ।

প্রতিবন্ধী হীরা মিয়া বলেন, কয়েক বছর যাবত বেতাই নদীর তীরে সরকারি খাস জমিতে ফসল উৎপাদন করে ও আমার দোকানের ব্যবসায় দিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছি । এছাড়াও একটি প্রতিবন্ধী কার্ডের মাধ্যমে সরকারি ভাতায় সংসার চলে আমার । এই ধান কাটাকে কেন্দ্র করে খুন-জখমের আশঙ্কায় গতকাল থানায় একটি জিডিও করেছিলাম । যারা আমার এই ক্ষতি করলো তাদের যেনো সঠিক বিচার হয় ।

ভুক্তভোগী সঞ্জু মিয়া বলেন, স্থানীয় ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে একই গ্রামের এমদাদুল হক (৩০) মামুন (৩০) ও মাসুদ (৪০) সহ প্রায় দুইশত জনের একটি দল ধান কেটে নিয়ে যায় এবং বাধা দিলে বসত ঘরে আগুন, দোকানে লুটপাট ও হাঁসের ফার্মে অগ্নিসংযোগ করে । সব মিলিয়ে প্রায় কয়েক লাখ টাকার ক্ষতি সাধন হয় । আমি এর সুষ্ঠু বিচার দাবি করি ।

ইউপি সদস্য মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, আমি ঘটনা স্থলে ছিলামই না । আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ।

অভিযুক্ত এমদাদুল হক বলেন, এই জমি আমার চাচা মৃত আবুল কালামের সময় থেকে লীজে নেওয়া । এই ধান আমরাই রোপন করেছিলাম । আর হীরা মিয়া নিজেই তার বাড়িতে আগুন লাগিয়েছে ।

এ বিষয়ে কেন্দুয়া থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ এনামুল হক (পিপিএম-সেবা) এঁর সাথে মুঠো ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও পাওয়া যায় নি ।

কেন্দুয়া-আটপাড়া সার্কেল সহকারী পুলিশ সুপার হোসাইন মোহাম্মদ ফারাবী মুঠো ফোনে জানান, সকালে পুলিশ পাঠানো হয়েছিলো । এ মূহুর্তে আমি ঢাকায় রয়েছি ।