রোগীকে ধর্ষণের অভিযোগে ভুয়া ডাক্তার গ্রেফতার

দেশসেবা দেশসেবা

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১:১৪ অপরাহ্ণ, জুন ৪, ২০২৪

মোহাম্মদ রুহল আমিন।নোয়াখালীর চাটখিলে ভুয়া ডাক্তারের হাতে ধর্ষণের শিকার হয়েছে এক তরুণী। অভিযুক্ত সেই ধর্ষককে আটক করেছে চাটখিল থানা পুলিশ। একইসাথে তার ফার্মেসি সীলগালা করে দেওয়া হয়েছে।

রোববার ( ২মে) সন্ধ্যায় এই ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত ভুয়া ডাক্তার নুর হোসেন পলাশ ( ৪৩) চাটখিল পৌরবাজারের সরকারি হাসপাতাল রোডে অবস্থিত চাটখিল প্রেসক্লাবের নিচতলায়  রক্তিম রোজ মেডিসিন পার্কের মালিক। অভিযুক্ত ভুয়া ডাক্তার পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব গোবিন্দপুরের গনি মিয়া সাব বাড়ির খোরশেদ আলমের ছেলে।
এর আগে গত ২৬ মে রোববার চাটখিল পৌর বাজারের হাসপাতাল রোডের এই ভুয়া ডাক্তারের নিজস্ব চেম্বারে ভুক্তভোগীকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।
১৮ বছর বয়সী ভুক্তভোগী এই তরুণী জানান, নুর হোসেন পলাশ গত ২৬ মে রোববার ক্লাস শেষে বাড়ি ফেরার পথে বিকেল চারটার দিকে তার কিছু মেডিকেল রিপোর্ট দেখার জন্য তাকে তার চেম্বারে ডেকে নেন। চেম্বারে যাওয়ার পর তার মাস্ক খুলে তার নাকের কাছে স্প্রে করে অবচেতন করে  তার চেম্বারের পেছনে আলাদা কক্ষে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন। বারবার পা ধরে ক্ষমা চেয়েও ভুক্তভোগী এসময় রক্ষা পাননি।
ধর্ষণ শেষে অভিযুক্ত নুর হোসেন তাকে ছুরি দেখিয়ে এই ঘটনা কাউকে বলতে নিষেধ করেন। যে কারণে প্রথম কয়েকদিন কাউকে না বললেও একদিন আগে ভুক্তভোগী তার মায়ের কাছে ধর্ষণের ঘটনা চিরকুটে লিখে দেন। বাবা জীবিত না থাকা এবং সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন হওয়ার ভয়ে পরিবারটি এই বিষয় এতোদিন কোথায়ও কোনো অভিযোগ করেনি।
ভুক্তভোগীর মা জানান, ‘আমি ছোট একটা চাকরি করে সংসার চালাই। যে আমার এই  এতিম সন্তানকে এভাবে নির্যাতন করছে, আমি তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’
ভুক্তভোগী রোববার (২ জুন) বিকেলে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে এসে অভিযোগ করে। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ এহসান উদ্দীনের পরামর্শে থানায় গিয়ে মামলা করে।
চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ইমদাদুল হক বলেন,  অভিযোগের ভিত্তিতে আসামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী বাদি হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছে।সোমবার সকালে আসামিকে বিচারিক আদালতে প্রেরণ করা হবে।
এদিকে আসামী আটকের পর রোববার সন্ধ্যায় চাটখিল উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আকিব ওসমান ভুয়া ডাক্তার পরিচয়ে চেম্বার করা এবং ফৌজদারি অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত চেম্বারটি সীলগালা করে দেন।