জেলা আওয়ামী লীগ নেতাকে পরাজিত করে চেয়ারম্যান হলেন এমপি পুত্র সাবাব চৌধুরী দেশসেবা দেশসেবা ডেস্ক রিপোর্ট প্রকাশিত: ৩:৩৫ অপরাহ্ণ, মে ৯, ২০২৪ মোঃসাদ্দাম হোসেন।নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায়, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ এইচ এম খায়রুল আনম চৌধুরী সেলিম কে হারিয়েছেন আতাহার ইশরাক ওরফে শাবাব চৌধুরী। তিনি নোয়াখালী-৪ (সদর ও সুবর্ণচর) আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরীর ছেলে।তার নির্বাচনী প্রতীক ছিল আনারস। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ এইচ এম খাইরুল আনম চৌধুরী সেলিম দোয়াত কলম প্রতীক নিয়ে ৭০৩ ভোটে পরাজিত হয়েছেন। বুধবার (৮ মে) রাত ১০টার দিকে রিটার্নিং অফিসার ও নোয়াখালী জেলার সিনিয়র নির্বাচন অফিসার মো. নওয়াবুল ইসলাম এ ফলাফল ঘোষণা করেন। এর আগে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে ভোট গ্রহণ চলে।উপজেলা রির্টার্নিং অফিসার বলেন, চেয়ারম্যান পদে আনারস প্রতীকে আতাহার ইশরাক সাবাব চৌধুরী পেয়েছেন ৩৭৬৪৮ ভোট এবং দোয়াত কলম প্রতীক নিয়ে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এএইচএম খায়রুল আনম চৌধুরী সেলিম পেয়েছেন ৩৬৯৪৫ ভোট।বেসরকারি ফলাফলে সাবাব চৌধুরী ৭০৩ ভোটে বিজয়ী হয়েছেন। বিজয়ী ঘোষণার পর, উপজেলার বিভিন্ন সড়কে বিজয় মিছিল করেন সাবাবের অনুসারী, নেতাকর্মী ও সাধারণ ভোটাররা।এসময় বাজার, মহল্লা ও পাড়ায় পাড়ায় মিষ্টি বিতরণ করা হয়।বিজয় পরবর্তী অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে ২৬ বছর বয়সী নবনির্বাচিত সাবাব চৌধুরী বলেন, এ বিজয় সুবর্ণচরের প্রতিটি সাধারণ ভোটারদের বিজয়। সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে আজকের এ বিজয় অর্জিত হয়েছে। নির্বাচন নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র ছিল, সুবর্ণচরের সাধারণ ভোটারদের তৎপরতার মুখে তাদের ষড়যন্ত্র সফল হয়নি। সবাইকে একসঙ্গে নিয়ে সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করব। জানা যায়, উপজেলার আটটি ইউনিয়নের ৬১টি কেন্দ্রে এক লাখ পাঁচ হাজার ৬০৯ জন নারী ভোটার, এক লাখ ১৯ হাজার ৫৭৮ জন পুরুষ ভোটার ও একজন তৃতীয় লিঙ্গের ভোটারসহ মোট দুই লাখ ২৫ হাজার ১৮৮ জন ভোটার রয়েছেন এ উপজেলায়। এর মধ্যে ৭৪ হাজার ৫৯৩ ভোট পেয়েছেন দুই চেয়ারম্যান প্রার্থী। সে হিসেবে প্রায় ৩১ শতাংশ ভোট পড়েছে। সরেজমিন দেখা গেছে, সকাল থেকে সুবর্ণচর উপজেলায় শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ হয়েছে। তবে সকালে বৃষ্টি ও হালকা ঝড়ো বাতাস থাকার কারণে প্রথম দুই ঘণ্টায় ভোটারদের উপস্থিতি ছিল খুবই কম৷ পরে বৃষ্টি কমলে সকাল ১০টা থেকে ভোটকেন্দ্রগুলোতে ভোটার উপস্থিতি বাড়তে থাকে।তখন ভোটারদের সঙ্গে আলাপকালে তারা তারুণ্যকে নেতৃত্বে নিয়ে আসার ইঙ্গিত দেন। অবশেষে সেই তরুণ শক্তিতে নেতৃত্বে নিয়ে এসেছেন তারা। দুপুরের দিকে চরবাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রিসাইডিং অফিসার মো. ইসহাক মিয়া জানান, বৃষ্টির কারণে ভোটার উপস্থিতি প্রথম দুই ঘণ্টা কম ছিল। এর মধ্যে নারী ভোটারের সংখ্যা কোনো কোনো কেন্দ্রে একেবারেই কম ছিল। তবে সকাল ১০টার পর থেকে নারী -পুরুষ উভয় ভোটারের উপস্থিতি বাড়ে। পরে দিনব্যাপী উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দেন ভোটাররা। এর আগে সকালে উভয় প্রার্থী নিজ নিজ কেন্দ্রে ভোট দেন এবং জয়ের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। ওই সময় তারা বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ চলছে। এছাড়া সকাল সাড়ে ৯টায় চর বজলুল করিম ৫ নম্বর ওয়ার্ডের জববারিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, কেন্দ্রের মাঠে বৃষ্টির পানি থাকায় ভোটাররা কেন্দ্রের বারান্দায় গিয়ে ভোটের জন্য লাইনে দাঁড়ান। তারা তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে জয়ী করতে সকাল সকাল কেন্দ্রে এসেছেন বলে জানান। এ উপজেলা নির্বাচনে ৬০০ পুলিশ, ৪ প্লাটুন বিজিবি, ১ হাজার আনসার ও র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) মাঠে ছিল। সুবর্ণচরের ৬১টি কেন্দ্রের মধ্যে ৩৮টিকে গুরুত্বপূর্ণ ও ২৩টিকে সাধারণ ক্যাটাগরিতে চিহ্নিত করেছিল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। নির্বাচন ও ভোট-পরবর্তী সহিংসতা রোধে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়। SHARES জেলা/উপজেলা বিষয়: