মৃত্যুফাঁদে পরিনিত হয়েছে চট্টগ্রামের হাটহাজারী খাগড়াছড়ি মহাসড়ক

দেশসেবা দেশসেবা

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ৫:৫৭ অপরাহ্ণ, জুন ১০, ২০২৪

মো. মহিউদ্দিন।চট্টগ্রামের হাটহাজারী-খাগড়াছড়ি আঞ্চলিক মহাসড়ক যেন মৃত্যুফাঁদে পরিণত হয়েছে। মহাসড়কটির মৃত্যুফাঁদ থেকে রক্ষা পেতে স্থানীয় গণমানুষের বহু আশা আকাঙ্ক্ষা ডিভাইডার স্থাপন করতে যাচ্ছেন হাটহাজারী পৌরসভার প্রশাসক আলহাজ্ব মঞ্জুরুল আলম চৌধুরী। তার উদ্যোগে হতে যাচ্ছে এই সড়কের ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলোতে ডিভাইডার।

সড়কটিতে প্রায় প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও ঝরছে প্রাণ। প্রশাসনের নানা উদ্যোগের পরও প্রাণহানি ঠেকানো সম্ভব হচ্ছে না। অদক্ষ চালক ও সড়ক ডিভাইডার না থাকায় গত দেড় বছরে এই সড়কের বিভিন্ন স্থানে পৃথক দুর্ঘটনায় ৩৬ জনের অধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুকূপে পরিণত হওয়া সেই সড়কটি নিয়ে গণমাধ্যমকর্মীরা জাতীয় ও স্থানীয় দৈনিক পত্রিকা গুলোতে একাধিক সংবাদ প্রকাশ করেন।
একধিক সূত্রে জানা যায়, হাটহাজারী-খাগড়াছড়ি আঞ্চলিক মহাসড়কে ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে চলতি বছরের মে মাস পর্যন্ত সড়ক দুর্ঘটনায় ৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। তার মধ্যে নাজিরহাট এলাকা পর্যন্ত এ দুর্ঘটনার সংখ্যা বেশি। এই সড়কটি ৩ লেনে সম্প্রসারণের পর দুর্ঘটনা বেড়েই চলেছে। এর মধ্যে চারিয়া ইজতেমা মাঠের সামনে, চারিয়া বোর্ড স্কুল, মুছার দোকান, সরকারহাট কালীবাড়ি, বালুরটাল, মুনিয়া পুকুর পাড়, নূর আলী মিয়ার হাট, মুন্সীর মসজিদ, হাটহাজারী হাসপাতাল গেট উল্লেখযোগ্য। পুলিশ বলছে, একাধিক কারণে এ মহাসড়কে ঘটছে দুর্ঘটনা প্রশিক্ষণবিহীন চালক, ফিটনেসবিহীন গাড়ি, বিনা প্রয়োজনে ওভারটেক, বেপরোয়া গতি ও চালকদের প্রায়ই নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়া ও ট্রাফিক আইন না মানাসহ বিভিন্ন কারণে এ সড়কে একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটছে। গত দেড় বছরে হাটহাজারী-খাগড়াছড়ি মহাসড়কে নিহত হয়েছেন ৩৬ জনের অধিক মানুষ। আহত হয়েছেন কয়েকশ’। তবে আমাদের কাছে আহতের সুনির্দিষ্ট পরিসংখ্যান নেই।
চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি সড়ক পরিবহন মালিক ও চালক সমিতির সংশ্লিষ্টরা বলেন, বর্তমানে হাটহাজারী- খাগড়াছড়ি আঞ্চলিক মহাসড়কে বৈধ যানবাহনের চেয়ে অবৈধ যানবাহন বেশি। অবৈধ যানবাহনের জন্য হাইওয়ে পুলিশকে টাকা দিয়ে রাস্তায় নামে তারা। কীভাবে চলে তা সবাই জানে। হাইওয়ে পুলিশকে ম্যানেজ করে সিএনজি, অটোরিকশা ও নানা পরিবহনগুলো মহাসড়কে চলাচল করে। এ কারণে ঘটছে প্রাণহানির দুর্ঘটনা। তবে পৌর প্রশাসক আলহাজ মঞ্জুরুল আলমকে ধন্যবাদ জানাই। তিনি এই সড়কে দুর্ঘটনা রোধে ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলোতে ডিভাইডার স্থাপন করতে যাচ্ছেন।
নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) এর হাটহাজারী উপজেলা শাখার সভাপতি মাওলানা ওজাইর আহমদ হামিদি বলেন, ডিভাইডার স্থাপনের উদ্যোগ নেয়ায় পৌর প্রশাসনকে আমরা সাধুবাদ জানাই। নাই মামার চেয়ে কানা মামা ভালো। এটা হবেও সেই সিস্টেমে। পৌর প্রশাসকের নির্দিষ্ট একটা ক্ষমতা আছে, যদি জিনিসটা স্থায়ী হয় তাহলে ভালো হবে। এখন যেটা হচ্ছে সেটাও প্রাথমিকভাবে মানুষের জীবন রক্ষা পাবে। পৌর প্রশাসক আলহাজ মঞ্জুরুল আলম চৌধুরী বলেন, প্রতিনিয়ত এই সড়কের দেড়-দুই কিলোমিটার এরিয়াতে দুর্ঘটনা হয়ে আসছে। এ দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেতে বিকল্প ব্যবস্থার জন্য ডিভাইডার স্থাপন করতে যাচ্ছি। দুর্ঘটনা না হলে আমি শান্তি পাবো, আমরা সবাই স্বস্তিতে বাড়ি ফিরবো।