পানি নিষ্কাশনের অভাবে ২০ হেক্টর ধান নষ্টের আশংকা

দেশসেবা দেশসেবা

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ৩:৪৩ অপরাহ্ণ, মে ২৭, ২০২৪

মোঃ আল আমিন।গত দু-দিনের ভারী বর্ষণে কৃষকের ২০ হেক্টর জমির ধান নষ্ট হতে চলেছে। পানি নিষ্কাশনের যথাযথ ব্যবস্হা না থাকায় পথে বসার আংকায় রয়েছে প্রায় শতাধিক কৃষক।

তাদের দাবী, নামাবাঁশখুর, বাঁশখুর, কাশড়া ও গোবিন্দপুরের কৃষকরা এ মাঠে ফসল ফলায়। কিন্তু বৃষ্টি মৌসুমে ভারী বর্ষণ হলেই বিপাকে পড়ে তারা। স্হানীয় সরকার প্রতিনিধিদের সাথে কথা বলে এ কাজের কোন সুরাহা হয়নি। এ মাঠে পানি নিষ্কাশনের চারটি নালা রয়েছে। এসবের মধ্যে একটি পুরো বন্ধ। দুটি প্রায় বন্ধ। একটি নালা দিয়ে পানি বের হচ্ছে। তাতে খুব বেশি লাভ হচ্ছে না। এ কারণের জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।

কৃষক মোহসিন মন্ডল বলেন, আমি ৮ বিঘা ধান লাগিয়েছি। তার মধ্যে ২ বিঘা কেটেছি। বাঁকী ৬ বিঘা পানিতে ডুবে আছে। মাঠের পানি বের হতে না পারায় এ সমস্যার পড়েছি। ফসল ঘরে না তুলতে পারলে বড় ক্ষতির মধ্যে পড়ে যাবো।

সাইফুল ইসলাম বলেন, আমি এনজিও থেকে টাকা তুলে ৩ বিঘা ধান লাগিয়েছি। ফসল বিক্রি করে তা পরিশোধ করার কথা। কিন্তু ফসল ঘরে আসবে কি না আমি সন্দিহান। সামান্য দুদিনের বৃষ্টিতে ফসল তলিয়ে গেছে। ফসল নষ্ট হলে কিভাবে আমি ঋণ পরিশোধ করবো।

সাদ্দাম হোসেন বলেন, আমার নিজস্ব জমি দেড় বিঘা। পত্তনি নিয়েছি ৩ বিঘা। সবটুকু জমিই জলাবদ্ধতায় পড়েছে। জমি ধানে পচন ধরেছে। আবার অনেক ধান ঝড়ে মাটিতে পড়ে পানির নীচে আছে। ফসল না পেলে আমি নি:স্ব হয়ে যাবো। স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে কিভাবে দিন পার করবো বুঝতে পারছি না। খুব দ্রুত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্হা না হলে পথের ভীক্ষারি হয়ে যাবো।

মাঠ সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, মাঠের ধান পানিতে ভিজে শেকড় গজাচ্ছে। মাঝেমধ্যে কিছু গাছে পচন ধরেছে। বিঘার পর বিঘা নষ্ট হওয়ার পথে। এসব ফসলে পানির কারণে কৃষকের মাঝে হাহাকার শুরু হয়েছে। পানি নিষ্কাশনের সঠিক ব্যবস্হাপনা না থাকায় টাকা খরচ করে ফসল ফলিয়ে তা ঘরে তুলতে পারবেন কি না, তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় কৃষকরা। তাদের দাবী, মাঠের নকশা অনুযায়ী পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্হাপনা ঠিক করলে এই সমস্যায় পড়তে হবে না। মাঠের পানি বের হওয়ার পথ বন্ধ। যদিও গত ১০ বছর এ সমস্যা ছিলো না। পানি নিষ্কাশনের ভালো ব্যবস্হাপনা ছিলো। কিন্তু বর্তমান সবকটি নালা অকেজো হয়ে পড়ে আছে। মাঠের পানি বের হতে পারছে না। তারা যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে এই সমস্যার সমাধান কামনা করেছন।